×

আন্তর্জাতিক

গ্লাসগোর ‘ফ্রিডম অব সিটি’ খেতাব হারালেন সুচি

Icon

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ০৬ নভেম্বর ২০১৭, ১২:১৮ পিএম

যুক্তরাজ্যের গ্লাসগো নগর কাউন্সিল মিয়ানমারের স্টেট কাউন্সিলর অং সান সুচিকে দেওয়া সম্মান প্রত্যাহার করে নেওয়ার পক্ষে সর্বসম্মতভাবে ভোট দিয়েছে। বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গাদের ওপর সেনাবাহিনীর হত্যা, নির্যাতনে মানবাধিকার লঙ্ঘন এবং এ ঘটনায় সুচির প্রতিক্রিয়ার প্রতিবাদ স্বরূপ 'ফ্রিডম অব সিটি' খেতাব প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে গ্লাসগো কর্তৃপক্ষ। ২০০৯ সালে সুচি যখন মিয়ানমারে তার বাসভবনে অন্তরীন ছিলেন, তখন তাকে এই খেতাব দিয়েছিল গ্লাসগো নগর কাউন্সিল। গ্লাসগোর লর্ড প্রভোস্ট ইভা বোল্যান্ডার বলেন, রাখাইনে রোহিঙ্গাদের ওপর চালানো নৃশংসতার ব্যপারে উদ্বেগ জানিয়ে, এবং সে ব্যপারে ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি এবং নগরীর কাউন্সিলর সুচিকে একটি চিঠি লিখেছিলেন, যেখানে বলা হয়, 'আমরা তার যে প্রতিক্রিয়া দেখেছি, তা হতাশাজনক এবং দুঃখের।' খেতাব ফিরিয়ে নেওয়ার ঘটনাকে তিনি নজিরবিহীন বলে বর্ণনা করেন। গত অাগস্টে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর হত্যা-নির্যাতন শুরুর পর থেকে প্রাণ বাঁচাতে এ পর্যন্ত ছয় লাখের বেশি রোহিঙ্গা মুসলমান পালিয়ে বাংলাদেশে ঢুকেছে। এদিকে গ্লাসগো ইউনিভার্সিটি থেকে সুচিকে দেওয়া সম্মানজনক ডিগ্রি ফেরত নেওয়ারও একটি দাবি উঠেছে। যদিও বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, তেমনটি হওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম। মাত্র কয়েকদিন আগেই, রোহিঙ্গা ইস্যুতে 'ইচ্ছাকৃতভাবে উদাসীনতা' দেখানোর অভিযোগে যুক্তরাজ্যের আরেক শহর শেফিল্ডও সুচিকে দেয়া 'ফ্রিডম অব সিটি' খেতাব প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নেয়। শেফিল্ডের কাউন্সিলর সোরাইয়া সিদ্দিকী বলেন, 'সুচিকে দেওয়া সম্মানটি যদি আমরা চালিয়ে যাই, তাহলে আমাদের শহরের সুনাম প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে পড়বে।' এর আগে গত মাসের শুরুতে অক্সফোর্ড শহরের নগর কাউন্সিল সুচিকে দেওয়া সম্মান প্রত্যাহার করে নেওয়ার পক্ষে ভোট দেয়। তার আগে সেপ্টেম্বরে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের যে কলেজে ১৯৬৪ সাল থেকে ১৯৬৭ সাল পর্যন্ত সুচি পড়েছেন, সেই সেন্ট হিউজ কলেজ কর্তৃপক্ষ সুচির একটি ছবি নামিয়ে ফেলে। এছাড়া সুচির নোবেল পদক প্রত্যাহারের দাবিতে অনলাইনে এক পিটিশনে সই করে কয়েক লাখ মানুষ। যদিও নোবেল কর্তৃপক্ষ সে সম্ভাবনা নাকচ করেছেন। অাগস্টে নতুন করে রোহিঙ্গা সংকট শুরুর পর বৃহস্পতিবার মিয়ানমারের রাখাইনে প্রথমবারের মত সফরে গিয়ে সুচি রোহিঙ্গাদের 'ঝগড়াবিবাদ' না করে মিলেমিশে থাকার আহ্বান জানান। অবশ্য আন্তর্জাতিকভাবে এজন্য তিনি ব্যাপক নিন্দার মুখে পড়েছেন।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App