×

জাতীয়

সিপিএ সম্মেলনে রোহিঙ্গা ইস্যুতে আলোচনার সুযোগ থাকছে

Icon

এন রায় রাজা

প্রকাশ: ০১ নভেম্বর ২০১৭, ০৬:৪২ পিএম

কমনওয়েলথ পার্লামেন্টারি এসোসিয়েশনের সম্মেলনে (সিপিএ) তরুণ সমাজকে বেশি গুরুত্ব দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন সংস্থাটির মহাসচিব আকবর খান। তিনি বলেন, সিপিএভুক্ত ৫২টি দেশের ২ দশমিক ৪ বিলিয়ন জনসংখ্যার ৬০ শতাংশই তরুণ। এই জনগোষ্ঠীর নানাবিধি সমস্যা (লিঙ্গ বৈষম্য, মানবাধিকার ও মূল্যবোধ) নিয়ে ঢাকায় অনুষ্ঠিত ৬৩তম সম্মেলনে প্রাধান্য পাবে। পরবর্তী প্রজম্মকে গড়ে তোলাই এই সম্মেলনের মূল লক্ষ্য। তবে বাংলাদেশের সাম্প্রতিক সমস্যা রোহিঙ্গা ইস্যুটি নিয়ে সম্মেলনে আলোচনার সুযোগ থাকছে বলেও জানান আকবর খান ।

বুধবার রাজধানীর একটি হোটেলে আয়োজিত সিপিএ সম্মেলন সংক্রান্ত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব কথা বলেন তিনি। এসময় সিপিসি সম্মেলনের বাংলাদেশ চ্যাপ্টারের সদস্য এমপি নাবিল আহমেদ এবং তানভীর ইমাম উপস্থিত ছিলেন।

সাম্প্রতিক আলোচিত রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে এই সম্মেলনের ভূমিকা কি থাকবে জানতে চাইলে সিপিএর মহাসচিব বলেন, এটি বাংলাদেশের জন্য একটা গুরুত্বপূর্ণ ও মানবিক বিষয়। আমার দৃষ্টিভঙ্গি হচ্ছে, বিভিন্ন দেশ থেকে আগত সংসদ সদস্যরা এই বিষয়ে জানতে খুবই কৌতুহলী। এখানে কোন আনুষ্ঠানিক আলোচনা হবে না। আমাদের এজেন্ডায় এ ইস্যুটি নেই। আমি মনে করি, সিপিএ চেয়ারপারসন ও স্পিকার ড. শিরিন শারমীন চৌধুরী এই বিষয়টি আনুষ্ঠানিক বক্তৃতায় তাদের দেশে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গাদের বিষয়টি তুলে ধরবেন। এখানে তাদের চ্যালেঞ্জগুলো তুলে ধরতে পারেন। সম্মেলনের নির্ধারিত আলোচনায় নেই তবুও সিপিএর বিধান অনুযায়ী এ বিষয়টি শোনার ও প্রশ্ন উত্থাপনের সুযোগ থাকবে।

আজ বুধবার থেকে এ সম্মেলন শুরু হলেও প্রথম দিন কোনো বৈঠক ছিল না। কাল বৃহস্পতিবার কয়েকটি ছোট ছোট বৈঠকের মাধ্যমে এ সম্মেলনের কাজ শুরু হবে। মূল সম্মেলন হবে ৫-৮ নভেম্বর।

সংসদীয় কমিউনিটির জন্য এই সম্মেলন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ উল্লেখ করে আকবর খান বলেন, এই সংস্থায় শতাধিক সংসদ যুক্ত রয়েছে। এতে সদস্য সংখ্যা রয়েছে ১৭ হাজার। কমনওয়েলভুক্ত সদস্য রাষ্ট্রের প্রতিনিধিরা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনায় বসবেন। সম্মেলনের নের্তৃত্ব দিচ্ছেন বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের স্পিকার যিনি যুবকদের একটি গোলটেবিলে নের্তৃত্ব দেবেন।

তিনি জানান, বিশ্বের মোট জনসংখ্যার ৬০ ভাগই তরুন। জাতীয় সংসদে যারা প্রতিনিধিত্ব করেন তাদেরকে এসব তরুণ-তরণীদের মূল্যবান কথা শুনতে হবে। কারণ তারাই আগামীর নেতা এবং পরবর্তী নের্তৃত্ব তারাই দেবেন। তাই সম্মান, মূল্যবোধ, আইনের শাসন, লিঙ্গ-সমতা, ক্ষমতার বিকেন্দ্রীকরণ, তরুণদের সম্পৃক্ততা এবং মানবাধিকারসহ অন্যান্য মূল্যবোধগুলো সম্পর্কে আগামী প্রজন্মকে জানাতে হবে।

আকবর খান বলেন, কেরিবীয় দ্বীপের ছোট ছোট রাষ্ট্রগুলোর অন্যান্য গুরুত্বপূণ বিষয়গুলো যেমন জলবায়ু পরিবর্তন, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও তাদের সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং কিভাবে এই সমস্যাগুলোর সমাধান করা যায় সম্মেলন এই বিষয়গুলোও গুরুত্ব পাবে। তিনি বলেন, বৃহস্পতিবার নারী সংসদদের বৈঠক শুরু হবে। এখানে নারীদের অংশগ্রহণ আরো ফলপ্রসুভাবে বাড়ানো যায় সেটা তুলে ধরা হবে। সংসদে নারী-পুরুষের সমতা ও অংশগ্রহণ নিশ্চিতে আমরা বদ্ধ পরিকর। আমরা চাই সংসদে সংখ্যালঘুসহ অন্যদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত হোক। বাংলাদেশের সংসদে সংরক্ষিত নারী আসন রয়েছে, যা অত্যন্ত ইতিবাচক। নারীর কথা তুলে ধরার জন্য গুরুত্বপূর্ণ। এই সম্মেলনে কমনওয়েলথভুক্ত দেশগুলোর নিজস্ব সমস্যা ও গুরুত্বপূণ বিষয় তুলে ধরে আলোচনা করা হবে।

আকবর আলী বলেন, প্রতিবন্ধীদের কিভাবে মূলস্রোত ধারায় নিয়ে আসা যায় সে বিষয়ে আলোচনা হবে। এসব প্রতিবন্ধীরা সিদ্ধান্ত গ্রহণের অংশ। সিদ্ধান্ত শুধুমাত্র উচ্চ শ্রেণির কাছ থেকে এলে হবে না ওই সব পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর কাছ থেকেও আসতে হবে। তাই অর্ন্তভুক্তিতা, বৈচিত্র্যতার প্রতি সম্মান এই আলোচনায় অত্যন্ত গুরুত্ব পাবে।

নাবিল আহমেদ বলেন, রোহিঙ্গা বিষয় নিয়ে সিপিসির বাংলাদেশ প্রতিনিধি দল সম্মেলনের ৬ষ্ট দিনে ‘হোয়াট ফ্যাক্টারস্ ফুয়েল দ্যা রাইস অব ডিফারেন্ট কাইন্ডস অব ন্যাশনালিজ’ শীর্ষক ওয়ার্কশপে বিষয়টি উত্থাপণ করবেন। এছাড়া আগামী ৫ নভেম্বর পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাহম্মুদ আলী এ বিষয়টি আগত অতিথিদের সামনে উত্থাপণ করবেন।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App