স্থপতি হতে চেয়েছিলেন ঐশ্বরিয়া
অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ০১ নভেম্বর ২০১৭, ১২:৩১ পিএম
১৯৯৪ সালে বিশ্ব সুন্দরী খেতাব অর্জন করে ব্যাপক খ্যাতি লাভ করেন ঐশ্বরিয়া রাই বচ্চন। কিন্তু বলিউড তাকে চেনে আরো চার বছর পরে। ১৯৯৯ সালে সঞ্জয় লীলা বনসালী পরিচালিত ‘হাম দিল দে চুকে সানম’ ছবিতে হার্টথ্রব সালমান খানের বিপরীতে অভিনয়ের মাধ্যমে চলচ্চিত্র বোদ্ধাদের নজর কাড়েন তিনি। শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী হিসেবে জিতে নেন ‘ফিল্মফেয়ার পুরস্কার’।
২০০২ সাল। আবারও ফিল্মফেয়ারে শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রীর পুরস্কার ওঠে ঐশ্বরিয়ার হাতে। পরিচালক সেই বানসালী। তার বহুল আলোচিত ‘দেবদাস’ ছবিতে বলিউড বাদশাহ শাহরুখ খানের বিপরীতে অভিনয় করে এ পুরস্কার ঘরে তোলেন অ্যাশ।
আজ ৪৪ বছরে পা দিলেন সাবেক এ বিশ্ব সুন্দরী। জীবনের ৪৩টি বসন্ত এরই মধ্যে পার করে ফেলেছেন বচ্চন পরিবারের পুত্রবধূ। ১৯৭৩ সালের এই দিনে ভারতের কর্ণাটকে জন্ম হয় ঐশ্বরিয়ার। দুই ভাই-বোনের মধ্যে তিনি ছোট।
১৯৯৯ সালের পর থেকে প্রায় এক দশক ধরে বলিউড ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে আলো ছড়িয়েছেন ঐশ্বরিয়া। সেসময় কাজল, মাধুরী, কারিশমা এবং রানী মুখার্জীর মতো প্রথম সারির নায়িকাদের সঙ্গে টেক্কা দিয়ে টিকে থাকতে হয়েছে তাকে।
২০০৩ থেকে ২০০৫ সাল ছিল তাঁর কর্মজীবনের বাজে সময়। এর পর ২০০৬ সালে হার্টথ্রব ঋত্বিক রোশনের বিপরীতে ব্লকবাস্টার ‘ধূম টু’ ছবিতে অভিনয়ের মাধ্যমে কামব্যাক করেন অ্যাশ। ছবিটা ছিল তাঁর বলিউড ক্যারিয়ারের বৃহত্তম অর্থনৈতিক সাফল্য।
পরবর্তীতে ‘গুরু’ এবং ‘যোধা আকবর’ ছবি দুটিতে দেখা যায় তাকে। এ দুটিও ছিল অর্থনৈতিকভাবে সফল। ছবি দুটিতে অভিনয়ের জন্য তিনি সমালোচকদের দ্বারা বেশ প্রশংসিতও হন। এভাবেই ঐশ্বরিয়া রাই ভারতীয় চলচ্চিত্র জগতে তাঁর সমকালীন অভিনেত্রীদের মধ্যে অন্যতম হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেন।
তবে কৈশোরে স্থপতি হওয়ার স্বপ্ন দেখেছিলেন সাবেক এ বিশ্ব সুন্দরী। মাধ্যমিক পাস করার পর স্থাপত্যশিল্প বিষয়ে পড়াশোনাও শুরু করেছিলেন। পরে মডেলিংকে জীবিকা হিসেবে নেয়ায় ছেড়ে দেন পড়াশোনা। তাঁর মাতৃভাষা তুলু হলেও তিনি হিন্দী, ইংরেজি, মারাঠি এবং তামিল ভাষায় সাবলীলভাবে কথা বলতে পারেন।
ঐশ্বরিয়ার বৈবাহিক জীবন
২০০২ সালে রাজ কান্নড় পরিচালিত ‘ঢাই অক্ষর প্রেম কে’ ছবির কাজ করতে গিয়ে ঐশ্বরিয়ার সঙ্গে পরিচয় হয় অমিতাভপুত্র অভিষেক বচ্চনের। ধীরে ধীরে বন্ধুত্বের দিকে মোড় নেয় তাদের সম্পর্ক। এর পর ‘কুছ না কাহো’ ছবিতে আবার জুটি বেধে কাজ করেন তারা।
২০০৭ সালের ১২ জানুয়ারি নিউইয়র্কে ‘গুরু’ ছবির মুক্তির দিন ঐশ্বরিয়াকে প্রেমের প্রস্তাব দেন অভিষেক। গ্রিন সিগন্যাল দিয়ে দেন ঐশ্বরিয়া। ১৪ জানুয়ারি দুই পরিবারের সম্মতিতে তাদের বাগদান সম্পন্ন হয়। এরপর ২০ এপ্রিল বলিউড শাহেনশাহ অমিতাভ বচ্চনের বাড়ি ‘প্রতিক্ষা’য় গিয়ে ওঠেন পুত্রবধূ ঐশ্বরিয়া। বিয়ের পর তাঁর নামের সঙ্গে যুক্ত হয় ‘বচ্চন’ উপাধি।
সমাজসেবক ঐশ্বরিয়া
২০১২ সালের সেপ্টেম্বরে সাবেক জাতিসংঘ মহাসচিব বান কি মুন এবং হলিউড অভিনেতা মাইকেল ডগলাসের সঙ্গে নিউইয়র্কে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন ঐশ্বরিয়া। সপ্তাহখানেক পরই তিনি জাতিসংঘের এইডস ও এইচআইভি বিষয়ক সচেতনতায় নিয়োজিত ইউএনএইডসের নতুন আন্তর্জাতিক শুভেচ্ছাদূত মনোনীত হন। সেই থেকে তিনি এইচআইভি সংক্রমণ থেকে শিশুদের সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে বৈশ্বিকভাবে কাজ করে যাচ্ছেন।