×

জাতীয়

৪৬তম জাতীয় সমবায় দিবস আজ

Icon

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ০৪ নভেম্বর ২০১৭, ১১:১৮ এএম

জাতীয় উন্নয়ন ও অগ্রগতি অর্জনে সমবায় একটি সফল পদ্ধতি। একক প্রচেষ্টায় যা করা সম্ভব নয় সমবায় পদ্ধতিতে তা সহজেই করা সম্ভব। তাই বিশ্বব্যাপী জনগণের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের অন্যতম কার্যকর কৌশল হিসেবে সমবায় পদ্ধতির ব্যবহার চলছে। ৪৬তম জাতীয় সমবায় দিবস আজ। এবারে দিবসটির প্রতিপাদ্য ‘উৎপাদনমুখী সমবায় করি, উন্নত বাংলাদেশ গড়ি’। দিবসটি আজ দেশব্যাপী গুরুত্বের সাথে উদযাপন করা হচ্ছে। এ উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন। দিবসটি উপলক্ষে পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগ কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। এর মধ্যে রয়েছে- র‌্যালি ও আলোচনা সভা। সরকারি সূত্রে জানা গেছে, দেশে এই মুহূর্তে ১ লক্ষ ৭৫ হাজার ৭৭০টি নিবন্ধিত সমবায় প্রতিষ্ঠানে প্রায় ১ কোটি ৬ লাখ ৯০ হাজার ৭২৮ জন সদস্য রয়েছে। সমবায় সমিতিগুলোর কার্যকরী মূলধন প্রায় ১৪ হাজার ৫৪ কোটি টাকা এবং মোট সম্পদের পরিমাণ প্রায় ৭ হাজার ৩২ কোটি টাকা। এ সকল সমবায়ের মাধ্যমে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে ৮ লাখ ২৬ হাজার ৭৩৮ জন লোকের কর্মসংস্থান হয়েছে। এছাড়াও সমবায়ভিত্তিক ‘একটি বাড়ি একটি খামার’ প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। এখন থেকে আর মাইক্রোক্রেডিট নয়, ‘মাইক্রো সেভিংস’র ব্যবস্থা করা হয়েছে। গড়ে তোলা হয়েছে পল্লী সঞ্চয় ব্যাংক। সমবায় মন্ত্রণালয়ের দেওয়া তথ্যে জানা গেছে, বিগত বছরগুলোতে সমবায়ের মাধ্যমে দুগ্ধ উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছে সরকার। আরও দুইটি দুগ্ধভিত্তিক প্রকল্প বাস্তবায়নের কাজ চলমান রয়েছে। পাশাপাশি কৃষি ও অকৃষি পণ্য উৎপাদন ও বাজারজাতকরণের জন্য কাজ করে যাচ্ছে সরকার। রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ আধুনিক প্রজন্মের উপযোগী সমবায় সমিতি গঠনের প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেছেন। দেওয়া বাণীতে তিনি বলেন, ‘সমবায়ের সফলতার জন্য সৎ ও যোগ্য নেতৃত্বের পাশাপাশি পারস্পরিক সহযোগিতা ও সহমর্মিতা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তাই সমবায় সমিতি গঠনে এবং নেতৃত্ব নির্বাচনে সমবায়ীদের দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে।’ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সমবায়ের আদর্শ ও মূল্যবোধে উজ্জীবিত হয়ে দেশের সকল সমবায়ী ভাইবোনকে দেশ ও জাতির উন্নয়নে অংশীদার হওয়ার আহবান জানিয়েছেন। দেওয়া বাণীতে তিনি বলেন, ‘আমাদের সম্পদ সীমিত। সে সীমিত সম্পদকে সঠিকভাবে কাজে লাগিয়ে সমবায় খাতকে আরও শক্তিশালী ভীতের উপর প্রতিষ্ঠিত করার জন্য সমবায়ীগণকে উৎপাদনমুখী কার্যক্রমে আত্মনিয়োগ করতে হবে।’ তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশের অর্থনীতিকে সুদৃঢ় করতে সমবায়কে স্বীকৃতি দিয়েছিলেন। জনগণের দুগ্ধজাত পুষ্টির চাহিদা পূরণের জন্য মিল্ক ভিটা প্রতিষ্ঠা করেছিলেন এবং মাদারীপুর জেলার টেকেরহাটে মিল্ক ভিটার প্রথম প্ল্যান্ট স্থাপন করেছিলেন, যা আজো দেশের বৃহত্তম তরল দুগ্ধ উৎপাদনকারী ও বিতরণকারী সমবায় প্রতিষ্ঠান হিসেবে তার মর্যাদা অক্ষুণ্ণ রাখতে সক্ষম হয়েছে।’
 

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App