সংবিধানের আলোকে বর্তমান সরকারের অধীনেই একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন এবং প্রয়োজনে সেনা মোতায়েনসহ ১৪দফা প্রস্তাবনা দিয়েছে বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি। বুধবার সকালে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সঙ্গে মতবিনিময়ে এসব প্রস্তাবণা পেশ করে রাশেদ খান মেননের দল। বুধবার বেলা ১১টায় আগারগাঁওস্থ নির্বাচন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম নূরুল হুদার সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভাটি শুরু হয়। রাশেদ খান মেননের নেতৃত্বে ১৫ সদস্যের প্রতিনিধি দল এতে উপস্থিত ছিলেন। দলটির লিখিত প্রস্তাবনায় বলা হয়, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সংবিধানের আলোকে বর্তমান সরকারের অধীনেই অনুষ্ঠিত হবে। তবে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর সরকার দৈনন্দিন কার্যবলী ছাড়া নীতিগত কোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে না। অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের লক্ষ্যে স্বরাষ্ট্র, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়, জনপ্রশাসন নির্বাচনকালীন সময়ে নির্বাচন কমিশনের অধীনস্ত থাকবে। নির্বাচন পরিচালনার সাথে যুক্ত ব্যক্তিরা নির্বাচনের পূর্বে ও পরে একটি নির্দিষ্ট সময়কালে নির্বাচন কমিশনের অধীনে থাকবে। এই সময়ে তাদের কৃত কোনো অপরাধ ও কর্তব্যে অবহেলার জন্য নির্বাচন কমিশন তাৎক্ষণিকভাবে যেকোনো শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারবে এবং সরকার তা বাস্তবায়নে বাধ্য থাকবে।‌ সেই সাথে একান্ত প্রয়োজনে নির্বাচন কমিশন আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার স্বার্থে কোনো কোনো ক্ষেত্রে প্রতিরক্ষা বাহিনী নিয়োগ করতে পারে, তবে তাদেরকে বিচারিক ক্ষমতা দেয়ার কোনো প্রয়োজন নেই বলে দলটি প্রস্তাব করেছে। অন্যান্য প্রস্তাবনার মধ্যে রয়েছে- আগামী নির্বাচনের আগে সীমানা পুন:নির্ধারণ না করা; অনলাইনে মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার ব্যবস্থা করা; ব্যালটের পাশাপাশি ইভিএম ব্যবহার করা, তবে এ ক্ষেত্রে জনসচেতনতা ও আস্থা অর্জন বাঞ্চনীয়; স্বতন্ত্র প্রার্থীর ১ শতাংশ ভোটারের স্বাক্ষর গ্রহণের শর্ত বাতিল করা; নির্বাচনে টাকার খেলা বন্ধ করা; জামানত ২০ হাজারের পরিবর্তে ১০ হাজার করা, নির্বাচনকে সন্ত্রাস ও পেশি শক্তির মুক্ত করা; নির্বাচনে ধর্ম ও সাম্প্রদায়িকতার ব্যবহার বন্ধ করা; নির্বাচনে সবার সমান সুযোগ সৃষ্টি করা ইত্যাদি। এ পর্যন্ত ২৯টি দলের সঙ্গে বসলো ইসি। এছাড়া বিকাল তিনটায় বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি’র সঙ্গে মতবিনিময় করে।