×

তথ্যপ্রযুক্তি

চাঁদের বুকে বিশাল সুড়ঙ্গ

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২২ অক্টোবর ২০১৭, ০৪:৫৪ পিএম

চাঁদের বুকে বিশাল এক সুড়ঙ্গের সন্ধ্যান পেলেন জাপানের বিজ্ঞানীরা। ৫০ কিলোমিটার দীর্ঘ এই সুড়ঙ্গকে এক দিনের জন্য মানুষের থাকার উপযুক্ত করে তোলা সম্ভব হবে বলে মনে করছেন তারা। ১৯৭১-এ চাঁদের মাটিতে পা ফেলার আগে নাসার বিজ্ঞানীরা দাবি করেছিলেন যে, চাঁদের মাটির নিচে বড় সুড়ঙ্গ আছে। আগ্নেয়গিরির অগ্নুৎপাতের ফলে কয়েক মাইল জুড়ে লাভা জমে ফাঁপা অংশের সৃষ্টি হয়। বিজ্ঞানীদের দাবি, অনেকটা হাওয়াই দ্বীপের কাউমুনা লাভা টিউবের মতো দেখতে এই সুড়ঙ্গগুলো। তবে সে সময় প্রামাণ্য তথ্যের অভাবে বিষয়টা বেশি দূর এগোয়নি। সম্প্রতি জাপানের সেলেনোলজিক্যাল অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং এক্সপ্লোরার (সেলেন) মারিয়াস পাহাড়ের কাছে এই সুড়ঙ্গটি খুঁজে পেয়েছে। ৩০ মাইল বা প্রায় ৫০ কিলোমিটার দীর্ঘ এবং ৩৩০ ফুট চওড়া এই সুড়ঙ্গটি। সংবাদ সংস্থা এএফপি জানিয়েছে, মনে করা হচ্ছে অগ্ন্যুৎপাতের ফলে সাড়ে ৩০০ কোটি বছর আগে সৃষ্টি হয়েছে এটি। তবে জাপান অ্যারোস্পেস এক্সপ্লোরেশন এজেন্সি (জাক্সা)এর এক বিজ্ঞানী জুনিচি হারুইয়ামা এএফপি-কে বলেন, ‘আমরা জায়গাটা খুঁজে পেয়েছি। কিন্তু সেগুলো লাভা টিউব কিনা এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমরা এখনও সুড়ঙ্গের ভেতরটা দেখে উঠতে পারিনি। আশা করছি ভিতরে ঢুকতে পারলে অনেক অজানা তথ্য বেরিয়ে আসবে।’ পাশাপাশি তিনি এটাও জানান, যদি সত্যিই এই সুড়ঙ্গ আশ্রয়ের যোগ্য হয়, তা হলে তা মহাকাশচারীদের তাপ ও তেজস্ক্রিয়তা থেকে বাঁচাবে। চাঁদের অন্য অংশেও বেশ কিছু লাভা টিউবের অবস্থান জানা গিয়েছে বলে জানান বিজ্ঞানীরা। আরও ভাল ভাবে বিষয়টি খতিয়ে দেখার জন্য জাক্সা নাসার গ্রেল মিশনের সাহায্য নিয়েছে। পুর্ডু বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক জে মেলো, যিনি গ্রেল মিশনের এক জন সদস্য, তিনি বলেন, ‘কত দূর পর্যন্ত এই সুড়ঙ্গ বিস্তৃত তার নিশ্চিত ধারণা নেই আমাদের। তাই নাসার সাহায্য নেওয়া হয়েছে।’ চাঁদে ফের মানুষ পাঠানোর পরিকল্পনা শুরু করে দিয়েছে চীন, জাপান, আমেরিকা। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই সুড়ঙ্গ যদি সত্যিই বাসযোগ্য হয়, তা হলে যুগান্তকারী আবিষ্কার হবে সেটা। উপকৃত হবেন চন্দ্রাভিযানে যাওয়া মহাকাশচারীরাও।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App