×

জাতীয়

রাজধানীর ২৪টি সরকারি স্কুলের ৫২২ জন শিক্ষককে বদলির সুপারিশ

Icon

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ০১ নভেম্বর ২০১৭, ০৮:৫২ পিএম

রাজধানীর ২৪টি সরকারি স্কুলের ৫২২ জন শিক্ষককে এ জন্য বদলির সুপারিশ করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। বুধবার দুদকের পরিচালক মীর মো. জয়নুল আবেদীন শিবলীর নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের একটি দল তদন্ত শেষে কমিশনে প্রতিবেদন দাখিল করে। দুদকের উপপরিচালক (জনসংযোগ) প্রণব কুমার ভট্টাচার্য এ কথা জানান।

প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, তদন্ত দলের সদস্যরা ঢাকা মহানগরের বিভিন্ন সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয় পরিদর্শন করেন। তারা পরিদর্শনকালে দেখেন অনেক শিক্ষক পাঠদানে মনোযোগী না হয়ে প্রাইভেট পড়ানোর কাজেই বেশি ব্যস্ত থাকেন। অনুসন্ধানের প্রতিবেদন অনুযায়ী যেসব বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের বদলির সুপারিশ করা হয়েছে, তারা হলেন:

গভর্নমেন্ট ল্যাবরেটরি হাই স্কুলের ৩২ জন, মোহাম্মদপুর সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের ২৬ জন, ধানমন্ডি গভর্নমেন্ট বয়েজ হাই স্কুলের ১৭ জন, মতিঝিল সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়ের ২৪ জন, শেরেবাংলা সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়ের ২৭ জন, সরকারি বিজ্ঞান কলেজ সংযুক্ত হাই স্কুলের ২৫ জন, খিলগাঁও সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের ৩১ জন, তেজগাঁও সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের ২১ জন, গণভবন সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের ২৪ জন, মিরপুর সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের ১৯ জন, নবাবপুর সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের ১৯ জন, নারিন্দা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের ৩১ জন, ঢাকা কলেজিয়েট স্কুলের ২৯ জন, আরমানিটোলা সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়ের ২১ জন, ঢাকা গভর্নমেন্ট মুসলিম হাই স্কুলের ৯ জন, ইসলামিয়া সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের ৮ জন, মতিঝিল সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ৩২ জন, বাংলাবাজার সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের ২২ জন, টিকাটুলী কামরুন্নেছা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ৩০ জন, তেজগাঁও সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ২৮ জন, শেরেবাংলা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ২৪ জন, ধানমন্ডি কামরুন্নেছা সরকারি বিদ্যালয়ের ৭ জন, ধানমন্ডি সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ৯ জন ও নিউ গভর্নমেন্ট গার্লস হাই স্কুলের ৭ জন।

প্রতিবেদনে বলা হয়, কোনো কোনো বিদ্যালয়ে প্রয়োজনের অতিরিক্ত ইংরেজি শিক্ষক বা গণিত শিক্ষক কর্মরত রয়েছেন। আবার কোনো কোনো বিদ্যালয়ে ইংরেজি বা গণিতের শিক্ষকের ঘাটতি রয়েছে, তা সমন্বয় করা হচ্ছে না। এর মূল কারণ হচ্ছে কোচিং বাণিজ্য ও সিন্ডিকেট।

এ জন্য প্রাইভেট বা কোচিং বাণিজ্য বন্ধ করার লক্ষ্যে ১০ বছর বা এর বেশি সময় যেসব শিক্ষক একই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কর্মরত রয়েছেন, তাদের বিভাগের বাইরে বাইরে, পাঁচ বছরের বেশি কর্মরত শিক্ষকদের ঢাকা মহানগরের বাইরে বদলি এবং যেসব শিক্ষক তিন বছরের বেশি একই বিদ্যালয়ে কর্মরত রয়েছেন, তাদের অন্য স্কুলে বদলির সুপারিশ করা হয়েছে।

এ ছাড়া দেশের সাত জেলা শিক্ষা কর্মকর্তাকে জেলার দায়িত্ব না দিয়ে বিভিন্ন বিদ্যালয়ে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক পদে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তাদের বদলি করে জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা হিসেবে বদলি নিশ্চিত করার সুপারিশ করা হয়েছে এবং ভবিষ্যতে এ জাতীয় কর্মকর্তাদের প্রধান শিক্ষক হিসেবে পদায়ন না করতে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App