শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ আলেমদের দীর্ঘদিনের দাবি অনুযায়ী ইসলামি-আরবি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে উল্লেখ করে বলেছেন, এই বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার ফলে মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের উচ্চশিক্ষা লাভের পথ সুগম হয়েছে। সরকার মাদ্রাসা শিক্ষার উন্নয়নে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে বলেও জানান মন্ত্রী।

শুক্রবার রাজধানীর বছিলায় ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয় আয়োজিত অস্থায়ী ক্যাম্পাসে ‘আরবি ভাষা ও ইসলামি জ্ঞান’ বিষয়ক জাতীয় প্রতিযোগিতা-২০১৭ এর চূড়ান্ত পর্বের অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় মন্ত্রী এসব কথা বলেন।

মন্ত্রী জানান, ইসলামি-আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত ৫০টির বেশি মাদ্রাসায় অনার্স কোর্স চালু করা হয়েছে। মাদ্রাসা শিক্ষার বিভিন্ন ধারার শিক্ষার্থীরা এই সুযোগ গ্রহণের মধ্যমে নিজেদের মান উন্নয়ন ও মেধার বিকাশ ঘটাতে পারবে।

তিনি সব তরিকার মাদ্রাসা আলেমদের এই বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে সম্পৃক্ত হয়ে জ্ঞান চর্চার ধারাকে এগিয়ে নেয়ার আহ্বান জানান।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে এ বিশ্ববিদ্যালয় নতুন সুযোগ সৃষ্টি করেছে, এটা কাজে লাগিয়ে মাদরাসা শিক্ষার মানকে উচ্চ পর্যায়ে নিয়ে যেতে হবে। এজন্য মাদরাসা শিক্ষকদের অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে।

মন্ত্রী বলেন, মাদ্রাসা শিক্ষকদের প্রশিক্ষণের জন্য প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট স্থাপন করা হয়েছে। এ বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী ক্যাম্পাস নির্মাণে প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। এ সরকারের আমলেই এক হাজার ৩৩৪টি মাদ্রাসায় ভবন নির্মাণ করা হয়েছে। আরও ২০০০ মাদ্রাসায় ভবন নির্মাণ করা হবে। কিছু মাদ্রাসাকে মডেল মাদ্রাসা করা হয়েছে।

ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মুহাম্মদ আহসান উল্লাহর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে জমিয়াতুল মোদার্রেছিন বাংলাদেশের মহাসচিব শাব্বির আহমদ মোমতাজী, প্রতিযোগিতার বিচারকরা এবং জেলা ও বিভাগীয় পর্যায়ে বিজয়ী মাদ্রাসাসমূহের অধ্যক্ষ, উপাধ্যক্ষ ও শিক্ষকরা উপস্থিত ছিলেন।

প্রসঙ্গত, ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত ফাজিল ও কামিল মাদ্রাসার জেলা ও বিভাগীয় পর্যায়ের বিজয়ী ৮৪ জন প্রতিযোগী চূড়ান্ত পর্বে অংশগ্রহণ করেন। জাতীয় পর্বে অংশগ্রহণকারী ৮৪ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে ৭১ জন ছাত্র এবং ১৩ জন ছাত্রী। এর আগে প্রতিযোগিতায় সারা দেশ থেকে ফাজিল ও কামিল শ্রেণির এক হাজার ৫২৫ জন শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে। অনুষ্ঠানে জাতীয় পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ তিনজনকে পুরস্কৃত করা হবে।