×

আন্তর্জাতিক

জেল হত্যা দিবসে যুক্তরাষ্ট্র আ.লীগের দোয়া ও আলোচনা সভা

Icon

শামীম আহমেদ

প্রকাশ: ০৫ নভেম্বর ২০১৭, ০৬:১৪ এএম

সপরিবারে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর সদ্য স্বাধীন দেশকে নেতৃত্বশূন্য করার ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি মুক্তিযুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখা জাতীয় চার নেতাকে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে নৃশংসভাবে হত্যা করে। নিউইয়র্কে জেল হত্যা দিবস উপলক্ষে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামীলীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় বক্তারা এ কথা বলেন। স্থানীয় সময় গত ৩ রা নভেম্বর শুক্রবার সন্ধ্যায় জ্যাকসন হাইটসের নিউ মেজবান রেষ্টুরেন্টে জেল হত্যা দিবস উপলক্ষে দোয়া মাহফিল ও আলোচনা সভার আয়োজন করে দলটি। যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সভাপতি ড. সিদ্দিকুর রহমানের সভাপতিত্বে এবং ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সামাদ আজাদের পরিচালনায় এ অনুষ্ঠানে পবিত্র কুরআন থেকে তেলাওয়াত ও দোয়া মুনাজাত পরিচালনা করেন কার্যকরী সদস্য আতাউল গনি আসাদ। মুনাজাতে ১৫ই আগস্টের শহীদ ও জাতীয় নেতাদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করা হয়। অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন যুক্তরাষ্ট্র সফররত ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার প্রফেসর ড. মোহাম্মদ সেলিম তোহা, যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি আকতার হোসেন, সৈয়দ বসারত আলী, মাহবুবুর রহমান, শামসুদ্দিন আজাদ, আবুল কাশেম ও লুৎফুল করিম, সাংগঠনিক সম্পাদক মহিউদ্দিন দেওয়ান, কোষাধ্যক্ষ আবুল মনসুর খান, মুক্তিযোদ্ধা বিষযক সম্পাদক মোজাহিদুল ইসলাম চৌধুরী, ত্রাণ ও পূনর্বাসন সম্পাদক জাহাঙ্গির হোসেন, কৃষি বিষয়ক সম্পাদক আশরাফুজ্জামান, মানবাধিকার বিষয়ক সম্পাদক মিসবাহ আহমেদ, শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক ফরিদ আলম, প্রবাসী কল্যাণ সম্পাদক সোলায়মান আলী, উপ দপ্তর সম্পাদক আবদুল মালেক, জহিরুল ইসলাম, উপ প্রচার সম্পাদক তৈয়বুর রহমান টনি, মহিলা বিষয়ক সম্পাদক শিরিন আক্তার দীবা, কার্যকরী সদস্য মুজিবুল মাওলা, সামছুল আবেদীন, আলী হোসেন গজনবী, খেরশেদ খন্দকার, রফিকুল ইসলাম পাটোয়ারি, ইঞ্জিনিয়ার জহিরুল ইসলাম, আজহারুল ইসলাম লিটন, আমিনুল ইসলাম কলিন্স, নিউইয়র্ক মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি জাকারিয়া চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক সাদেক শিবলী, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক আব্দুল কাদের মিয়া, মুক্তিযোদ্ধা নূরে আলম বাবু, নিউইয়র্ক স্টেট আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি রফিকুল ইসলাম, শেখ আতিকুল ইসলাম, সেচ্ছাসেবক লীগের সহ আন্তর্জাতিক সম্পাদক শাখাওয়াত বিশ্বাস, আওয়ামী লীগ নেতা কফিল চৌধুরী, বি এম মোজাম্মেল হিরু ভূইয়া, সৈয়দ এনায়েত আলী, আবুল কাসেম ভূইয়া, এমএ আলম বিপ্লব, জহিরুল ইসলাম, আবু মুসা, এন আমিন, খসরুজ্জামান খসরু, সাহাদাত হোসেন, নুরুল আলম সেন্টু, মো. জসিম উদ্দিন, হুমায়ুন কবীর, মো. মাঈনুদ্দিন, পারভেজ জাহাঙ্গীর, জাহিদ, বারী, রাজু, যুক্তরাষ্ট্র মহিলা লীগের সভাপতি শাহনাজ মমতাজ, সাংগঠনিক সম্পাদক নার্গিস আক্তার বিউটি, নুরুন্নাহার গিনি, ফরিদা আইভী, কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক আলী আক্কাস, যুক্তরাষ্ট্র স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি নুরুজ্জামান সর্দার, যুগ্ম সম্পাদক আনিসুজ্জামান সবুজ, যুক্তরাষ্ট্র শ্রমিক লীগের সহ সভাপতি টি মোল্লা, যুক্তরাষ্ট্র যুবলীগের সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক শেখ জামাল হুসেন, যুগ্ম আহবায়ক সেবুল মিয়া, হুমায়ুন চৌধুরী, ইফজাল চৌধুরী, নুরুল ইসলাম, নান্টু মিয়া প্রমুখ। অনুষ্ঠানে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ, মহিলা লীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, যুবলীগ, শ্রমিক লীগ, কৃষক লীগ ও ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীসহ বিপুল সংখ্যক প্রবাসী উপস্থিত ছিলেন। সমাবেশে বক্তারা বিনম্র শ্রদ্ধায় জাতীয় চার নেতার রাজনৈতিক, সাংগঠনিক, সামাজিক ও কর্মময় জীবনের ওপর আলোকপাত করেন। বক্তারা বলেন, জাতীয় এ চার নেতা আপোষহীন আদর্শিক রাজনীতির উজ্জল নক্ষত্র। আদর্শবান ও অনুকরণীয় ব্যক্তিত্ব হিসেবে তারা বাংলাদেশের ইতিহাসের এক গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়। তাদের আদর্শ অনুকরণ-অনুসরণের মধ্যেই রয়েছে জেল হত্যা দিবস পালনের সার্থকতা। সভাপতির বক্তব্যে ড. সিদ্দিকুর রহমান বলেন, বঙ্গবন্ধুসহ জাতীয় চার নেতার আদর্শ অনুসরণের মাধ্যমে বাংলাদেশকে সোনার বাংলায় পরিণত করা সম্ভব। বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নের্তৃত্বে বিস্ময়কর উন্নতি বাংলাদেশকে আজ নি¤œমধ্যম আয়ের দেশে রূপান্তরীত করেছে। আগামী ২০২১ এ মধ্যম আয়ের দেশ ও ২০৪১ এ উন্নত দেশে পরিণত করতে আওয়ামীলীগকে আবারও ক্ষমতায় আনতে হবে। তিনি বিএনপিনেত্রী খালেদা জিয়ার পুত্র তারেক রহমানের সাম্প্রতিক বক্তব্যের তীব্র সমালোচনা করে বলেন, বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসের বেঈমান-মীরজাফরদের খেলা এখনও শেষ হয়নি। তারা এখনও সক্রিয় নানা ষড়যন্ত্র নিয়ে। তাই দেশে-বিদেশে তাদের ষড়যন্ত্র সম্পর্কে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে। ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার প্রফেসর ড. মোহাম্মদ সেলিম তোহা বলেন, ১৫ আগস্ট, ৩রা নভেম্বর এবং ২১ শে আগস্ট একই সূত্রে গাঁথা। বিচার বিভাগীয় কমিশনের গঠনের মাধ্যমে এসব হত্যাকান্ডের নেপথ্য নায়কদের বিচারের আওতায় আনতে হবে। তাহলেই এসব জঘন্যতম ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটবে না। উল্লেখ্য, ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখা জাতীয় চার নেতা স্বাধীনতা যুদ্ধকালীন অস্থায়ী প্রেসিডেন্ট সৈয়দ নজরুল ইসলাম, প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদ, অর্থ, শিল্প ও বাণিজ্যমন্ত্রী ক্যাপ্টেন এম মনসুর আলী এবং স্বরাষ্ট্র, বেসামরিক সরবরাহ, ত্রাণ, পুনর্বাসন ও কৃষিমন্ত্রী এএইচএম কামরুজ্জামানকে ১৯৭৫ সালের ৩ রা নভেম্বর ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App