×

জাতীয়

খালাফ হত্যার আপিল রায় বুধবার

Icon

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ৩১ অক্টোবর ২০১৭, ১২:১২ পিএম

ঢাকাস্থ সৌদি দূতাবাসের কর্মকর্তা খালাফ আল আলী হত্যা মামলায় রায় ঘোষণার জন্য আগামীকাল বুধবার দিন ধার্য করেছেন আপিল বিভাগ। মঙ্গলবার এ-সংক্রান্ত আপিল শুনানি শেষে দায়িত্বপ্রাপ্ত বিচারপতি মো. আবদুল ওয়াহ্হাব মিঞার নেতৃত্বে তিন বিচারপতির আপিল বেঞ্চ এ দিন ধার্য করেন।
আদালতে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি সাইফুল ইসলামের পক্ষে শুনানি করেন সাবেক বিচারপতি শিকদার মকবুল হক। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম।
এর আগে গত ১০ অক্টোবর এই মামলায় রায় ঘোষণার দিন ধার্য থাকলেও মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি সাইফুল ইসলামের পক্ষে আইনজীবী নিয়োগের আবেদন করা হয়। পরে আদালত আবেদন মঞ্জুর করে আপিলের ওপর পুনরায় শুনানির জন্য দিন দেন। খালাফ হত্যা মামলায় গত ৯ আগস্ট রাষ্ট্রপক্ষের করা আপিলের শুনানি শুরু হয়। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে বিচারপতি মো. আবদুল ওয়াহহাব মিঞার নেতৃত্বে আপিল বিভাগের দুই নম্বর বেঞ্চ রায়ের জন্য ১০ অক্টোবর দিন ধার্য করেছিলেন। এরপর পুনরায় শুনানির জন্য আজ মামলাটি কার্যতালিকায় রাখা হয়। সেই মোতাবেক শুনানি শেষে মামলাটি রায়ের জন্য আগামীকাল বুধবার দিন নির্ধারণ করা হলো। এর আগে হাইকোর্টে এ মামলায় আসামিপক্ষে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করেন রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী হেলাল উদ্দিন মোল্লা। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিশ্বজিৎ দেবনাথ। ২০১২ সালের ৫ মার্চ রাত একটার দিকে রাজধানীর গুলশান কূটনৈতিক এলাকার ১২০ নম্বর সড়কের ১৯বি নম্বর বাসার সামনে গুলিবিদ্ধ হন খালাফ আল আলী। পরের দিন ভোরে তিনি চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। পরে ওই বছরের ৪ জুন দক্ষিণখান থানার গাওয়াইর এলাকা থেকে সাইফুল ইসলাম মামুন, আকবর আলী লালু ওরফে রনি ও আল আমিন নামে তিনজনকে আটক করে ডিবি। এ সময় তাদের কাছ থেকে কালো রঙের একটি বিদেশি রিভলবার জব্দ করা হয়। পরে তাদের বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে মামলা দেওয়া হয়। আসামি মামুন ও আল আমিন আদালতে স্বীকার করেন, ২০১২ সালের ৫ মার্চ রাতে ছিনতাই করতে বাধা দেয়ায় তারা খালাফ আল আলীকে এই রিভলবার দিয়ে গুলি করে হত্যা করেন। পরে আসামি মামুন, আল আমীন, আকবর আলী লালু ওরফে রনি ও রফিকুল ইসলাম খোকনকে খালাফ হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখায় পুলিশ। ২০১২ সালের ৩১ অক্টোবর ওই চারজনসহ পলাতক সেলিম চৌধুরী ওরফে সেলিম আহমেদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. মোতাহার হোসেন। পরে ৩০ ডিসেম্বর খালাফ হত্যায় ট্রাইব্যুনালে সব আসামির মৃত্যুদণ্ড হয়। হাইকোর্টে ডেথ রেফারেন্স ও জেল আপিলের শুনানি শেষে ২০১৩ সালের ১৮ নভেম্বর রায় দেওয়া হয়। এতে আসামি সাইফুলকে বিচারিক আদালতের দেয়া মৃত্যুদণ্ডাদেশ বহাল রাখেন হাইকোর্ট। মৃত্যুদণ্ডাদেশপ্রাপ্ত অন্য তিনজনের সাজা কমিয়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং পলাতক একজনকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়। আল আমীন, আকবর আলী লালু ওরফে রনি ও রফিকুল ইসলাম খোকনকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ কমিয়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং পলাতক সেলিম চৌধুরী ওরফে সেলিম আহমেদকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App