×

জাতীয়

বাংলাদেশি চক্রের বিরুদ্ধে মিয়ানমার গিয়ে গরু ছিনতাইয়ের অভিযোগ

Icon

কাগজ অনলাইন প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৩ অক্টোবর ২০১৭, ০৯:৩০ পিএম

টেকনাফ উপজেলার হোয়াইক্যং ইউনিয়নের কান্জরপাড়ার একটি সিন্ডিকেট রাতের আঁধারে মিয়ানমার গিয়ে জোরপুর্ব্বক একদল গরু-মহিষ নিয়ে এসেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। অভিযুক্তরা হলেন, কান্জরপাড়ার মৃত ছব্বির আহমদের ছেলে বাদশা মিয়া, শহর মল্লুকের ছেলে নবী হোছন ওরফে লাদেন, মীর আহম্মদের ছেলে লালু, ইসলামের ছেলে শাহাব উদ্দিন, বাদশা মিয়ার ছেলে জয়নাল উদ্দিন ও আবদু সালামের ছেলে বেলালসহ আরো ৪/৫। জানা গেছে, মিয়ানমারে সহিংসতার জের ধরে রাখাইনের মংডুর শীলখালী পাড়ার এক পরিবারের ৬ সদস্য বাংলাদেশে চলে আসেন। তারা পালংখালী শফিউল্লাহ কাটা ঢালস্থ বাঘগোনা রোহিঙ্গা ক্যাম্পের এ-ব্লকে অবস্থান করছেন। তারা হলেন- সৈয়দ সালামের ছেলে মো. হাসেম, তার স্ত্রী খতিজা বেগমসহ অপর চার ছেলেমেয়ে। এদিকে মিয়ানমারে তাদের ধন সম্পদ রক্ষা করার জন্য লিয়াকত আলীসহ আরো তিন জন রয়ে গেছেন। তাদের রক্ষিত তেরটি গরু ও একটি মহিষ বাংলাদেশি এক ক্রেতার সঙ্গে প্রায় ৭ লাখ টাকা দাম ঠিক হয়। বিষয়টি জানতে পেরে কান্জরপাড়ার ওই চক্র গত রোববার রাতে রাখাইনের ওই পাড়ায় যায়। সেখানে তারা লিয়াকত আলী ও ফরিদুল্লাহ ফয়েজুল ইসলামকে মার ধর করে গরু মহিষগুলো এপারে নিয়ে আসেন। সঙ্গে ২টি মোবাইলসহ ৫ লাখ কিয়াট। এতে উভয়পক্ষ আজ সোমবার দিনভর কান্জরপাড়ায় বিচার সালিশ করেও সমাধানে পৌঁছাতে পারেনি। ছিনতাইকারীরা পশুগুলো ফেরৎ দেননি। এ ব্যাপারে স্থানীয় সালিশকারক আমান উল্লাহ সিকদার বলেন, মোস্তাক আহমদসহ আরো কয়েকজন নিয়ে চেষ্টা করেছিলাম। কিন্তু তারা শোনেননি। স্থানীয়রা জানান, ওই চোরাইকারী সিন্ডিকেট দীর্ঘ দিন ধরে মিয়ানমার থেকে চোরাই পথে গরু এনে এপারে বিক্রি করত। তাদেরকে আইনের আওতায় আনার দাবি জানান তারা। এ ব্যাপারে লাদেন ও বেলালের মুঠোফোনে একাধিকবার কল করেও বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি। হোয়াইক্যং পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই সোহেল মিয়া জানান, বিষয়টি তাদের জানা নেই, তবে ঘটনা সত্য হলে চোরাইকারী সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App