×

রাজনীতি

সংলাপ বয়কট-সিইসির পদত্যাগ দাবি কাদের সিদ্দিকীর

Icon

এন রায় রাজা

প্রকাশ: ১৬ অক্টোবর ২০১৭, ০৫:২৬ পিএম

প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নুরুল হুদার পদত্যাগ দাবি করলেন কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী। সোমবার নির্বাচন কমিশনের ইসির সঙ্গে সংলাপের শেষ দিকে সংলাপ বয়কট করে বেরিয়ে এসে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন। সিদ্দিকী বলেন, গতকাল বিএনপির সঙ্গে সংলাপে প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেছেন, জিয়াউর রহমান নাকি গণতন্ত্রের পূণ প্রতিষ্ঠিাতা ? তাহলে কি বঙ্গবন্ধু গণতন্ত্রের হত্যাকারী? একটি সাংবিধানিক পদে থেকে তিনি এমন মন্তব্য করতে পারেন না। আমরা তার সঙ্গে একমত নই। তাই যদি সিইসি তার বক্তব্য প্রত্যাহার না করেন তাহলে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ তার পদত্যাগ দাবি করছে। কেননা, তিনি তার নিরপেক্ষতা ও গ্রহণ যোগ্যতা হারিয়েছেন। ইসি’র সংলাপ থেকে বেরিয়ে এসে কাদের সিদ্দিকী নিজেই সাংবাদিকদের এসব বিষয় অবহিত করেন। এ সময় তার স্ত্রী ও দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য নাসরীন সিদ্দিকীও সঙ্গে ছিলেন। এর আগে কাদের সিদ্দিকীর নেতৃত্বে ২৫ সদস্যের প্রতিনিধি দল ইসের সঙ্গে সংলাপে অংশ নেয়। এসময় প্রধানর নির্বাচন কমিশনার কে এম নুরুল হুদার সভাপতিত্বে অন্য ৪ কমিশনার, ইসি সচিবসহ ইসির উর্দ্ধতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। সংলাপের শেষ ভাবে দলটি সংলাপ বয়কট করে বলে জানান সিদ্দিকী। এ সময় বিতর্কিত ওই বক্তব্য প্রত্যাহারের আহবান জানিয়ে সিইসি’র পদত্যাগ দাবি করেন কাদের সিদ্দিকী। বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান দেশে বহুদলীয় গণতন্ত্র পুন:প্রতিষ্ঠা করেন মর্মে দেওয়া প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম নূরুল হুদা’র বক্তব্যের প্রতিবাদে নির্বাচন কমিশনের সংলাপ বয়কট করেছে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ। সংলাপ শুরু হলে রোববার বিএনপির সঙ্গে সংলাপে সিইসি’র দেওয়া বক্তব্যের তীব্র সমালোচনা করেন কাদের সিদ্দিকী। কাদের সিদ্দিকী বলেন, সিইসি এককভাবে এ কথা (জিয়াউর রহমানকে বহুদলীয় গণতন্ত্রের পুন:প্রতিষ্ঠাতা) বলেছেন। কাজেই তিনি তার নিরপেক্ষতা হারিয়েছেন। বিতর্কিত ওই বক্তব্যে সিইসি বলেছিলেন, ‘শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ৩৯ বছর পূর্বে ১৯৭৭ সালে অত্যন্ত দৃঢতার সাথে বিএনপি গঠন করেন। সে দলে ডান, বাম, মধ্যপন্থি সব মতাদর্শের অনেক রাজনৈতিক ব্যক্তিকে একত্র করেন। তার মধ্য দিয়েই দেশে বহুদলীয় গণতন্ত্র পুন:প্রতিষ্ঠা লাভ করে।’ কাদের সিদ্দিকী বলেন, যদি জিয়া গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা করে থাকেন, তবে কি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান গণতন্ত্র হত্যা করেছেন? কাজেই সিইসি এ কথা বলতে পারেন না। আমরা তার কথার সঙ্গে একমত না। তাই সংলাপ বয়কট করেছি এবং আমি মনে করি তার পদত্যাগ করা উচিত। বক্তব্য প্রত্যাহার না করা পর্যন্ত সিইসি'র পদত্যাগ দাবি করছি। বয়কটের আগে ইসির কাছে নির্বাচন নিয়ে ১৮ দফা সুপারিশ তুলে ধরে কাদের সিদ্দিকীর দল। এগুলোর মধ্যে রয়েছে- নির্বাচনকালীন নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকার, আদমশুমারির পরিবর্তে ভোটার সংখ্যার ভিত্তিতে আসনের সীমানা নির্ধারণ, আয়কর রিটার্ন দাখিলের বিধান বাতিল, ভোটের ১৫ দিন আগে সেনা মোতায়েন, ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে ভোট চালু, প্রধানমন্ত্রী বা রাষ্ট্রপতি পদে দুইবারের বেশি দায়িত্বে না থাকার বিধান, প্রার্থী হতে ১ শতাংশ ভোটারের সমর্থনের বিধান বাতিল প্রভৃতি। গত ৩১ জুলাই সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গে এবং ১৬ ও ১৭ আগস্ট গণমাধ্যমের প্রতিনিধিদের সঙ্গে সংলাপে বসেছিল ইসি। এরপর গত ২৪ আগস্ট থেকে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপ শুরু করে নির্বাচন কমিশন।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App