বর্তমানে নির্বাচন প্রহসনে পরিণত হয়েছে, সংসদ ভেঙে ভোটের প্রস্তাব সিপিবির
এন রায় রাজা
প্রকাশ: ১২ অক্টোবর ২০১৭, ০৫:৪২ পিএম
বর্তমানে নির্বাচন একটা প্রহসনে পরিণত হয়েছে। এখান থেকে বেরিয়ে আসতে নির্বাচনী ব্যবস্থার আমুল সংস্কার করতে হবে। সেই সাথে সংসদ ভেঙে দিয়ে সমান লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি করা এবং তত্ত্বাবধায়ক বা সহায়ক বা কোনো সরকারের অধীনে নয়, নির্বাচন কমিশনের অধীনেই নির্বাচন করতে হবে বলে দাবি করেছেন বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি- সিপিবির সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম। বৃহস্পতিবার সকালে নির্বাচন কমিশনের সংলাপে মুজাহিদুল ইসলাম সেলিমের নেতৃত্বে ১১ সদস্যের প্রতিনিধি দল অংশ নেয়। প্রধান নির্বাচন কমিশনার কেএম নূরুল হুদার সভাপতিত্বে অন্য নির্বাচন কমিশনার ও ইসির ভারপ্রাপ্ত সচিবসহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।
সংলাপ শেষে মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম বলেন, তফসিল ঘোষণার অব্যবহিত পূর্বেই বিদ্যমান জাতীয় সংসদ ভেঙে দিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিপ্রার্থীদের মধ্যে সমতা বিধান করতে হবে; জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সব কর্মকাণ্ড পরিচালিত হবে ইসির অধীনে, কোনো সরকারের অধীনে নয়। এ উদ্দেশ্যে সংবিধানের প্রয়োজনীয় সংশোধন করতে হবে। তিনি বলেন, নির্বাচনকালীন সময় সরকারের কর্তৃত্বকে সাংবিধানিকভাবে সংকুচিত করে তার অন্তর্বর্তীকালীন কাজ ততত্ত্ববধানমূলক ও অত্যাবশ্যক রুটিন কিছু কাজের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখতে হবে। সেই সঙ্গে ভোট অনুযায়ী সংসদে ‘সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্ব’ ব্যবস্থা চালু, সংরক্ষিত নারী আসন ১০০ তে উন্নীত করা, অনলাইনে মনোনয়ন জমা দেয়ার ব্যবস্থা করা; স্বতন্ত্র প্রার্থীদের ১% ভোটারের স্বাক্ষর তালিকা জমার বিধান বাতিল করা; জাতীয়ভিত্তিক সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্ব ব্যবস্থা চালু করা; জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রাজনৈতিক দলের মনোনীত প্রার্থী হতে হলে কোনো ব্যক্তিকে কমপক্ষে ৫ বছর রাজনৈতিক দলের সক্রিয় সদস্য হতে হবে; নির্বাচনে টাকার খেলা বন্ধ করা; নির্বাচনে সন্ত্রাস, পেশিশক্তির প্রভাব ও দুর্বৃত্তমুক্ত করা; নির্বাচনে ধর্ম, সাম্প্রদায়িকতা ও আঞ্চলিকতার অপব্যবহার রোধ করা; নির্বাচনে সকলের সম-সুযোগ নিশ্চিত করা; নির্বাচনী এলাকা নির্ধারণে ও নির্বাচন পরিচালনায় স্বচ্ছতা বিধান করা; নির্বাচন কমিশন, নির্বাচনী আইন ও বিধির সংস্কার করা; নির্বাচনী বিরোধ নিষ্পত্তির জন্য স্বতন্ত্র আদালত গঠন করা সহ ১৭ দফা সুপারিশ করেছে দলটি।
এর পরে দুপুর ২টায় গণতন্ত্রী পার্টি ইসির সঙ্গে সংলাপে অংশ নেয়। দলটির প্রেসিডেন্ট ব্যারিস্টার আরশ আলীর নেতৃত্বে ১১ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল অংশ নেয়। এসময় দলটি বলে তারা বর্তমান সরকারের অধীনেই নির্বাচন করতে চায়। তবে নির্বাচনের সময় স্বরাষ্ট্র, জনপ্রশাসন ও স্থাণীয় সরকার মন্ত্রণালয় ইসির অধীনে আনার প্রস্তাব দেয়। সেই সাথে নির্বাচনে ধমের্সর ব্যবহার রোধ, কালো টাকা পেশী শক্তির ব্যবহার বন্ধ্এবং সবার জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড সমান রাখা, জামানত ১০ হাজার টাকার মধ্যে আনার আহ্বান জানান। এ পর্যন্ত ৩২ টি দলের সঙ্গে সংলাপ করলো ইসি।