×

জাতীয়

পর্যাপ্ত রেল ইঞ্জিনের অভাবে বন্দর দিয়ে আমদানি-রফতানি ব্যাহত

Icon

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ১৭ অক্টোবর ২০১৭, ১১:৩২ এএম

পর্যাপ্ত রেল ইঞ্জিনের অভাবে দিনাজপুরের বিরল রেলবন্দর দিয়ে ভারত ও নেপালের সঙ্গে আমদানি-রফতানি কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে ব্যবসায়ীরা, ধস নামছে রাজস্ব আয়ে। আমদানি পণ্য বোঝাই রেলগাড়ি দিনের পর দিন ভারতীয় রেল স্টেশন রাধীকাপুর-এ পরে থাকছে, রেল ইঞ্জিনের অভাবে সেই মালামাল বোঝাই ওয়াগন বাংলাদেশের বিরল রেলবন্দরে এসে পৌঁছাতে পারছেনা। ব্যবসায়ীরা দিনের পর দিন বিরল রেলবন্দরে এসে দিন গুনছে কবে তাদের মালামাল বাংলাদেশে এসে পৌঁছাবে।
চলতি বছরের ৮ এপ্রিল শনিবার দুপুরে দিল্লী থেকে দিনাজপুরের বিরল ও ভারতের রাধীকাপুর রেলবন্দর ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বাণিজ্যিক রুট যৌথভাবে উদ্বোধন করেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেই থেকে রেল পথে সরকারিভাবে ভারতের রাধীকাপুর এবং বাংলাদেশের বিরল রেলস্টেশনের মধ্যে সরাসরি আমদানি-রফতানি নতুন গতি লাভ করে। কিন্তু আমদানি ও রফতানি কার্যক্রম রেল ইঞ্জিনের অভাবে বাধাপ্রাপ্ত হয়। দেশে রেল ইঞ্জিনের সংকট থাকায় সময় মতো রেল ইঞ্জিন বরাদ্দ পাওয়া যায়না।
আমদানি-রফতানিকারক ব্যবসায়ীরা জানান, এই পথে ভারত নেপাল ভুটান ও সিকিমসহ বিভিন্ন স্থানে বাংলাদেশের মালামাল প্রেরণ করতে ও ঐসব দেশের মালামাল বাংলাদেশে আমদানি করতে ব্যয় কম হওয়ায় এপথে অন্যান্য সুযোগ সুবিধা বেশি থাকায় তারা বিরল রেলবন্দরকে প্রাধান্য দিয়ে থাকে। কিন্তু রেল ইঞ্জিনের কারণে সময় মতো ব্যবসার মালামাল আনা নেওয়া করতে পারেনা। তারা এ বিষয়ে অতিরিক্ত রেল ইঞ্জিন বরাদ্দ দেওয়ার কথা বলেন ব্যবসায়ীরা।
বিরল রেলস্টেশন মাস্টার মাসুদ পারভেজ জানান, এই পথে আমদানি-রফতানির জন্য রেল ইঞ্জিন একটি সমস্যা। ৪২টি ওয়াগন ভর্তি মালামাল ভারত থেকে রেল পথে বাংলাদেশে প্রবেশ করলে সরকার রাজস্ব হিসেবে পায় ১৫ লক্ষাধিক টাকা। যত বেশি মালামাল নিয়ে রেল গাড়ি বাংলাদেশে প্রবেশ করবে তত বেশি সরকারের বৃদ্ধি পাবে রাজস্ব আয়।
বিরল রেলবন্দরে অনেক আমদানি-রফতানি কারক রয়েছেন। কিন্তু এখানে মূল সমস্যা রয়েছে রেল ইঞ্জিনের। সারা মাসে ২ থেকে ৩টি মাল বোঝাই রেলগাড়ি বাংলাদেশে প্রবেশ করে। যদি প্রতিদিন কমপক্ষে একটি করে পণ্যবোঝাই রেলগাড়ি বাংলাদেশে প্রবেশ করতো তাহলে বাংলাদেশের রাজস্ব আয় প্রচুর বৃদ্ধি পেতো।
বিরল রেলবন্দর দিয়ে তেল, পাথর ও খাদ্য শস্য আমদানি ছাড়াও বাংলাদেশি পণ্য রফতানি করা হয়ে থাকে। এতে প্রচুর পরিমাণ রাজস্ব আয়ের সম্ভাবনা থাকে বলে জানান, বিভাগীয় রেল কর্মকর্তা নাজমুল ইসলাম।
১৯৪৭ সালে উপমহাদেশ ভাগ হওয়ার পর পর বিরল রেলবন্দর দিয়ে আমদানি-রফতানি শুরু হয়। কিন্তু ১৯৬৫ সালে পাক-ভারত যুদ্ধের সময় এই পথে আমদানি-রফতানি বন্ধ হয়ে যায়। তারপর আবারো চালু হয়। দেশের স্বার্থে বিদেশ থেকে রেলইঞ্জিন আমদানি করা প্রয়োজন। অন্যথায় আমাদের রাজস্ব আয় বৃদ্ধিতে টান পরবে। বাধা গ্রস্ত হবে আমদানি-রফতানি কার্যক্রম। বিষয়টি রেলের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, কাস্টমস ও আমদানি-রফতানি কর্তৃপক্ষ যৌথভাবে ভেবে দেখবেন এমনটি প্রত্যাশা দেশবাসীর।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App