×

শিক্ষা

বাচ্চাদের ক্রিয়েটিভ স্কুল

Icon

কাগজ অনলাইন প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৭ অক্টোবর ২০১৭, ০৭:০০ পিএম

বিশ্ব ব্যাংকের একটি তথ্যমতে প্রতি ৫ জন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিশুদের মধ্যে ৪ জন ভবিষ্যতে এমন একটি কাজে ঢুকবে যেটির অস্তিত্বই নেই এখন। আবার এখনকার সময় যে জবগুলো আছে তার প্রায় ৩০% জব পৃথিবী থেকেই হারিয়ে যাবে আগামী ২০ বছরের মধ্যে। এমন একটি সময়ে আমরা এখন বাস করছি যখন প্রযুক্তির উন্নয়নের কারণে অনেক কাজ অটোমেটিক হয়ে যাবে। তাহলে আমরা আমাদের শিশুদের কিভাবে প্রস্তুত করবো ভবিষ্যতের জন্য?

ভবিষ্যতে যে ধরণের কাজগুলো আসবে সেগুলো করার জন্য আসলে একাডেমিক বা প্রথাগত বিদ্যার গুরুত্ব তেমন একটা থাকবে না। সে কাজগুলোর জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ স্কিলগুলো হল ক্রিয়েটিভিটি, প্রবলেম সল্ভিং, এবং ইমোশনাল ইন্টেলিজেন্স। অথচ আমরা অভিভাবকরা যেমন এই বিষয়টি নিয়ে তেমন সচেতন না, তেমনিভাবে আমাদের স্কুলগুলোতেও এই বিষয়গুলোর উপর তেমন কোন জোর দেয়া হয় না।

তবে এসব কথা চিন্তা করেই এমন একটি স্কুল তাদের কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। সপ্তাহের বন্ধের দিন গুলোতে স্কুলটিতে গেলে দেখা যায় ৫-১০ বছরের বাচ্চারা মোজা থেকে পাপেট, আইসক্রিমের কাঠি থেকে প্লেন, কিংবা নিজেরাই বানাচ্ছে নিজেদের গল্প! সেই গল্পের জন্য প্রচ্ছদ! আবার তারা নিজেরাই করছে সেই গল্পগুলোতে নিজের বানানো পাপেট দিয়ে অভিনয়! এসব কোন স্বপ্ন নয়, এসবই বাস্তব এবং তা হচ্ছে আমাদের বাংলাদেশেই।

ক্রিয়েটিভিটি, সমস্যা সমাধানের দক্ষতা ও মূল্যবোধ এই ৩টি বিষয়ে দক্ষতা ভবিষ্যৎ এর জব গুলোর জন্য আবশ্যক। তাই এই ৩টি দক্ষতা মাথায় রেখে কিডস টাইম তাদের বিভিন্ন কোর্স সাজিয়েছে যেনো বাচ্চারা মজার সব কাজের মাধ্যমে তাদের এই দক্ষতাগুলো অর্জন করে নিতে পরে।

 

শুরুতে সপ্তাহে ১ দিনের ক্রাফটিং ক্লাস হতো কিডস টাইমে, তবে বাচ্চা এবং অভিভাবকদের আগ্রহের কারণে এখন ২-৩ মাসের বিভিন্ন কোর্স শুরু করেছে। ক্লাসগুলো হয় কিডস টাইমের লালমাটিয়া ও গুলশান শাখায়। এমন কিছু কোর্সের মধ্যে রয়েছে সায়েন্টিফিক মাইন্ড কোর্স, স্টোরি টেলিং কোর্স, পাপেট শো কোর্স, ক্রাফটিং কর্স, এবং রয়েছে গ্রাজুয়েশন প্রোগ্রাম। গ্রাজুয়েশন প্রোগ্রামটি ৬ মাসের দীর্ঘ প্রোগ্রাম যেখানে এই সবগুলো কোর্স একত্রে করা হয় এবং সবশেষে শিশুদের নিজেদের আয়োজনে হয় গ্রাজুয়েশন প্রোগ্রাম।

যেখানে বাচ্চাদের জন্য ছুটির দিনে কেবল রেস্টুরেন্টে খাওয়া অথবা নাচ গানের ক্লাস করেই সময় কাটাতে হয়, বিনোদনের তেমন কোন ব্যবস্থাই নেই। সেখানে কিডস টাইমে এসে বাচ্চারা যেমন আনন্দ পায়, তেমনি মজায় মজায় শিখে ফেলে সমস্যার সমাধান করা, মূল্যবোধ এবং ক্রিয়েটিভিটি।

কিডস টাইমের লক্ষ্য বাচ্চাদের জন্য এরকম সেন্টার ঢাকার বিভিন্ন স্থানে খোলার যেনো সকল বাচ্চারা সুযোগ পায় তাদের বিভিন্ন দক্ষতা বাড়ানোর।

কিডস টাইমের সাথে যোগাযোগ করতে পারেনঃ 01771588494 অথবা ইমেইল করতে পারেনঃ[email protected] http://kidstimebd.com/

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App