×

ফিচার

সিনেমায় কেমন করছেন সুন্দরীরা?

Icon

কাগজ বিনোদন ডেস্ক

প্রকাশ: ৩১ অক্টোবর ২০১৭, ০৩:৪২ পিএম

২০০৬ সাল থেকে লাক্স সুপারস্টার প্রতিযোগিতা মানেই একজন নতুন নায়িকার সন্ধান লাভ। কিন্তু রিয়েলিটি শোর নায়িকারা সিনেমায় খুব একটা সুবিধা করতে পারছেন কী? জানাচ্ছেন স্বাক্ষর শওকত।
২০০৬ সালে লাক্স চ্যানেল আই সুপারস্টার প্রতিযোগিতার ঘোষণায় বলা হয়েছিল বিজয়ী হবেন হুমায়ূন আহমেদের গল্পে তৌকির আহমেদের ‘দারুচনি দ্বীপে’র নায়িকা। ওই বছর একঝাঁক সুন্দরীর মধ্য থেকে সেরা হয়েছিলেন মম। তিনি শুধুমাত্র ‘দারুচিনি দ্বীপে’র নায়িকা হয়েই ক্ষান্ত হননি, জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারও বগলদাবা করেছেন। এরপর ১১ বছর কেটে গেছে। বুড়িগঙ্গায় বয়ে গেছে অনেক পানি। বেশ কয়েকবার লাক্স চ্যানেল আই সুপারস্টার প্রতিযোগিতা হয়েছে। দশজন করে সুন্দরী বেরিয়ে এসেছে প্রতিবার। কিন্তু মমর মতো রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি পেয়েছেন আর মাত্র একজন। তবে মমও বাণিজ্যিক ছবিতে নাম লিখিয়ে বক্স অফিস দখল করতে পারেননি। সুন্দরীদের অনেকেই বাণিজ্যিক ছবিতে নাম লিখিয়েছেন। তবে সাফল্য ধরা দেয়নি মোটা দাগে। অভিনয়ের স্বীকৃতির কথা বললে অপর্ণা ঘোষের কথা আসবে মমর পরপরই। যিনি একাধিক জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়ে নিজের শক্ত অবস্থান করেছেন মূলধারার বাইরের নির্মাতাদের কাছে। বাণিজ্যিক ছবিতে উঁচু দর হাঁকাতে পেরেছেন কেবল মিম। হুমায়ূন আহমেদের পরিচালনায় ‘আমার আছে জল’ সিনেমা ক্যারিয়ার শুরু করলেও এখন তিনি পুরোদস্তুর কমার্শিয়াল হিরোইন। বেশ ভালো পারিশ্রমিকও নেন তিনি। বছর দশেক ধরেই তিনি শীর্ষ জায়গায় পৌঁছানোর চেষ্টা করছেন। প্রায় প্রতিটি প্রতিযোগিতা থেকেই একজন দুজন মূলধারার সিনেমায় পা ফেলেছেন। যার মধ্যে বলতে গেলে বিন্দুর কথা বলতে হবে। ‘দারুচিনি দ্বীপে’ ছোট চরিত্রে শুরু করলেও পরে তিনি শাকিব খানের নায়িকা পর্যন্ত হয়েছেন। বিদেশে পাড়ি না জমালে এখন অবধি হয়তো তিনি সিনেমায় চেষ্টা করে যেতেন ক্যারিয়ার গড়ার। বিন্দু-মম যে বছর শ্রেষ্ঠ সুন্দরী হয়েছেন, একই ব্যাচ থেকে বাঁধনও সুন্দরী হয়েছেন। তিনি মুশফিকুর রহমান গুলজারের প্রিমিয়ার হওয়া সিনেমা ‘নিঝুম অরণ্যে’র নায়িকা হয়েছিলেন। তারপর আর সিনেমামুখো হননি। যদিও সজলের সঙ্গে তার জুটি নিয়ে মিডিয়ার আগ্রহ লক্ষ করা গিয়েছিল। পরবর্তী ব্যাচগুলোর সুন্দরীদের মধ্যে সুপারস্টার চৈতি রিয়াজের বিপরীতে অফট্র্যাকের ‘মধুমতি’ ছবিতে অভিনয় করেছিলেন। ছবিটির জন্য তেমন প্রশংসা জোটেনি চৈতির ভাগ্যে। আর বক্স অফিসের কথা তো উঠতেই পারে না। কাছাকাছি সময়ে মেহজাবিনেরও নায়িকা হওয়ার কথা ছিল ‘পরবাসিনী’তে। কিন্তু পরিচালক স্বপ্ন আহমেদের সঙ্গে বিরোধের জের ধরে বাদ পড়েন ছবিটি থেকে। গত কয়েক বছরে টিভিতে তার জনপ্রিয়তা বাড়লেও আর মেহজাবিন সিনেমার দিকে হাঁটেননি। মৌসুমী হামিদ আবার দুই ধারাতেই কাজ করেছেন। তিনি একদিকে ‘জালালের গল্পে’ অভিনয় করছেন, আবার ‘ব্ল্যাকমেইলে’ চরম খোলামেলাভাবে উপস্থাপিত হচ্ছেন। কিন্তু কোথাও তিনি স্থির নন। সেই হিসেবে তুষি মাত্র একটি ছবি করে আলোচনার পাত্রী হয়েছিলেন। রেদওয়ান রনির ‘আইসক্রিম’ ছবিতে লিড রোলে থাকলেও তুষি আর কোনো ছবিতে অভিনয়ের সুযোগ পাননি। পুরনো ব্যাচ থেকে অরিন ইদানীং ব্যস্ত হওয়ার চেষ্টা করছেন। কাজী মারুফের বিপরীতে ‘ছিন্নমূল’ ছবিতে গত বছর অভিষেক ঘটে অরিনের। একই নায়কের বিপরীতে প্রসূনও তার সিনেমা ক্যারিয়ারের সূচনা করেছিলেন কাজী হায়াৎ পরিচালিত ‘সর্বনাশা ইয়াবা’ ছবিতে। ফারিয়া সামিয়া জামানের একটি শিশুদের ছবিতে অভিনয় করেন। কিছুদিন আগে অর্ষাও একটি ছবি করলেন। সোহেল রানার ছেরে ইউল রাইয়ানের সঙ্গে ‘রাইয়ান’ ছবিতে একটি চরিত্রে ছিলেন অর্ষা। কিন্তু যে বিপুল আয়োজনে এই সুন্দরী আর্বিভূত হোন শোবিজে, সেই বিশাল মাপের আয়োজনের ছবিতে খুব কম সুন্দরীই অভিনয় করছেন। যদিও সিনেমায় অভিনয়ের সুযোগও ঘটছে কম সুন্দরীর ভাগ্যে। যারা সুযোগ পাচ্ছেন তারা পুরোপুরি কাজে লাগাতে পারছেন কিনা তা নিয়ে রয়েছে প্রশ্ন সংশ্লিষ্টদের মধ্যে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App