×

মুক্তচিন্তা

প্রশ্নবিদ্ধ গণতান্ত্রিক নেতা অং সান সু কি ‘হংসমাঝে বকযথা’

Icon

মুক্তচিন্তা কলাম লেখক

প্রকাশ: ৩০ অক্টোবর ২০১৭, ০৯:০০ পিএম

সাম্প্রদায়িক চেতনাকে লালন করে, মানবতাকে উপেক্ষা করে কোথাও গণতন্ত্র জন্ম নেয়নি মিয়ানমারেও জন্ম নিতে পারে না। সেখানে ‘সু কিতে-আর্মিতে’ মিলে মিয়ানমারে উদ্ভট কিছু হতে পারে যা সেনা ছাউনিতেই মানানসই মুক্ত বাতাসে নয়, মানুষে মানুষে নয়। চারদিকে সেনা পরিবেষ্টিত ‘সিভিল’ সু কি মিয়ানমারে মানবমুক্তিরও নেত্রী হতে পারবেন না। তাকে সর্বদা সেনা-পরিবেষ্টিত হয়েই বাঁচতে হবে।
কাল-অকালের কাহনকথা

রোহিঙ্গা সমস্যার সর্বশেষ অগ্রগতি হচ্ছে মিয়ানমারের রাখাইন প্রদেশে হত্যাযজ্ঞ বন্ধ করে সেখানে স্বাভাবিক পরিবেশ এবং বাংলাদেশ থেকে শরণার্থী ফিরিয়ে নেয়ার জন্য দেশটির সেনাবাহিনী প্রধানকে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেক্স টিলারসনের টেলিফোন। এটি একটি ‘চাপ’। এদিকে সম্প্রতি তিনদিনের রাষ্ট্রীয় সফর শেষে মিয়ানমার থেকে ফিরেছেন বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জাান খান কামাল। তার এই সফরকালে মিয়ানমারের সঙ্গে বাংলাদেশের কয়েকটি এমওইউ স্বাক্ষরসহ অং সান সু কি’র সঙ্গে অনুষ্ঠিত বৈঠকে রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধান নিয়েও আলোচনা হয়েছে। তাদের আলোচনা শেষে ‘সরকারি প্রেস ব্রিফিং’ হিসেবে জনসমক্ষে যা এসেছে তাতে ‘সংশয়াকুল’ এক প্রকার আশাবাদ আমাদের মনে জেগেছে বটে। কিন্তু আলোচনা চলাকালেও রাখাইন থেকে যখন রোহিঙ্গা শরণার্থীর অব্যাহত ঢল দেখেছি তখন সামান্য সেই আশাবাদটুকুও মুহূর্তেই আবার স্তিমিত হয়ে গেছে। মাঠপর্যায় অর্থাৎ মিয়ানমারের সঙ্গে বাংলাদেশের সীমান্ত সংলগ্ন এলাকার দিকে তাকিয়ে আমরা এখনো হতাশ হই। আবার মিয়ানমারের তথাকথিত ‘শরণার্থীদের মধ্যে যারা প্রকৃত পরিচয়-সনদ দেখাতে পারবে মিয়ানমার কেবল তাদেরই ফেরত নেবে’- এরকম কথায় আমাদের মনের কোণে যে সামান্য আশাবাদ জেগেছিল তাও উবে গিয়েছে।

বাংলাদেশ-মিয়ানমারের রাষ্ট্রীয় পর্যায়ের বিভিন্ন সফর ও আলোচনায় সমস্যা সমাধানে স্থায়ী কোনো সমঝোতার আশা আমরা দেখিনি। তবু কোনো কোনো সময় একটু-আধটু আশান্বিত হলেও তারচেয়ে কয়েকগুণ বেশি যেন হতাশই হয়েছি। আবার একদিকে তথাকথিত শান্তিপূর্ণ সমাধানের কথা ‘আনুষ্ঠানিকভাবে’ বলা হলেও রাখাইনে বর্মী সেনাবাহিনীর তাণ্ডব এখনো চলছে। এখনো প্রতিদিন বিভিন্ন সীমান্ত অতিক্রম করে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশের ঘটনা এবং আগতদের বক্তব্যে তার প্রমাণ মিলছে। সব মিলিয়ে এক অদ্ভুত সমীকরণের ধাঁধায় পড়ে গেছি আমরা! মাঝেমধ্যেই মনে হয় আমরা সম্ভবত ধুরন্ধর এক বর্মী কৌশলের ফাঁদে পড়ে গেছি। এ ফাঁদ থেকে বেরিয়ে আসা সহজসাধ্য হবে না। কারণ মৃদু ভাষায় বিশ্ববাসী ‘বাংলাদেশের পাশে’ থাকার অঙ্গীকার ব্যক্ত করলেও তারা যে ‘মিয়ানমারের পাশে নেই’ এরূপ কথা কাউকেই সজোরে বলতে শুনিনি। সুতরাং রোহিঙ্গা রাজনীতির শেষ কোথায় তা ভাবতে গেলেও ইতি টানা সম্ভব হয় না। ‘পাশে’ থাকার কথা বলে অনেক দেশ শরণার্থীদের জন্য যেসব ত্রাণ ও ব্যবস্থাপনার প্রতিশ্রুতি দিয়ে চলেছেন তাতে আমাদের এও মনে হচ্ছে যে, এ সংকট সহসা সমাধানের নয়। বরং দীর্ঘমেয়াদে বহন করার মানসিক প্রস্তুতি নেয়ার পটভ‚মি তৈরি করছে। তবে এখনো ‘মিডিয়া’ রোহিঙ্গাদের পাশে আছে বলে বিশ্বে এ সংকটের একটা আলোচনাপ্রবাহ এখনো ‘জীবিত’ (লাইভ) আছে। কিন্তু ‘মিডিয়া’ যদি চিত্তাকর্ষক অন্য কোনো ইস্যু পায় তখন রোহিঙ্গাদের ওপর থেকে বিশ্ববাসীর দৃষ্টিও চলে যাবে অন্যত্র। কিন্তু অমানবিক নির্যাতনের শিকার রাষ্ট্রহীন ও উদ্বাস্তু রোহিঙ্গারা থেকে যাবে এখানেই, এই বাংলাদেশেই। সেই অনাকাক্সিক্ষত ভবিতব্য বাংলাদেশের ভাগ্যে যেন না ঘটে সে প্রত্যাশা আমাদের। কিন্তু স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের মিয়ানমার-ফেরত বক্তব্য আমাদের তেমন আশাবাদী করতে পারেনি। বরং মিয়ানমারের ওপর থেকে আন্তর্জাতিক চাপ সরে গেলে শরণার্থী প্রত্যাবাসনে মিয়ানমার এখন যতটুকু সম্মত আছে তা থেকেও তারা পিছু হটবে। বিশ্বের পানে তাকিয়ে, বিশ্বমানবের মুখের পানে তাকিয়ে রাজনীতিচর্চা মিয়ানমারে নেই। তবু আন্তর্জাতিক চাপ অব্যাহত থাকলে অদূর ভবিষ্যতে আমাদের ওপর থেকে শরণার্থী-বোঝা লাঘব হতে পারে।

মানবসভ্যতা বিকাশের চ‚ড়ান্ত এক সময়ে বসবাস করে মিয়ানমারে যে ধরনের গণতন্ত্র বিকাশের কথা শুনি তার স্বরূপ ভাবতে গেলেও আমরা ক‚লকিনারা পাই না। শুধু মনে হয় এক অদ্ভুত স্টাইলের ও প্রশ্নবিদ্ধ গণতন্ত্র সেখানে জন্ম নিচ্ছে। এক পাল হাঁসের মধ্যে একটি বক যে অবস্থায় পড়ে মিয়ানমারের গণতান্ত্রিক ইমেজধারী নেত্রী অং সান সু কি-রও ঠিক সেরূপ অবস্থা হয়েছে। হাঁসের মতো বকেরও রয়েছে পানিতে চলাফেরার ক্ষমতা। কিন্তু হাঁস হাঁসই, আর বক তো বকই। মাঝেমধ্যে একসঙ্গে থাকলেও আচার-আচরণ, কৃষ্টি-কালচার, সামাজিকতা এবং সভ্যতা-ভব্যতায় হাঁসের চেয়ে বকের আলাদা। আলাদা আলাদাটাই তাদের গুণ। সাম্প্রতিককালে প্রশ্নবিদ্ধ হলেও মিয়ানমারের গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের ইমেজ নিয়ে অং সান সু কি সেনাবাহিনী পরিবেষ্টিত অবস্থায় ‘উদ্ভট’ ক্ষমতার আসনে সমাসীন! পৃথিবীর ইতিহাসে ‘গণতন্ত্র’ ও ‘সামরিকতন্ত্র’ একসঙ্গে কাজ করে এমন নজির মিয়ানমারেই দেখা যায়। যা আসলে কোনো রাজনৈতিক মতবাদ দিয়ে বুঝা যাবে না। একে ‘সমঝোতা’ তন্ত্র ছাড়া অন্য কিছু বলা যায় না। সমঝোতা মানে ক্ষমতার ভাগাভাগি মাত্র! গণতন্ত্রকে সামরিকতন্ত্রের সঙ্গে এতটা বেশি ‘কম্প্রমাইজ’ করতে বিশ্ববাসী মিয়ানমার ছাড়া অন্যত্র দেখেনি। বিশ্বাস করা কঠিন যে, সম্প্রতি সু কি নাকি চেষ্টা করছেন সেনাবাহিনীর সঙ্গে থেকেই এবং তাদের নিয়েই মিয়ানমারে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করবেন। সেনাতন্ত্রের সঙ্গে মিলেই রাখাইনের সমস্যা সমাধান করবেন! পৃথিবীর সর্বত্র কী হয়েছে জানি না কিন্তু উপমহাদেশে আমাদের অভিজ্ঞতা আছে সামরিকতন্ত্র যে কোনো দেশেই মানবিক মূল্যবোধকে সর্বনাশ করে, উগ্র ধর্মীয় চেতনাকে উসকে দিয়ে সাধারণকে বিভ্রান্ত করে।

আমরা দেখছি মানবতাবাদী আদর্শ মুখ থুবড়ে পড়েছে রাখাইনে- মিয়ানমারের সর্বত্রই। আমরা সমাজতান্ত্রিক চীনকে দেখছি, দেখছি সাবেক সমাজতান্ত্রিক রাশিয়াকেও। বিপর্যস্ত রোহিঙ্গাদের বিপরীতে অবস্থান নিয়েছে তারা। আমরা দেখতে পাচ্ছি সমাজতন্ত্র ও গণতন্ত্র নামক রাজনৈতিক প্রপঞ্চ দুটি রাজনৈতিক আদর্শের চেয়ে ব্যবসায়িক লাভালাভের পশ্চাতেই বেশি ধাবমান। তাই আমরা মর্মবেদনার সঙ্গে লক্ষ করছি রাখাইনে মানবিক বিপর্যয় চ‚ড়ান্ত পরিণতির তলানিতে ঠেকলেও চীন কিংবা রাশিয়া রোহিঙ্গা সমস্যার মানবিক দিকটির প্রতি বিন্দুমাত্র ভ্রুক্ষেপ করছে না। বরং সদম্ভে তারা নির্যাতক মিয়ানমার সরকারের পাশে ভরসারূপে অবস্থান নিয়েছে। আবার বিশ্বের সবচেয়ে বৃহৎ গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের লেবাসধারী ভারতও তার ব্যবসায়িক ফিকিরে মিয়ানমারের পাশেই নিজের অবস্থানকে স্পষ্ট করেছে। লাখ লাখ মানুষ যেখানে জন্মভ‚মি থেকে বিতাড়িত হয়ে, নাগরিক ও রাষ্ট্রীয় অধিকার থেকে বঞ্চিত হয়ে জীবন বাঁচানোর তাগিদে বাংলাদেশের শরণার্থী শিবিরে আশ্রয় নিচ্ছে। তাদের পাশে দাঁড়ানোর মানবিক সহানুভ‚তি নিয়ে যদি এ তিনটি দেশ দাঁড়াত তবে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ব্যাপকসংখ্যক মানুষ যেমন স্বস্তি পেত তেমনি বাংলাদেশও বিশালসংখ্যক শরণার্থীর ভার বহনের দায় থেকে মুক্তি লাভ করত। কিন্তু আমরা দেখছি মানবতা সর্বত্র ববসায়িক লাভালাভের ফন্দি-ফিকিরেই বন্দি। ব্যবসায়িক লাভের কাছে লাখ লাখ মানুষের জীবন মূল্যহীন।

মিয়ানমার বিশ্ববাসীকে গণতন্ত্রের এক উদ্ভট রূপ দেখাতে চাইছে। অং সান সু কি বুঝাতে চাইছেন সেনাবাহিনীর সঙ্গে যৌথভাবে ক্ষমতার ‘ভাগ-দখল’ ও ‘ভোগ-দখলে’র মধ্য দিয়ে মিয়ানমারে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা করবেন। দীর্ঘদিন সেনা-ছাউনির অভ্যন্তরে থাকা রাষ্ট্র মিয়ানমার। সেখানে ২০১০ সালের নির্বাচনের আগে যে সংবিধান প্রণীত হয়েছিল তার প্রথম অধ্যায়ে ছিল ‘ইউনিয়নের উদ্দেশ্য রাষ্ট্রের জাতীয় রাজনৈতিক নেতৃত্বের ভ‚মিকায় অংশ নেয়ার জন্য প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কার্যকর করা যাবে।’ এতে সশস্ত্র বাহিনী, পুলিশ, স্থানীয় প্রশাসনসহ রাষ্ট্রের সীমান্ত নিরাপত্তা সংশ্লিষ্ট সব ধরনের গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ সেনাবাহিনীর নিয়ন্ত্রণে রাখা হয়। উল্লেখ্য, সংবিধানের এই অনুচ্ছেদে সংসদের ২৫% আসন সেনাবাহিনীর জন্য নির্দিষ্ট রাখা হয়। মিয়ানমারের সংবিধানের সবচেয়ে মারাত্মক বিষয় হলো সংবিধানে কোনো সংশোধনী আনতে হলে সেনাবাহিনীর অনুমোদনের প্রয়োজন। তাছাড়া বর্তমানে মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর হাতে আছে প্রতিরক্ষা, স্বরাষ্ট্র ও সীমান্ত সংশ্লিষ্ট গুরুত্বপূর্ণ তিনটি মন্ত্রণালয়। তাছাড়া সেখানে রাজ্য থেকে আঞ্চলিক পর্যায়ের এমনকি জেলা থেকে শহর বা উপশহরের সব সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীনস্ত সাধারণ প্রশাসনিক বিভাগ। একটি দেশের গণতন্ত্র বিকাশের পথে মিয়ানমারের সংবিধান এবং প্রশাসনিক কাঠামোই মূল প্রতিবন্ধক।

২০১৬ সালে সু কি’র নেতৃত্বে তথাকথিতভাবে বেসামরিক সরকার মিয়ানমারের ক্ষমতায় আসে। সরকারের বিভিন্ন বিভাগ ও প্রতিষ্ঠানের গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন দায়িত্ব সেনাবাহিনীর হাতেই থাকে। সুতরাং এ কথা ভাববার অবকাশ নেই যে সু কি’র নেতৃত্বে বেসামরিক সরকার ক্ষমতায় এলেও সেনাবাহিনীর অপচ্ছায়া সরে গেছে। বরং ঘটছে তার উল্টো। পূববর্তী সেনাশাসকের নিয়োগকৃত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দ্বারাই চলছে সেখানকার প্রশাসনিক সব কর্মকাণ্ড। তাই যুগ যুগের সেনা অপশাসনের প্রভাব মিয়ানমারের সব প্রতিষ্ঠানের রন্ধ্রে রন্ধ্রে স্থবির পাথরের মতো পুঞ্জীভ‚ত হয়ে আছে। অং সান সু কি’র ‘নাবালক গণতন্ত্রে’র হাওয়ায় সে পাথর টলবে কী করে?

বিশ্ববাসী সাম্প্রদায়িক বিদ্বেষপুষ্ট সু কি’র মতো গণতন্ত্রের এ কোন মানসকন্যা (!) মিয়ানমারে দেখছে? মানবতা ও সভ্যতার সব সীমারেখা ভুলে গিয়ে চীন ও রাশিয়াইবা কী করে রোহিঙ্গা সংকটকে মিয়ানমারের ‘অভ্যন্তরীণ বিষয়’ বলে উল্লেখ করে তা ভাবতেও বিস্ময় জাগে। তাদের বক্তব্যে সমস্যা সমাধানের কোনো সূত্র তো পাওয়াই যায় না উল্টো চলমান নির্যাতনে মিয়ানমার ‘সাহস’ই অর্জন করে। যে সু কি’কে আমরা একদা গণতন্ত্রের মানসকন্যা ভাবতাম সেই সু কি কি এখনো তার দেশের নিপীড়িত ও নির্মম নির্যাতনের শিকার রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর জন্য সামান্যতম একটি শব্দ করেছেন? গণতন্ত্রে সামান্য আস্থাশীল হলে রোহিঙ্গাদের পক্ষে না হোক অন্তত মানবতার পক্ষে তার তো একটি বক্তব্য থাকা উচিত। শান্তিতে নোবেলপ্রাপ্ত হিসেবে বিশ্ববাসী তার কাছ থেকে এটা প্রত্যাশা করেছিল। কিন্তু আমরা তার কাছে পেলাম বিপরীত বক্তব্য!

সাম্প্রদায়িক চেতনাকে লালন করে, মানবতাকে উপেক্ষা করে কোথাও গণতন্ত্র জন্ম নেয়নি- মিয়ানমারেও জন্ম নিতে পারে না। সেখানে ‘সু কিতে-আর্মিতে’ মিলে মিয়ানমারে উদ্ভট কিছু হতে পারে যা সেনা ছাউনিতেই মানানসই- মুক্ত বাতাসে নয়, মানুষে মানুষে নয়। চারদিকে সেনা পরিবেষ্টিত ‘সিভিল’ সু কি মিয়ানমারে মানবমুক্তিরও নেত্রী হতে পারবেন না। তাকে সর্বদা সেনা-পরিবেষ্টিত হয়েই বাঁচতে হবে। বিশ্ববাসী এই দৃশ্য দেখবে আর বারংবার ঘৃণাভরে তীর্যক বাক্যে সু কি প্রসঙ্গে উচ্চারণ করবে, ‘হংসমাঝে বকযথা’!

আহমেদ আমিনুল ইসলাম : অধ্যাপক, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App