×

পুরনো খবর

সামরিকতন্ত্র পেরিয়ে যে মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশ

Icon

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ২১ অক্টোবর ২০১৭, ০৩:৫০ পিএম

আমরা ফেসবুকে, অনলাইন গ্রুপে প্রায়ই নানা রকম ভিডিও, ছবি দেখছি। বর্তমান সরকারের বিরুদ্ধাচরণ করে নানা রকম প্রচার করা হচ্ছে। একটি মহল বারবার ব্যারাকের দিকে তাকাচ্ছেন। রাজনীতিতে ব্যারাকই যেন তাদের শেষ ভরসা। নানা রকমের গুজব ছড়ানো হচ্ছে। এসব গুজবে কান দিয়ে লেখালেখি করা উচিতও নয়। তারপরও প্রশ্ন আসছে, যারা এসব কাজ করছে- তাদের মতলব কী? বাংলাদেশে সামরিক শাসনের ইতিহাস আমাদের বয়সী সবাই জানেন। কিন্তু এই প্রজন্মের যারা-তারা হয়তো জানেন না। কিন্তু বলা দরকার, বাংলাদেশের প্রতিটি পরিবারই কোনো না কোনোভাবে রাজনীতি সচেতন। আর সচেতন বলেই সেই পরিবারের কনিষ্ঠ সন্তানও জানে, দেশ কোথায় যাচ্ছে। আজ থেকে দশ বছর আগে দেশ কেমন ছিল! একটি কথা বলা দরকার, বাংলাদেশের সামরিক শাসনের দিনগুলো মানুষ প্রায় ভুলতেই বসেছে। তা সবাইকে একটু মনে করিয়ে দেয়া দরকার। খুন ও সংঘাতের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের প্রথম সামরিক শাসক জিয়াউর রহমান ক্ষমতায় এসেছিলেন ১৯৭৫ সালের নভেম্বর মাসে। তিনি এর একটি প্রেক্ষাপটের অন্যতম নায়ক ছিলেন। জিয়া সম্পর্কে আমরা অনেক তথ্য বিভিন্ন গ্রন্থে পাই। এর কিছু এখানে তুলে ধরতে চাই। অধ্যাপক আবু সাইয়িদ সম্পাদিত বই- ‘ফ্যাক্টস এন্ড ডকুমেন্টস : বঙ্গবন্ধু হত্যাকান্ড’ পৃ. ৯৬-৯৭ তে লেখা আছে, ‘অথচ এই পে-কমিশনের জন্য একজন প্রভাবশালী সদস্যরূপে জিয়াউর রহমান সেনাবাহিনীর জন্য যে গ্রেড ও পে-স্কেলের জন্য সুপারিশ করেন তা সেনাবাহিনীর বিক্ষোভকে আরো উত্তপ্ত করে তোলে। বঙ্গবন্ধুর বিরুদ্ধে সেনাবাহিনীর মনোভাব আরো বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে। জিয়াউর রহমান সেনাবাহিনীর মাথা গরম করার জন্য এই কৌশল গ্রহণ করেছিলেন বলে দেশপ্রেমিক অফিসারদের কেউ কেউ মনে করেন।’ একই বইয়ে আরো আমরা পড়ি- ‘সেনাবাহিনীতে প্রচার হতে লাগল যে, রক্ষীবাহিনীতে আধুনিক অস্ত্র দেয়া হচ্ছে যা সেনাবাহিনীতে দেয়া হচ্ছে না। রক্ষীবাহিনীকে নতুন গাড়ি দেয়া হচ্ছে, তাদের রেশন ও বেতন সেনাবাহিনীর চেয়ে বেশি। এসব প্রচারণার কোনোটাই সত্য ছিল না। অনেকটা ছিল উদ্দেশ্যমূলক ও কিছু ভুল বুঝাবুঝির ফল। আর সেনাবাহিনীর কিছু উচ্চপদস্থ অফিসার এ প্রচারণার নেতৃত্বে ছিল। পয়লা নম্বরে ছিল সেনাবাহিনীর তৎকালীন উপপ্রধান জিয়াউর রহমান’। (ফ্যাক্টস এন্ড ডকুমেন্টস : বঙ্গবন্ধু হত্যাকান্ড, পৃ. ৯৬-৯৭) এ রকম অনেক সাক্ষ্য আছে লিখিত গ্রন্থাবলিতে। ‘মুক্তিযুদ্ধ ও তারপর’- গ্রন্থে বিশিষ্ট লেখক ও গবেষক গোলাম মুরশিদ লিখেছেন- ‘সেনাবাহিনীর সবচেয়ে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের আনুগত্য ঘোষণার পর, নিশ্চিন্ত মনে মোশতাক ক্ষমতা গ্রহণ করলেন। বেতারে ভাষণ দিলেন রাষ্ট্রপতি হিসেবে। বাংলাদেশের সংবিধান অনুযায়ী তার রাষ্ট্রপতি হওয়ার সঙ্গত কোনো কারণই ছিল না। কারণ রাষ্ট্রপতি না থাকলে দায়িত্ব পালন করবেন উপরাষ্ট্রপতি। উপরাষ্ট্রপতি না থাকলে সে দায়িত্ব পালন করবেন সংসদের স্পিকার। মোশতাক এর কোনোটাই ছিলেন না। আর সেদিন কোনো সামরিক অভ্যুত্থানও ঘটেনি। সামরিক অভ্যুত্থান ঘটলে সামরিক অফিসাররাই রাষ্ট্রের দায়িত্ব গ্রহণ করত। এটা ছিল একটা নৃশংস হত্যাকান্ড। তাই কয়েকজন মেজরের কাঁধে চড়ে মোশতাকের সিংহাসনে আরোহণ করা- এটা সম্পূর্ণ বেআইনি। আত্মস্বীকৃত খুনি ফারুক-রশিদের পীড়াপীড়িতে মোশতাক জিয়াকে প্রধান সেনাপতি করেন অনিচ্ছা সত্ত্বেও। তবে জিয়ার ক্ষমতা খর্ব করা হলো অন্য কৌশলে। মোশতাক জিয়ার উপরে বসালেন পাকিস্তান ফেরত খলিলুর রহমানকে। তার জন্য চিফ অব ডিফেন্স স্টাফ নামক নতুন পদ তৈরি করা হলো। খলিলের উপরে বসানো হলো মুক্তিযুদ্ধের সময়কার সেনাপতি জেনারেল ওসমানীকে। তিনি হলেন রাষ্ট্রপতির সামরিক উপদেষ্টা। জিয়ার সহকারী করা হলো এরশাদকে। এরশাদ তখন দিল্লিতে ট্রেনিং অবস্থায় ছিল। সেখান থেকে এনে সিনিয়রিটি ভেঙে কোনো নিয়মনীতির ধার না ধেরে ব্রিগেডিয়ার এরশাদকে ডাবল প্রমোশন দিয়ে মেজর জেনারেল করে উপপ্রধান পদে অভিষিক্ত করা হয়। মোশতাক ক্ষমতায় ছিলেন ৮২ দিন। এর মধ্যেই জেলে চার জাতীয় নেতাকে খুন করাসহ ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ জারি করেন। অর্থাৎ শৃঙ্খলা ভঙ্গ করে সেনাবাহিনীর অধস্তন সদস্যরা রাষ্ট্রপতিসহ অতগুলো লোককে মেরে ফেলার যে গুরুতর অপরাধ ঘটিয়েছে, বেসামরিক বা সামরিক আদালতে তাদের কোনো বিচার করা যাবে না।’ এর পরের অনেক ঘটনা আমাদের মনে আছে। জিয়াউর রহমানের সামরিক শাসন আদালতে বেআইনি ঘোষিত হয়। আরেকজন সেনাশাসক হু মু এরশাদ। সপ্তম সংশোধনীর মাধ্যমে ১৯৮২ সালের ২৪ মার্চ থেকে ১৯৮৬ সালের ১১ নভেম্বর পর্যন্ত সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের শাসনামলের সব কর্মকান্ডকে বৈধতা দেয়া হয়েছিল। পরবর্তী সময়ে, সংবিধানের সপ্তম সংশোধনী অবৈধ ঘোষণা করে রায় দিয়েছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে এরশাদের সামরিক শাসনকে অবৈধ ও সংবিধান পরিপন্থী ঘোষণা করা হয়েছে। ২৬ আগস্ট, ২০১০ বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী ও বিচারপতি শেখ মো. জাকির হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এক রিটের পরিপ্রেক্ষিতে এ রায় দিয়েছিলেন। রায়ে আদালত বলেন, সামরিক আইন প্রশাসক হিসেবে এরশাদের সামরিক শাসন জারি, আদেশ, সামরিক ফরমান জারি ও কার্যক্রম অবৈধ ঘোষণা করা হলো। তবে ভবিষ্যতে বিশৃঙ্খলা এড়াতে পঞ্চম সংশোধনী মামলার রায়ের আলোকে এরশাদের আমলের কর্মকান্ডকে মার্জনা করা হলো। রায়ে বলা হয়, ভবিষ্যতে অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল রোধে সংবিধান বা দন্ডবিধিতে অবৈধ ক্ষমতা দখলকারীর শাস্তি নির্ধারণ করতে পারবে জাতীয় সংসদ। যাতে করে ভবিষ্যতে এভাবে অবৈধভাবে কেউ ক্ষমতা দখল করতে উৎসাহী না হন। মোশতাক, জিয়া ও এরশাদ সম্পর্কে আদালত বলেছিলেন, বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর মোশতাক ক্ষমতা নেন। খন্দকার মোশতাক আহমেদ স্পিকার বা ভাইস প্রেসিডেন্ট না হয়েও অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করেন। তিনি বৈধ ক্ষমতার দাবিদার ছিলেন না। মোশতাকের কাছ থেকে ক্ষমতা দখল করেন জিয়াউর রহমান। মোশতাক ও জিয়া সামরিক ফরমানবলে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা সংবলিত সংবিধানের মূলনীতি পরিবর্তন করেন। এতে রাষ্ট্রীয় মূল স্তম্ভের মৃত্যু হয়। মুক্তিযুদ্ধের সেøাগান ‘জয় বাংলা’ মুছে ফেলা হয়। বাংলাদেশ বেতারকে করা হয় রেডিও বাংলাদেশ। স্বাধীনতা বিরোধীদের পুনর্বাসন করেন জিয়াউর রহমান। চিহ্নিত স্বাধীনতা বিরোধী শাহ আজিজুর রহমানকে প্রধানমন্ত্রী বানানো হয়। কর্নেল মুস্তাফিজুর রহমানকে করা হয় মন্ত্রী। পাকিস্তানের সহযোগীদের ছেড়ে দেয়া হয়। ধর্মনিরপেক্ষতা ধ্বংস করে দেন জিয়া। এমনকি বঙ্গবন্ধুর স্বীকৃত খুনিদের পুনর্বাসন করেন। খুনিদের বিভিন্ন দূতাবাসে চাকরি দেন। জিয়া খন্দকার মোশতাকের সহায়তায় ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ জারির মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার বিচারের পথ বন্ধ করেছিলেন। জিয়ার উত্তরসূরি হিসেবে বিচারপতি সাত্তারের কাছ থেকে ক্ষমতা দখল করেন এরশাদ। মোশতাক, আবু সাদাত মোহাম্মদ সায়েম ও জিয়াউর রহমানের মতো এইচ এম এরশাদও অবৈধ ক্ষমতা দখলকারী। তার এই কাজকে মার্জনা করা যেতে পারে না। অবৈধ ক্ষমতা দখলকারী হিসেবে এরশাদ তার দায় এড়াতে পারেন না। সংবিধানের পঞ্চম সংশোধনীর রায়ের আলোকে এ ধরনের অবৈধ ক্ষমতা দখলকারীকে যথাযথভাবে শাস্তি দিতে সংসদ আইন প্রণয়ন করতে পারে। সংবিধানের শ্রেষ্ঠত্ব সম্পর্কে সেই ঐতিহাসিক রায়ে আদালত বলেন, সংবিধানে সামরিক আইনের কোনো বিধান নেই। তাই সামরিক আইন জারি অবৈধ। কোনো সংসদ সংবিধান পরিপন্থী আইন পাস করতে পারে না ও বৈধতা দিতে পারে না। এরশাদের সামরিক আইন আদেশ অবৈধ হওয়ায় এর অধীনে জারি করা সব কাজ, ট্রাইব্যুনাল প্রতিষ্ঠা এবং সেই আদালতের বিচার অবৈধ। আদালত বলেন, সংবিধান জনগণের ইচ্ছার প্রতিফলন। জনগণই সব ক্ষমতার মালিক। সংবিধান দেশের সর্বোচ্চ আইন। এই আইনের ওপর সামরিক আইনসহ কোনো আইনের অবস্থান হতে পারে না। সংবিধানের ১৫০ অনুচ্ছেদকে স্মরণ করিয়ে দিয়ে রায়ে বলা হয়, সংবিধানের ১৫০ অনুচ্ছেদে মুজিবনগর সরকার গঠন থেকে সংবিধান কার্যকর করার সময় পর্যন্ত গ্রহণ করা সব কাজকে ক্রান্তিকালীন বিধান হিসেবে বৈধতা দেয়া হয়। ওই অনুচ্ছেদে আর কোনো বিধান যুক্ত করার পথ চিরতরে সিলড অর্থাৎ বন্ধ করা হলো। বাংলাদেশের সামনে এখন জাতীয় সংসদ নির্বাচন। সংবিধান অনুসারে ২০১৯ সালের ২৮ জানুয়ারির মধ্যে আগামী নির্বাচন আয়োজন করতে হবে। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ও তার অন্যতম বিরোধী রাজনৈতিক শক্তি বিএনপিতে চলছে নির্বাচনী প্রস্তুতি। কোন্দল নিরসন করে সারা দেশে দল গোছানো, নির্বাচনী ইশতেহার তৈরি, সাংগঠনিক সফর চলছে। কর্মী সমাবেশ, প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে প্রচারণার জন্য ভিডিওচিত্র তৈরি ও প্রদর্শন, সম্ভাব্য প্রার্থীর বিষয়ে তথ্য সংগ্রহও করছে দলগুলো। মাঠপর্যায়ে দলের ও প্রার্থীর জনপ্রিয়তা যাচাই, দলের সদস্য বাড়ানোর মতো কর্মসূচিতে ব্যস্ত রয়েছে উভয় দল। ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি অংশ নেয়নি। প্রস্তুতি নেয়া শুরু করলেও শেষ পর্যন্ত আগামী নির্বাচনে দলটি অংশ নেবে কি না তা নির্ভর করছে অনেক কিছুর ওপর। কারণ বিএনপি নেতারা এখনো নির্বাচনকালীন সহায়ক সরকারের দাবিতে বক্তব্য-বিবৃতি দিয়ে যাচ্ছেন। তবে আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতা ও বিএনপির একাধিক জ্যেষ্ঠ নেতা বলেছেন, দলের অস্তিত্ব রক্ষার জন্য হলেও বিএনপি আগামী নির্বাচনে যাবে। এমনকি এই ক’দিন আগে নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে মিটিং করে এসে বিএনপি নেতাদের বেশ উৎফুল্ল দেখা যাচ্ছে। রাজনীতি সেভাবেই এগোবে- এটাই ছিল কথা। কিন্তু চোরাগোপ্তা পথে মাঝে মাঝে প্রচার, গুজব ও হুমকি কারা দিচ্ছে, কেন দিচ্ছে তা খতিয়ে দেখা দরকার। এটাই হওয়ার কথা, আওয়ামী লীগের পাশাপাশি বিএনপিও জোট করেই নির্বাচনে অংশ নেবে। জোটের শক্তি বাড়াতে ছোট দলগুলোর কাছে ধরনা দিচ্ছে বড় দলগুলো। এ ক্ষেত্রে জামায়াতবিরোধী ধর্মভিত্তিক ছোট ছোট দল ও কওমিপন্থীদের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নের কৌশল নিয়েছে আওয়ামী লীগ। কৌশল হিসেবেই কওমি মাদ্রাসার সনদের স্বীকৃতি দিয়েছে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকার। দীর্ঘদিন ধরে হেফাজতে ইসলাম এই স্বীকৃতির দাবি করে আসছিল। ঢাকার সুপ্রিম কোর্ট চত্বরে গ্রিক দেবীর অনুকরণে স্থাপিত ভাস্কর্য অপসারণেও হেফাজতসহ অন্য ইসলামি দল ও সংগঠনগুলোর দাবির প্রতি সমর্থন দিয়েছে আওয়ামী লীগ। কওমি মাদ্রাসার সনদ স্বীকৃতির আওতায় নিয়ে আসার মাধ্যমে রাজনীতিতে নতুন মেরুকরণ শুরু হয়েছে গত কয়েক মাস ধরেই। বিএনপির শীর্ষস্থানীয় নেতারা বলছেন, ভোট টানার জন্যই আওয়ামী লীগ এ কৌশল নিয়েছে। আওয়ামী লীগ নেতারা মনে করছেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে হেফাজত অন্তত আওয়ামী লীগের বিরোধিতা করে রাজপথে নামবে না। একটি বিষয় মনে রাখা দরকার, ডানপন্থী বিএনপি যে কোনোভাবেই ক্ষমতা চাইবে। অতীতেও তারা এই কাজটি করেছে। কিন্তু মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশ গঠনে প্রত্যয়ী আওয়ামী লীগকে প্রার্থী নির্বাচনে খুবই সাবধান হতে হবে। মৌলবাদের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট, সাম্প্রদায়িক দখলদার, দুর্নীতিবাজ, দাগি সন্ত্রাসীরা যেন আওয়ামী লীগের মনোনয়ন না পায়। এ বিষয়ে সিপিবির সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম বলেছেন, ‘নির্বাচন ব্যবস্থার আমূল সংস্কারের জন্য আন্দোলন করছি। টাকার খেলা, পেশিশক্তির দাপট, প্রশাসনিক কারসাজি, সাম্প্রদায়িক ধূম্রজালমুক্ত নির্বাচন করতে হবে। সংখ্যানুপাতে প্রতিনিধিত্ব ব্যবস্থা প্রবর্তন করতে হবে। না হলে নির্বাচন প্রহসন হয়ে থাকবে। অংশগ্রহণ করার মতো নির্বাচনের ব্যবস্থা করা হলে আমরা তাতে অংশ নেব।’ মনে রাখা দরকার, সমমনা প্রগতিশীল শক্তিই বন্ধু হতে পারে। মৌলবাদী জঙ্গিশক্তিকে পরাজিত করতে হলে সাহসী জনশক্তিকে সঙ্গে নিয়েই এগোতে হয়।      

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App