×

ফিচার

হুমায়ূন আহমেদের গল্পের নায়িকা

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১২ নভেম্বর ২০১৭, ০১:৩৮ পিএম

১৯৯৪ সালে চিত্রপরিচালক হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন হুমায়ূন আহমেদ। গোটা জীবনে তিনি আটটি ছবি নির্মাণ করেছেন। তার গল্প থেকেও নির্মিত হয়েছে কিছু ছবি। ছবিগুলোতে নায়িকারূপে এসেছেন দেশের নন্দিত অভিনেত্রীরা। হুমায়ূন আহমেদের গল্পের নায়িকারা বিশেষ বৈশিষ্ট্যের জন্য পাঠককুলে খ্যাত। সিনেমার দর্শকরাও তার নায়িকাদের সহজে আলাদা করতে পারেন অন্যদের থেকে। লিখেছেন স্বাক্ষর শওকত
শাওন শাওনকে নিয়ে পরপর চারটি ছবি নির্মাণ করেছেন হুমায়ূন আহমেদ। ‘শ্রাবণ মেঘের দিন’, ‘দুই দুয়ারী’, ‘চন্দ্রকথা’ ও ‘শ্যামল ছায়া’Ñ এই প্রতিটি ছবিতেই বৈচিত্র্যপূর্ণ চরিত্র পেয়েছেন শাওন। পেয়েছেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারও। চার ছবির পর আরো ছবি করেছেন শাওন। কিন্তু প্রথমদিকের ছবির মতো দর্শক সাড়া পাননি। অভিনীত চরিত্রগুলোর মধ্যে ‘শ্রাবণ মেঘের দিন’ ছবির কুসুম চরিত্রটিই বেশি জনপ্রিয়তা পেয়েছে। বিপাশা বিপাশা হায়াতের প্রথম ছবি ‘আগুনের পরশমণি’। প্রথম ছবিতেই তিনি পেয়েছেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার। সেলুলয়েডে এটাই হুমায়ূন আহমেদের সঙ্গে বিপাশার প্রথম ও শেষ কাজ। ‘আগুনের পরশমণি’ মুক্তিযুদ্ধের পটভ‚মিতে নির্মিত ছবি। এ ছবিতে রাত্রি চরিত্রে অভিনয় করেছেন বিপাশা। গেরিলা যোদ্ধা বদি ও তার সহযোদ্ধাদের ঢাকা অপারেশনের গল্প ‘আগুনের পরশমণি’। বদি চরিত্রে ছিলেন আসাদুজ্জামান নূর। মিম প্রথম ছবিতেই হুমায়ূন আহমেদের নায়িকা হওয়ার সুযোগ পান মিম। লাক্সসুন্দরী প্রতিযোগিতায় সেরা হওয়ার সুবাদে তিনি ‘আমার আছে জল’র নায়িকা বনে যান। যদিও ছবিতে শাওন ছিলেন গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে। মিম অভিষেক ছবি বলে আলোচনায় আসেন। ‘আমার আছে জল’-এ দিলশাদ ওরফে দিলু চরিত্রে অভিনয় করেন মিম। গল্পের শেষে তার মৃত্যু চোখে জল আনে দর্শকদের। শাবনূর আবু সাইয়ীদ পরিচালনা করেন ‘নিরন্তর’। হুমায়ূন আহমেদের গল্প থেকে ঋণ করেন সাইয়ীদ। ‘নিরন্তরে’ তিথি চরিত্রে অভিনয় করেন শাবনূর। মধ্যবিত্ত যুবতীর চরিত্রে অভিনয় করে শাবনূর প্রশংসিত হোন। সেটাই হুমায়ূন আহমেদের গল্পে শাবনূরের একমাত্র কাজ। বাণিজ্যিক ছবির চাহিদাসম্পন্ন শিল্পী হয়েও তিনি অফট্র্যাকে নিজেকে ঝালিয়ে নিতে আসেন। তার সঙ্গে ছিলেন ইলিয়াস কাঞ্চন। সোমা ‘নয়নের আলো’ খ্যাত পরিচালক বেলাল আহমেদ, হুমায়ূন আহমেদের প্রথম উপন্যাস ‘নন্দিত নরকে’র গল্প থেকে নির্মাণ করেন একই নামের ছবি। এ ছবিতে একজন প্রতিবন্ধীর চরিত্রে অভিনয় করেন সুমনা সোমা। এতে তার অভিনয় মনোযোগ কাড়ে দর্শকদের। ‘নন্দিত নরকে’ ছাড়া হুমায়ূন আহমেদের আর কোনো গল্পে কাজের সুযোগ হয়নি সোমার। মম হুমায়ূন আহমেদের গল্পে তৌকির আহমেদ নির্মাণ করেন ‘দারুচিনি দ্বীপ’। এ ছবিতে নায়িকা মম’র অভিষেক ঘটে। তিনি জরি চরিত্রে অভিনয় করেন শুভ্ররূপী রিয়াজের বিপরীতে। ‘দারুচিনি দ্বীপ’ ছবিতে আরো কয়েকজন নায়িকা ছিলেন। যারা প্রত্যেকেই লাক্সসুন্দরী প্রতিযোগিতা থেকে বেরিয়ে এসেছেন। চ্যাম্পিয়ন হিসেবে মমই প্রধান নায়িকার আসন অলঙ্কৃত করেন। পেয়ে যান জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার। সাবা মোরশেদুল ইসলাম প্রয়াত কথাসাহিত্যিকের একাধিক গল্প থেকে ছবি নির্মাণ করেছেন। যার মধ্যে প্রথম ডিজিটাল ছবি হিসেবে সেন্সর সার্টিফিকেট পায় ‘প্রিয়তমেষু’। এ ছবিতে ধর্ষিতার চরিত্রে অভিনয় করে দৃষ্টি কাড়েন সোহানা সাবা। তার অভিনীত চরিত্রটির নাম ছিল পুষ্প। ছবিতে তার সহশিল্পী ছিলেন আফসানা মিমি। মিমির অভিনয় করার কথা ছিল ‘শ্রাবণ মেঘের দিন’-এ। মাহি মেহের আফরোজ শাওনের প্রথম ছবি। হুমায়ূন আহমেদের উপন্যাস ‘কৃষ্ণপক্ষ’কে বড় পর্দায় নিয়ে আসেন শাওন। এতে নায়িকা নির্বাচিত করেন মাহিয়া মাহিকে। এতে রিয়াজের বিপরীতে অরু চরিত্রে অভিনয় করেন মাহি। এই নায়িকা শাওনের পরের ছবি, হুমায়ূন আহমেদের গল্প নিয়ে নির্মাণাধীন ‘নক্ষত্রের রাতে’ও অভিনয় করবেন। এতে তার সহশিল্পী থাকবেন একজন নতুন নায়ক। জয়া হুমায়ূন আহমেদের দর্শকনন্দিত উপন্যাস ‘দেবী’র চলচ্চিত্রায়ন হচ্ছে। এতে নাম ভ‚মিকায় অভিনয় করছেন জয়া আহসান। ‘দেবী’র রানু চরিত্রে তার অভিনয় দেখার প্রত্যাশায় রয়েছেন দর্শকরা। মিসির আলী গল্পের এই উপন্যাসটি সরকারি অনুদানের টাকায় নির্মিত হচ্ছে। পরিচালনা করছেন অনম বিশ্বাস। এতে জয়ার সহশিল্পী হিসেবে মিসির আলী চরিত্রে অভিনয় করছেন চঞ্চল চৌধুরী।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App