×

ফিচার

বিয়ের পর কেমন আছেন?

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৬ নভেম্বর ২০১৭, ০৫:০৩ পিএম

গত কয়েক বছরে নায়িকাদের একটা বড় অংশ বিয়ের পিঁড়িতে বসেছেন। ক্যারিয়ারের মধ্যভাগে কিংবা পড়ন্ত সময়ে সংসারধর্মে জড়িয়েছেন একাধিক নায়িকা। বিয়ের পর কেমন আছেন তারা?
রুপালি পর্দার নায়িকাদের বিয়ে আর সাধারণ মেয়েদের বিয়ের মধ্যে কিছু তফাৎ রয়েছে। নায়িকাদের বিয়ের প্রতি জনগণের তীব্র কৌত‚হল। নায়িকার পরিচিতি আসার সঙ্গে সঙ্গেই তার বিয়ের দিনটি নিয়ে বাড়ে দর্শকদের উৎকণ্ঠা। কার গলায় মালা দেবেন নায়িকা আর কার সঙ্গেই বা প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে আছেন, তা ভেবে জনতার ঘুম মাথায় ওঠে। এ জন্যই মিডিয়ার কড়া নজরদারি থাকে নায়িকার প্রেমঘটিত সম্পর্কগুলোর ওপর। বিয়ের পরিণতির দিকে এগোতে নিলেই মিডিয়া নীরবে তথ্য উদঘাটনে ব্যস্ত হয়ে পড়ে। নায়িকাদের বিয়ের ঘটনা লুকানোর প্রবণতা থেকেই নিষিদ্ধ বিষয়ের প্রতি দ্বিগুণ আগ্রহদেখা দেয় চলচ্চিত্র জগতের লোকদের। সিংহভাগ নায়িকার বিয়ে যথাযথ আনুষ্ঠানিকতার সঙ্গে হয় না। ক্যারিয়ার বাঁচাতে নায়িকারা চেপে যান বিয়ের ঘটনা। বিয়ে করলে ক্যারিয়ার ধসে যায় এমন ধারণা প্রচলিত থাকায় নায়িকারা ধুমধাম করে বিয়ে থেকে নিজেকে এড়িয়ে নেন। সব নায়িকার বেলায়ই এমন ঘটনা ঘটে না। কেউ কেউ দেশবাসীকে জানিয়েই পরিণয়সূত্রে আবদ্ধ হোন। এরপরও রয়েছে বিয়ে নিয়ে বিভ্রান্তি। প্রথম বিয়ে নাকি কততম বিয়ে তা নিয়েও রয়ে যায় ধোঁয়াশা। গত কয়েক বছরে নায়িকাদের একটা বড় অংশ বিয়ের পিঁড়িতে বসেছেন। ক্যারিয়ারের মধ্যভাগে কিংবা পড়ন্ত সময়ে সংসারধর্মে জড়িয়েছেন একাধিক নায়িকা। বিয়ের পর কেমন আছেন তারা? পেছন থেকেই শুরু করা যাক। দশ বছর আগে ২০০৭ সালের ৪ নভেম্বর বিয়ের পিঁড়িতে বসেন পূর্ণিমা। তার স্বামী ফাহাদ বিমানের ক্যাপ্টেন। তাদের ঘরে ফুটফুটে একটি মেয়েও রয়েছে। কিন্তু পূর্ণিমা দীর্ঘদিন ধরেই ফাহাদের সংসারে নেই। তাদের আনুষ্ঠানিক ডিভোর্স হয়েছে কিনা তাও জানা যায়নি। পূর্ণিমাকে স্বামীর সঙ্গে কোথাও দেখা যায় না। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পর্যন্ত নয়। স্বামীর ব্যাপারে মুখ খুলতে রাজি নন পূর্ণিমা। সুন্দরী এই নায়িকাকে তার স্বামী অভিনয়ে বাধা দিতেন বলেও গুঞ্জন ছিল। যে কারণে অভিনয়ে ইতি ঘটেছিল পূর্ণিমার ক্যারিয়ারের। তাই পূর্ণিমার সংসার জীবনকে সুখী সংসার বলার উপায় নেই। পূর্ণিমার বিয়ের পরের বছর বিয়ের পিঁড়িতে বসেন অপু বিশ্বাস। কিন্তু তার বিয়ের খবর প্রকাশিত হয় চলতি বছর। ২০০৮ সালের ১৭ এপ্রিল সহশিল্পী শাকিব খানকে বিয়ে করেন অপু। প্রায় দশ বছর নিজের বিয়েকে চেপে রাখেন তিনি। এ বছর নিজের বিয়ে ও একটি ছেলে সন্তান থাকার কথা মিডিয়ার কাছে স্বীকার করেন অপু। তারপর অপু ও শাকিবের মধ্যে প্রকাশ্যে দ্ব›দ্ব বাধে। কিছুদিন আগে ছেলে আব্রাম খানের প্রথম জন্মদিন পালন করলেন অপু। যদিও দুজনের সম্পর্কের বরফ এখনো গলেনি। আশঙ্কা করা হচ্ছে তালাকের। ২০১১ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর পর্দাসঙ্গী অনন্ত জলিলকে জীবনসঙ্গী হিসেবে বেছে নেন বর্ষা। অনন্তর সঙ্গেই অভিনয় শুরু করেন বর্ষা। তার সঙ্গেই সবগুলো ছবি করেন। অনন্ত-বর্ষার বিবাহিত জীবনে প্রথমদিকে টানাপড়েন হলেও এখন তারা সুখে আছেন বলেই ধারণা করা যায়। তাদের সংসারে আরিজ নামে একটি ছেলে রয়েছে। অনন্ত-বর্ষা তিন বছর আগে শেষবার ক্যামেরায় আসেন। অভিনয়ে বিরতি দিলেও তারা সবসময় থাকেন আলোচনায়। অপুর সমসাময়িক রেসি। তিনি হুট করেই ২০১২ সালের ২২ জুন বিয়ের পিঁড়িতে বসে যান। ডিপজলের সঙ্গে তার প্রেমের গুঞ্জন ছিল। সেই সময় বলা নেই কওয়া নেই, চট্টলার ব্যবসায়ী পান্থ শাহরিয়ারের গলায় মালা দেন রেসি। অবসান হয় সব গুজবের। রেসির বর সপরিবারে চট্টগ্রামে বাস করলেও তার আদিবাড়ি ঝিনাইদহ। মাঝখানের বেশ কয়েক বছর তিনি অস্ট্রেলিয়ায় ছিলেন। ২০১৩ সালের ২২ জুলাই প্রথম মা হোন রেসি। পরে আরো একটি মেয়ের মুখ দেখেন রেসি। সংসারধর্মেই এখন ব্যস্ত তিনি। অভিনয়ে তাকে দেখা যায় কালেভদ্রে। শাবনূরেরও বিয়ের বাদ্য বাজে ২০১২ সালে। ওই বছরের ৬ ডিসেম্বর বিয়ের কাজ সেরেছেন তিনি। শত শত ছবিতে তার বিয়ে ধুমধামের সঙ্গে হলেও একেবারে ঘরোয়া পরিবেশে শাবনূরের আসল বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করা হয়। শাবনূরের বর অনীক মাহমুদ পেশায় একজন ব্যবসায়ী। বয়সেও তিনি শাবনূরের ছোট। শাবনূর-অনিকের ঘরে একটি ছেলেও রয়েছে। বিয়ের পরও শাবনূর অধিকাংশ সময় অস্ট্রেলিয়ায় কাটান। গুঞ্জন আছে, স্বামীর সঙ্গে তার বনিবনা কম। তবু সংসারেই ব্যস্ত শাবনূর। অভিনয় ক্যারিয়ারে প্রায় ইতিই ঘটিয়েছেন। শাবনূরের পরের প্রজন্মের অভিনেত্রী সাহারা। বহু বাণিজ্যসফল ছবির নায়িকা। আচমকা ২০১৫ সালের ৮ মে বিয়ের বন্ধনে জড়িয়ে পড়েন তিনি। ‘ঢাকা টু বোম্বে’ ছবির প্রযোজকের গলায় মালা দেন সাহারা। ৮ মের আগেই তার বিয়ে হয় বলে রটনা আছে। ৮ মে আনুষ্ঠানিকতা করে স্বামীর ঘরে ওঠেন সাহারা। বিয়ের দুই বছর পেরিয়ে গেছে। এখনো মাতৃত্বের স্বাদ পাননি সাহারা। ফিরে আসেননি প্রিয় কর্মস্থল এফডিসিতেও। সাহারার বিয়ের দুই সপ্তাহ পর এই সময়ের এক নম্বর নায়িকা মাহিয়া মাহি সবাইকে চমকে দিয়ে বিয়ের পিঁড়িতে বসেন। গত বছর ২৫ মে তার বিয়ের সব আনুষ্ঠানিকতা হয়। তার স্বামী অপুর বাড়ি সিলেটে। তিনি ব্যবসায়ী। বিয়ের পর মাহি ক্যারিয়ার ধরে রেখেছেন। সম্প্রতি তার ছবি ব্যবসাসফলও হয়েছে। বিয়ের পর ‘ঢাকা অ্যাটাক’ই তার মুক্তিপ্রাপ্ত প্রথম ছবি। তার ক্যারিয়ার বিয়ের আগের মতোই এগিয়ে চলেছে সামনে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App