চিত্রনায়ক শাকিব খানের বিরুদ্ধে হবিগঞ্জে একটি প্রতারণার মামলা দায়ের করা হয়েছে। একই মামলায় ‘রাজনীতি’ সিনেমার পরিচালক বুলবুল বিশ্বাস, প্রযোজক আশফাক আহমেদকে আসামী করা হয়েছে। প্রতারণা ও ৫০ লক্ষ টাকার মানহানির অভিযোগে আজ (রোববার) হবিগঞ্জের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শম্পা জাহানের আদালতে মামলাটি দায়ের করেন বানিয়াচং উপজেলার যাত্রাপাশা গ্রামের ইজাজুল মিয়া। প্রায় ২ ঘণ্টা ১৬ মিনিট ১১ সেকেণ্ড ব্যাপ্তি ‘রাজনীতি’ চলচ্চিত্রের ২৬ মিনিট ১২ সেকেণ্ডের সময় ছবির নায়িকা অপু বিশ্বাসকে নিজের মোবাইল নাম্বার দেন শাকিব খান। সেটি ছিলো ইজাজুলের নাম্বার। ছবিতে নাম্বারটি প্রকাশ হওয়ার পর থেকে গত ৭ জুলাই থেকে ১৫ জুলাই মাত্র এক সপ্তাহে ৪৩২টি কল আসে শাকিব খানকে সন্ধান করে। শুধু তাই নয়, শাকিব খান নয় বলে দাবি করলে যাছাই করতে খুলনা থেকে এক গৃহকর্মী চলে আসে ইজাজুলের বানিয়াচংয়ের বাড়িত। সে নিয়ে বাবা-মা ও স্ত্রীর সঙ্গে মনোমালিন্য হয় ইজাজুলের। তার সংসার ভাঙারও উপক্রম হয়। অনুমতি ছাড়া রাজনীতি ছবিতে মোবাইল নম্বর ব্যবহার করায় এবং সেটি বিভিন্ন মিডিয়ায় প্রচারিত হওয়ায় প্রতারণা ও ৫০ লক্ষ টাকার মানহানির মামলা দায়ের করা হয়েছে। ম্যাজিস্ট্রেট শম্পা জাহান মামলাটি গ্রহণ করে পরবর্তী আদেশ দেয়া হবে বলে জানান। এ ব্যাপার মামলার আইনজীবী অ্যাডভোকেট এমএ মজিদ জানান, ‘কারও অনুমতি ছাড়া ব্যক্তিগত মোবাইল ফোন আমার (নায়ক শাকিব খান যেভাবে বলেছেন) বলে প্রচার করা একটি প্রতারণা। মোবাইল নাম্বারটি ব্যাপকভাব প্রচারিত হওয়ায় বাদীর দিনের অধিকাংশ সময় ব্যয় হয়েছে মোবাইল ফোন রিসিভ করতে গিয়ে। তাতে বাদী আর্থিকভাব ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। আমরা মামলা নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত ‘রাজনীতি’ ছবির প্রচার বন্ধের আবেদন জানিয়েছি। একই সাথে প্রতারণা ও মানহানি করায় আসামীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের আবেদনও জানিয়েছি। মামলার ব্যাপারে জানতে চেয়ে শাকিব খানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বিষয়টি প্রযোজক ও পরিচালকের উপর চাপিয়ে দেন। এদিকে পরিচালক বুলবুল বিশ্বাস বলেন, ‘ইজাজুল মিয়ার প্রতি আমাদের দু:খ প্রকাশ করা ছাড়া কিছু বলার নেই। ছবির নির্মাণের সময় একটি বন্ধ নাম্বার ব্যবহার করেছিলাম। যেটি ওইসময় বন্ধ ছিল। কিন্তু সেটি এমন বিব্রতকর অবস্থার জন্ম দেবে ভাবতেও পারিনি। আমি প্রযোজক ও শাকিব খানের সঙ্গে কথা বলে আইনিভাবেই বিষয়টি মিটিয়ে নিতে চেষ্টা করবো।’