×

জাতীয়

পাটুরিয়া-দৌলতদিয়ায় ফেরি স্বল্পতায় দীর্ঘ যানজট

Icon

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ২৮ অক্টোবর ২০১৭, ১১:০৪ এএম

রাজধানীর সঙ্গে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের প্রবেশদ্বার পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌ-রুটে ফেরি স্বল্পতায় যান পারাপার ব্যাহত হচ্ছে। ঘাটে একেকটি যানবাহনকে ফেরি পারের অপেক্ষায় আটকে থাকতে হচ্ছে ৬ থেকে ৭ ঘণ্টা। এই রুটে চলাচলকারী ১৯টি ফেরির মধ্যে ৬টি বিকল হওয়ায় এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। এর ফলে একেকটি যানবাহনকে ফেরি পারের অপেক্ষায় আটকে থাকতে হচ্ছে ৬ থেকে ৭ ঘণ্টা। শনিবার সকাল সাড়ে ৯টায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত পাটুরিয়া ঘাটে তিন শতাধিক যানবাহন পারাপারের অপেক্ষায় আটকা ছিল। দৌলতদিয়া ঘাটের পরিস্থিতিও একই রকম। বিআইডব্লিউটিসি সূত্র জানায়, পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌ-রুটে চলাচলকারী মোট ফেরি ১৯টি। এরমধ্যে ৬টি ফেরি বর্তমানে বিকল রয়েছে। বিকল ফেরিগুলোর মধ্যে রো-রো ফেরি খান জাহান আলী, ভাষা শহীদ বরকত, শাহ আলী, কপোতী ও আমানত শাহ ফেরি নারায়ণগঞ্জ ডকইয়ার্ডে মেরামতে রয়েছে। বিআইডব্লিউটিসির পাটুরিয়া ভাসমান কারখানায় ৬ দিন ধরে মেরামতে রয়েছে ইউটিলিটি ফেরি কুমারী। ফেরি স্বল্পতার কারণে যানবাহন পারাপার ব্যাহত হওয়ায় প্রায় প্রতিদিনই দুই ঘাটে পারাপারের অপেক্ষায় যানবাহনগুলো ঘণ্টার পর ঘণ্টা আটকে থাকছে। মাঝে মধ্যেই যানবাহনের দীর্ঘ সারি ২/৩ কিলোমিটার পর্যন্ত বিস্তৃত হয়। এতে চরম দু্র্ভোগ ও ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন যাত্রী ও পরিবহন শ্রমীকরা। নারী ও শিশুদের দুর্ভোগ সবচেয়ে বেশি। কয়েকজন যাত্রী ও পরিবহন শ্রমিকের সঙ্গে কথা বলে গেছে, ফেরি পারের জন্য তাদের ঘাটে ৫-৬ ঘণ্টা পর্যন্ত আটকা থাকতে হচ্ছে। যানজটকে পুঁজি করে স্থানীয় হোটেল ও রেস্তোরাগুলোতে খাবারের দামও বাড়িয়ে দেয়া হয়। অথচ এসব দেখার কেউ নেই। বিআইডব্লিউটিসির পাটুরিয়া ঘাট ব্যবস্থাপক মহিউদ্দিন রাসেল জানান, ফেরি স্বল্পতা ছাড়াও ঘাটে ড্রেজিং কাযক্রম চলায় প্রতিদিনই কোনো না কোনো পল্টুনের পকেট বন্ধ থাকে। একারণে ফেরির স্বাভাবিক চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। যার প্রভাব পড়ছে যান পারাপারের ক্ষেত্রেও। তিনি জানান, ফেরি পারাপারের ক্ষেত্রে সব সময়ই যাত্রীবাহী যানবাহনগুলোকে অগ্রাধিকার দেয়া হচ্ছে। তবে পণ্যবাহী অনেক ট্রাক ৪ থেকে ৫ দিন ধরে আটকা রয়েছে বলে স্বীকার করেন তিনি। বিআইডব্লিউটিসির এজিএম (ইঞ্জিনিয়ারিং) সুবল চন্দ্র সরকার জানান, বালু মাটির ঘর্ষণ এবং প্রবল স্রোতের মধ্যে চলতে গিয়ে বিকল ফেরিগুলোর প্রপেলার স্যাপ, বুশ, হাবসসহ নানা যন্ত্রাংশ ক্ষয় হয়েছে। এর মধ্যে তিনটি ফেরির মেরামতের কাজ প্রায় শেষের দিকে। আগামী সপ্তাহের মধ্যেই সেগুলো বহরে যোগ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এরপর আর ফেরি স্বল্পতার সমস্যা থাকবে না।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App