×

মুক্তচিন্তা

হায়েনারা এখনো বঙ্গবন্ধুকে ভয় পায়

Icon

কাগজ অনলাইন প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৩ নভেম্বর ২০১৭, ১০:৫২ পিএম

পাকিস্তান এই কাজটি করেছে ঠিক তখনই, যখন বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণটি ‘মেমোরি অব দ্য ওয়ার্ল্ড’ হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে ইউনেস্কো। বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ আন্তর্জাতিক দলিলে অন্তর্ভুক্তির মাধ্যমে তালিকাভুক্ত ঐতিহ্যের সংখ্যা এখন ৪২৭টি। এটি পাকিস্তানিরা মানতে পারেনি। তারা তাদের দানবিক চেহারা আবারো দেখিয়েছে।

পাক হায়েনারা এখনো বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে ভয় পায়। ভয় পায় তাঁর রাজনৈতিক আদর্শকে। এই কথাটি আমি দেশে-বিদেশে অনেক সভা-সেমিনারে বলেছি। বলেছি, পাকিস্তানের সঙ্গে বাংলাদেশের আন্তরিক সম্পর্ক কখনো হওয়ার নয়। যা হতে পারে, তা কূটনৈতিক চালাচাল। কিন্তু দিনে দিনে দেখা যাচ্ছে, পাকিস্তান বাংলাদেশের সঙ্গে কূটনৈতিক আচারও শুদ্ধভাবে রাখতে পারছে না। আবারো সেই মিথ্যাচার। পাকিস্তান বলছে জিয়াউর রহমানই স্বাধীনতার ঘোষক। এটা কেন করছে তারা? কারণ একটাই, তারা মুজিবকে সহ্য করতে পারে না। এখনো মুজিবীয় আদর্শকে ভয় পায়। এখনো ৭ মার্চের ভাষণ তাদের কানে বাজে। এখনো পরাজিত পাক জেনারেলরা ঘুমের মধ্যে দুঃস্বপ্ন দেখে কুঁকড়ে ওঠে। এখনো পাক রাজনীতিকরা ভয়ে কাঁপে মুজিবের নাম শুনে। তারা চায় বাংলাদেশের ভেতরেই বিভক্তি হোক। এখনো বাংলাদেশ পাকিস্তানের তাঁবেদার হয়ে থাকুক। কাজটি তারা করেই চলেছে। বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসকে তারা বিকৃত করার প্রয়াস চালিয়েই যাচ্ছে। অতিসম্প্রতি, ঢাকায় পাকিস্তান হাইকমিশনের ফেসবুক পেজে বাংলাদেশের স্বাধীনতার ইতিহাস বিকৃতি করে একটি ভিডিও প্রচার করা হয়েছে। এই ঘটনায় দেশটির হাইকমিশনারকে তলব করে তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ। একই সঙ্গে বাংলাদেশ এ ঘটনার জন্য পাকিস্তানকে লিখিতভাবে ক্ষমা চাওয়ার আহ্বান জানিয়েছে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব কামরুল আহসান, ঢাকায় পাকিস্তানের হাইকমিশনার রাফিউজ্জামান সিদ্দিকীকে তলব করে ওই আহ্বান জানান। পাকিস্তান অব্যাহতভাবে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছে উল্লেখ করে সরকার পাকিস্তানকে সীমা না ছাড়ানোর ব্যাপারে সতর্ক করেছে।

‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নয়, জিয়াউর রহমানই বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষক!’ কয়েকদিন ধরে ঢাকায় পাকিস্তান হাইকমিশন তার পরিচালিত একটি ফেসবুক পেজে প্রায় ১৪ মিনিটের একটি ভিডিও প্রকাশ করে প্রচারণা চালায়। ওই ভিডিওতে আরো দাবি করা হয়, শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের স্বাধীনতাই চাননি। তিনি স্বায়ত্তশাসন চেয়েছিলেন। এ নিয়ে জাতীয় দৈনিকগুলো রিপোর্ট করে। এরপর ঢাকায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে পাকিস্তানের হাইকমিশনারকে মন্ত্রণালয়ে আসতে বলার পরপরই হাইকমিশনের ফেসবুক পেজ থেকে বিতর্কিত ওই ভিডিওটি সরিয়ে ফেলা হয়। ওই ফেসবুক পেজ তাদের নয়া পাকিস্তান হাইকমিশন এমন দাবি করতে পারে বলেও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের মধ্যে আশঙ্কা দেখা দেয়। তবে হাইকমিশনারকে তলব করার খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই ফেসবুক পেজ থেকে ভিডিওটি সরিয়ে ফেলার মাধ্যমে এর সঙ্গে তাদের সম্পৃক্ততা স্পষ্ট হয়ে ওঠে। পরে পাকিস্তানের হাইকমিশনার রাফিউজ্জামান সিদ্দিকী ওই ভিডিও প্রকাশের সঙ্গে তাদের সম্পৃক্ততার বিষয়টি অস্বীকার করেননি। বরং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে জানিয়েছেন, তারা ওই ভিডিও লিংকটি সরিয়ে ফেলেছেন এবং এ জন্য তারা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কাছে দুঃখ প্রকাশ করেছেন। পাকিস্তানের হাইকমিশনার দাবি করেছেন ওই ভিডিও প্রকাশের মাধ্যমে বিতর্ক সৃষ্টির কোনো উদ্দেশ্য তাদের ছিল না।

পাকিস্তানের হাইকমিশনারকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অ্যাম্বাসাডর লাউঞ্জে প্রায় আধাঘণ্টা বসিয়ে রাখা হয়। এরপর পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব কামরুল আহসান তাকে তার কক্ষে ডেকে নিয়ে প্রায় ৫০ মিনিট কথা বলেন। পাকিস্তানের হাইকমিশনার বাংলাদেশের দেয়া প্রতিবাদপত্র নিয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ছেড়ে যাওয়ার সময় সাংবাদিকরা কথা বলতে চাইলে তিনি বলেন, ‘নো কমেন্ট’।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব কামরুল আহসান সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘স্বাভাবিক ক‚টনৈতিক নিয়মের অংশ হিসেবে পাকিস্তানের হাইকমিশনারকে ডাকা হয়েছিল। তাকে আমরা বলেছি, তাদের হাইকমিশনের ওয়েবসাইটে যে ভিডিওটি তারা শেয়ার করেছে সেটি দুই দেশের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ককে ক্ষতিগ্রস্ত করবে। ইতিহাস তো ইতিহাস। এটি তো আর পরিবর্তনশীল নয়। যেটি বাস্তবতা সেটিই সবাইকে মেনে নিতে হবে।’ পাকিস্তান এই কাজটি করেছে ঠিক তখনই, যখন বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণটি ‘মেমোরি অব দ্য ওয়ার্ল্ড’ হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে ইউনেস্কো। ‘মেমোরি অব দ্য ওয়ার্ল্ড ইন্টারন্যাশনাল রেজিস্টার’-এ বিশ্বের বিভিন্ন ঐতিহাসিক বিষয় তালিকাভুক্তির জন্য সুপারিশ করে ইন্টারন্যাশনাল অ্যাডভাইজরি কমিটি (আইএসি)। গত ২৪-২৭ অক্টোবর আইএসি কমিটির সভায় বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণকে ‘মেমোরি অব দ্য ওয়ার্ল্ড ইন্টারন্যাশনাল রেজিস্টার’-এ তালিকাভুক্তির বিষয়ে সুপারিশ করা হয়। বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ আন্তর্জাতিক দলিলে অন্তর্ভুক্তির মাধ্যমে তালিকাভুক্ত ঐতিহ্যের সংখ্যা এখন ৪২৭টি। এটি পাকিস্তানিরা মানতে পারেনি। তারা তাদের দানবিক চেহারা আবারো দেখিয়েছে।

এটা খুবই আশার কথা, পাকিস্তানের হাইকমিশনারকে বাংলাদেশ আরো মনে করিয়ে দিয়েছে, বাংলাদেশের দীর্ঘ স্বাধীনতা আন্দোলন চ‚ড়ান্ত রূপ পায় ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বাধীনতার ঘোষণার মাধ্যমে এবং এটি অর্জিত হয় ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর পাকিস্তানের আত্মসমর্পণের মাধ্যমে। বাংলাদেশ জোর দিয়ে বলেছে, বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতার ঘোষণা এবং বর্বর পাকিস্তানি বাহিনীর বিরুদ্ধে অস্ত্র হাতে তুলে নিতে তাঁর স্পষ্ট আহ্বান বাংলাদেশের মুক্তি সংগ্রামের অন্যতম মাইলফলক। তাঁর ওই আহ্বান হাজার হাজার বাঙালি মুক্তিযোদ্ধাকে বাংলাদেশকে মুক্ত করতে লড়াই চালানোয় উদ্বুদ্ধ করেছিল। এমনকি পাকিস্তানের কিছু ইতিহাসবিদও বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে বঙ্গবন্ধুর একক ও গুরুত্বপূর্ণ ভ‚মিকার কথা তুলে ধরেছেন। বাংলাদেশ সরকার পাকিস্তানের হাইকমিশনারকে বলেছে, এ ধরনের কূটনৈতিক শিষ্টাচারবহিভর্‚ত আচরণ বাংলাদেশের জনগণের, বিশেষ করে ৩০ লাখ শহীদ এবং প্রায় পাঁচ লাখ নির্যাতিত নারীর অনুভ‚তিতে আঘাত করে।

হ্যাঁ, পাক হায়েনারা সাতই মার্চের ভাষণটিকে ভয় পায়। মুজিবের শাণিত আঙুলকে ভয় পায়। আর পায় বলেই তারা জাতির জনকের নাম মুছে দেয়ার চেষ্টা করে বৃথাই। বঙ্গবন্ধুর ১৯ মিনিটের সেই ভাষণটি ছিল অলিখিত। সেখানে তিনি অনেক ঘটনাই বলে দিয়েছিলেন। তিনি বলেছিলেনÑ ‘ভাইয়েরা আমার, আজ দুঃখ ভারাক্রান্ত মন নিয়ে আপনাদের সামনে হাজির হয়েছি। আপনারা সবই জানেন এবং বুঝেন। আমরা আমাদের জীবন দিয়ে চেষ্টা করেছি। কিন্তু দুঃখের বিষয়, আজ ঢাকা, চট্টগ্রাম, খুলনা, রাজশাহী, রংপুরে আমার ভাইয়ের রক্তে রাজপথ রঞ্জিত হয়েছে। আজ বাংলার মানুষ মুক্তি চায়, বাংলার মানুষ বাঁচতে চায়, বাংলার মানুষ তার অধিকার চায়। কী অন্যায় করেছিলাম আমরা, নির্বাচনে বাংলাদেশের মানুষ সম্পূর্ণভাবে আমাকে, আওয়ামী লীগকে ভোট দেন। আমাদের ন্যাশনাল এসেম্বলি বসবে, আমরা সেখানে শাসনতন্ত্র তৈরি করবো এবং এই দেশকে আমরা গড়ে তুলবো, এ দেশের মানুষ অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক মুক্তি পাবে। কিন্তু দুঃখের বিষয়, আজ দুঃখের সঙ্গে বলতে হয়, তেইশ বৎসরের করুণ ইতিহাস বাংলার অত্যাচারের, বাংলার মানুষের রক্তের ইতিহাস। তেইশ বৎসরের ইতিহাস মুমূর্ষু নরনারীর আর্তনাদের ইতিহাস; বাংলার ইতিহাস এ দেশের মানুষের রক্ত দিয়ে রাজপথ রঞ্জিত করার ইতিহাস। ১৯৫২ সালে রক্ত দিয়েছি। ১৯৫৪ সালে নির্বাচনে জয়লাভ করেও আমরা গদিতে বসতে পারি নাই। ১৯৫৮ সালে আইয়ুব খান মার্শাল ল’ জারি করে দশ বৎসর পর্যন্ত আমাদের গোলাম করে রেখেছে। ১৯৬৬ সালে ছয়দফা আন্দোলনে ৭ জুনে আমার ছেলেদের গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। ১৯৬৯-এর আন্দোলনে আইয়ুব খানের পতন হওয়ার পর যখন ইয়াহিয়া খান সাহেব সরকার নিলেন, তিনি বললেন, দেশে শাসনতন্ত্র দেবেন, গণতন্ত্র দেবেন। আমরা মেনে নিলাম। তারপরে অনেক ইতিহাস হয়ে গেলো, নির্বাচন হলো। আমি প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খান সাহেবের সঙ্গে দেখা করেছি। আমি, শুধু বাংলায় নয়, পাকিস্তানের মেজরিটি পার্টির নেতা হিসেবে তাকে অনুরোধ করলাম, ১৫ ফেব্রæয়ারি তারিখে আপনি জাতীয় পরিষদের অধিবেশন দেন। তিনি আমার কথা রাখলেন না, তিনি রাখলেন ভুট্টো সাহেবের কথা। তিনি বললেন, প্রথম সপ্তাহে মার্চ মাসে হবে। আমরা বললাম, ঠিক আছে, আমরা অ্যাসেম্বলিতে বসবো। আমি বললাম, অ্যাসেম্বলির মধ্যে আলোচনা করবো; এমনকি আমি এ পর্যন্তও বললাম, যদি কেউ ন্যায্য কথা বলে, আমরা সংখ্যায় বেশি হলেও, একজনও যদি সে হয়, তার ন্যায্য কথা আমরা মেনে নেবো।’

সাহসী বাঙালিপুত্র শেখ মুজিব জাতিকে জানিয়ে রেখেছিলেন কী হচ্ছে, কী হতে পারে। তিনি তাঁর ভাষণে বলেছিলেনÑ ‘২৫ তারিখে অ্যাসেম্বলি কল করেছে। রক্তের দাগ শুকায় নাই। আমি ১০ তারিখে বলে দিয়েছি যে, ওই শহীদের রক্তের ওপর পা দিয়ে কিছুতেই মুজিবুর রহমান যোগদান করতে পারে না। অ্যাসেম্বলি কল করেছে। আমার দাবি মানতে হবে প্রথম, সামরিক আইন মার্শাল ল’ উইথড্র করতে হবে, সমস্ত সামরিক বাহিনীর লোকদের ব্যারাকে ফেরত নিতে হবে, যেভাবে হত্যা করা হয়েছে তার তদন্ত করতে হবে আর জনগণের প্রতিনিধির কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে হবে। তারপর বিবেচনা করে দেখবো, আমরা অ্যাসেম্বলিতে যেতে পারবো কি পারবো না। এর পূর্বে অ্যাসেম্বলিতে বসতে আমরা পারি না। আমি প্রধানমন্ত্রিত্ব চাই না। আমি এ দেশের মানুষের অধিকার চাই। আমি পরিষ্কার অক্ষরে বলে দিবার চাই যে, আজ থেকে এই বাংলাদেশে কোর্ট-কাচারি, আদালত-ফৌজদারি, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ থাকবে। গরিবের যাতে কষ্ট না হয়, যাতে আমার মানুষ কষ্ট না করে, সে জন্য সমস্ত অন্য জিনিসগুলো আছে সেগুলোর হরতাল কাল থেকে চলবে না। রিকশা, গরুর গাড়ি চলবে, রেল চলবে, লঞ্চ চলবে; শুধু সেক্রেটারিয়েট, সুপ্রিম কোর্ট, হাইকোর্ট, জজকোর্ট, সেমি-গভর্নমেন্ট দপ্তরগুলো, ওয়াপদা কোনো কিছু চলবে না।’

তিনি আদেশ দিয়েছিলেন বিজয়ী রাষ্ট্রনায়কের মতোই। তাঁর দৃঢ় কণ্ঠ ছিল- ‘২৮ তারিখে কর্মচারীরা বেতন নিয়ে আসবেন। এর পরে যদি বেতন দেয়া না হয়, আর যদি একটা গুলি চলে, আর যদি আমার লোকদের হত্যা করা হয়, তোমাদের কাছে আমার অনুরোধ রইলো- প্রত্যেক ঘরে ঘরে দুর্গ গড়ে তোলো। তোমাদের যা কিছু আছে তাই নিয়ে শত্রুর মোকাবেলা করতে হবে এবং জীবনের তরে রাস্তাঘাট যা যা আছে সব কিছু, আমি যদি হুকুম দিবার নাও পারি, তোমরা বন্ধ করে দেবে। আমরা ভাতে মারবো, আমরা পানিতে মারবো। তোমরা আমার ভাই, তোমরা ব্যারাকে থাকো, কেউ তোমাদের কিছু বলবে না। কিন্তু আর আমার বুকের ওপর গুলি চালাবার চেষ্টা করো না। সাত কোটি মানুষকে দাবায়ে রাখতে পারবা না। আমরা যখন মরতে শিখেছি, তখন কেউ আমাদের দমাতে পারবে না।’

তিনি তার বক্তব্য শেষ করেছিলেন এই বলেÑ ‘মনে রাখবা, রক্ত যখন দিয়েছি, রক্ত আরো দিবো। এ দেশের মানুষকে মুক্ত করে ছাড়বো ইনশাল্লাহ। এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম। জয় বাংলা। জয় বাংলা।’

আমি জানতে চাই সেই পাকিস্তান আজ কোথায়? এই দেশটি বিশ্বে একটি মৌলবাদী, জঙ্গিবাদী দেশ বলেই পরিচিত। তারা নিজেদের মাঝেই হানাহানি করছে। তাহলে বাংলাদেশ নিয়ে তাদের এত মাথাব্যথা কেন? আর বাংলাদেশে এই পাক-হায়েনাদের মদতদাতাই বা কারা? এসব প্রশ্নের উত্তর বাংলার মানুষকে জানতে হবে। দাঁড়াতে হবে একাত্তরের পক্ষে। মহান মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে। কারণ এই ভ‚খÐে ১৯৭১ এসেছিল বলেই আজকের বাংলাদেশের সব অর্জন।

ফকির ইলিয়াস : কবি, লেখক।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App