×

ফিচার

রাজনীতি ও থিয়েটারে সমানতালে চৈতি

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৬ নভেম্বর ২০১৭, ০২:৪৯ পিএম

হেমন্ত প্রাচ্য রাজনীতির মঞ্চের সঙ্গে পরিচয় কৈশোরে আর বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে এসে জড়িয়েছেন নাট্যমঞ্চে। দুটো জায়গায় এখন তার কাছে সমান গুরুত্বপূর্ণ। বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সহসভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী চৈতালী হালদার চৈতি। পাশাপাশি নিয়মিত নাট্যচর্চায় যুক্ত আছেন প্রাঙ্গণেমোর নাট্যদলে। রাজনীতির সঙ্গে জড়িয়েছেন পারিবারিকভাবেই। চৈতির বাবা-মা দুজনেই বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত। খুলনায় থানা ছাত্রলীগের মাধ্যমে শুরু চৈতির রাজনৈতিক ক্যারিয়ার। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়ে ঢাকায় শুরু হয় তার পথচলা। ২০১০ সালে এসে যুক্ত হন প্রাঙ্গণেমোরের সঙ্গে। অন্যদিকে ছাত্রলীগে সক্রিয় ভূমিকার জন্য তাকে কেন্দ্রীয় কমিটিতে সহসভাপতি করা হয়। থিয়েটার এবং রাজনীতির ব্যস্ততার প্রসঙ্গ নিয়ে জাতীয় নাট্যশালার চিলেকোঠায় গত ১ নভেম্বর ভোরের কাগজের সঙ্গে আড্ডা দিয়েছিলেন এই তরুণ। চৈতি বলেন, রাজনীতি ও থিয়েটার আমার প্রাণের সঙ্গে মিশে আছে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাস করি। ছোটবেলা থেকে এই আদর্শে বড় হয়েছি। থিয়েটারে যুক্ত হয়ে দেখেছি আমার দল প্রাঙ্গণেমোর একই আদর্শকে ধারণ করে কাজ করছে। ফলে আদর্শিক জায়গায় ছাত্রলীগ এবং থিয়েটার আমার কাছে একই। যুদ্ধপরাধীদের বিচারের দাবিতে ছাত্রলীগের সঙ্গে রাজপথে মিছিল করেছি। আবার প্রাঙ্গণেমোরের সঙ্গে পথনাটকের মাধ্যমে আন্দোলন করেছি। ফলে থিয়েটার করতে এসে আমার রাজনৈতিক আদর্শ যেমন সহায়তা করেছে। আবার রাজনীতির আদর্শিক ভিতটাকে মজবুত করেছে থিয়েটার। প্রাঙ্গণেমোর নাট্যদলের হয়ে ‘শেষের কবিতা’, ‘আওরঙ্গজেব’ ও ‘বিবাদী সারগাম’ নাটকে এখন নিয়মিত অভিনয় করছেন। গতকাল শুক্রবার থেকে প্রাঙ্গণেমোরের নিজস্ব সাতটি নাটক নিয়ে কলকাতায় শুরু হয়েছে ‘প্রাঙ্গণেমোর বাংলাদেশ নাট্যোৎসব’। এই উৎসবে চৈতি অভিনীত তিনটি নাটক মঞ্চস্থ হবে। কলকাতার উৎসব প্রসঙ্গে চৈতি বলেন, প্রাঙ্গণেমোর খুবই সক্রিয় একটি নাট্যদল। সারা বছর থিয়েটার নিয়ে মেতে থাকে, ঢাকার নাট্য দর্শকদের মাতিয়ে রাখে। এমন একটি ব্যস্ত নাট্যদলে কাজ করতে গিয়ে খুবই সময় দিতে হয়। কিন্তু ছাত্রলীগের ব্যস্ততার কারণে আমাকে আবার অন্যদিকেও ব্যস্ত থাকতে হয়। তখন দলের সবাই আমাকে খুবই সহযোগিতা করেন। বিশেষ করে আমার নাট্যগুরু অনন্ত হিরা ও নূনা আফরোজ আমাকে নানাভাবে থিয়েটার ও ছাত্রলীগ যেন সমানতালে করতে পারি তার জন্য সহযোগিতা করেন। চৈতির স্কুল, কলেজ কেটেছে খুলনায়। বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার জন্য ঢাকায় এসেছেন। এরপর জড়িয়েছেন থিয়েটারে। পাশাপাশি ছাত্রলীগেও সক্রিয়ভাবে কাজ করছেন। এর মধ্যে থেকেই অভিনেত্রী হিসেবে নিজেকে তৈরি করছেন বলে জানান। অভিনেত্রী হিসেবে, মঞ্চ, টিভি নাটক, চলচ্চিত্র সব মাধ্যমে কাজ করতে চান তিনি। চৈতি বলেন, থিয়েটারে নির্দেশনার কাজ করার স্বপ্ন দেখি। তবে আপাতত অভিনেত্রী হিসেবেই নিজেকে তৈরি করছি। টিভি নাটক কিংবা চলচ্চিত্রেও নিয়মিত অভিনয় করব। সেভাবেই নিজেকে তৈরি করছি। আসলে একজন ভালো অভিনয়শিল্পী তো সব মাধ্যমেরেই শিল্পী। তবে আমি থিয়েটারের সঙ্গে এবং রাজনীতির সঙ্গে থাকতে চাই। একইসঙ্গে অভিনেত্রী হিসেবে সব মাধ্যমে কাজ করতে চাই। ভবিষ্যতে এমপি-মন্ত্রী হওয়ার স্বপ্ন দেখার চাইতে মানুষের জন্য কাজ করার স্বপ্নটাই বেশি দেখতে চান বলে জানান তিনি। চৈতি বলেন, বাংলাদেশ ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত আছি। আমার মাস্টার্স শেষ হয়েছে। এখন এমফিল ভর্তি হব। রাজনৈতিক কর্মী হিসেবে আমার একটাই স্বপ্ন বঙ্গবন্ধুর আদর্শে যেন মানুষের জন্য কাজ করতে পারি। থিয়েটার এবং রাজনৈতিক কর্মী হয়েই থাকতে পারি।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App