×

রাজনীতি

গতবারের মতো অন্তর্বর্তী সরকার চায় জাপা

Icon

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ০৯ অক্টোবর ২০১৭, ০৯:৩৯ পিএম

গতবারের মতো আগামী একাদশ সংসদ নির্বাচনও অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অধীন গঠনের প্রস্তাব দিয়েছে সংসদের বিরোধী দল জাতীয় পার্টি-জাপা। দলটির প্রস্তাব নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর নির্দিষ্ট সময়ে সংসদ ভেঙ্গে দিয়ে সংসদে প্রতিনিধিত্বকারী সব দলের প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে অর্ন্তবর্তী সরকার গঠন করতে হবে। সংসদ না থাকায় ওই সরকারে বিএনপি থাকতে পারবে না। এছাড়াও আগামী নির্বাচনের সময় সারা দেশে সশস্ত্র বাহিনী মোতায়েন, বিতর্কিত কর্মকর্তাদের নির্বাচনের দায়িত্বে না রাখাসহ মোট আট দফা প্রস্তাব দিয়েছে এ দলটি। সোমবার সকালে জাপার চেয়ারম্যান এইচ এম এরশাদের নেতৃত্বে ২৫ সদস্যর প্রতিনিধি দল নির্বাচন কমিশনের সংলাপে অংশ নিয়ে এই প্রস্তাব দেন। বেলা ১১টা থেকে প্রায় দুই ঘণ্টা সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়। সংলাপে অংশ নেয়া প্রতিনিধিদলে ছিলেন না জাতীয় সংসদের বিরোধীদলীয় নেতা রওশন এরশাদ। আগারগাঁও নির্বাচন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সংলাপে চারজন নির্বাচন কমিশনার, ইসির ভারপ্রাপ্ত সচিবসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। সংলাপে জাপার দেয়া প্রস্তাবে বলা হয়েছে, দলীয় প্রধানের সুপারিশের ভিত্তিতে অন্তর্বর্তী মন্ত্রিসভার সদস্য নিয়োগ করতে হবে। তাদের অন্য প্রস্তাবগুলোর মধ্যে আছে, নির্বাচন কমিশনকে সম্পূর্ণ স্বাধীনভাবে কাজ করতে হবে। নির্বাচন অনুষ্ঠানের ক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশনের ওপর অন্তর্বর্তী সরকারের কোনো হস্তক্ষেপ করা চলবে না। নির্বাচনে সারা দেশে সশস্ত্র বাহিনী মোতায়েন করতে হবে। তফসিল ঘোষণার পর জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রশাসনে কোনো বিতর্কিত কর্মকর্তাকে দায়িত্বে রাখা যাবে না। নির্বাচনী ব্যয় সর্বোচ্চ ২০ লাখ টাকা নির্ধারণ করে সব খরচ তার মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখার ক্ষেত্রে কঠোরতা আরোপ করতে হবে। প্রচার কাজের গাড়িবহর সীমিত রাখার বিধান রাখতে হবে। ভোটের আনুপাতিক হারে সংসদীয় আসনের সীমানা নির্ধারণ করতে হবে। নির্বাচনকালীন সময়ে প্রয়োজনে সংবিধানের ধারা-উপধারা সংশোধন করে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়, সংস্থাপন মন্ত্রণালয়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়-নির্বাচন কমিশনের অধীনে নিয়ে আসতে হবে। নির্বাচন পদ্ধতি সংস্কারের বিষয়টি নির্বাচন কমিশনকে বিবেচনা করতে হবে। নির্বাচন পদ্ধতি সংস্কারের বিষয়ে জাপার প্রস্তাব হচ্ছে, ভোটারেরা দলকে ভোট দেবেন। সরাসরি প্রার্থীকে নয়। প্রত্যেক দল প্রাপ্ত ভোটের ভিত্তিতে আনুপাতিক হারে সংসদীয় আসনের সদস্য পাবে। সংলাপ শেষে এরশাদ সাংবাদিকদের বলেন, সরকারই অন্তর্বর্তী সরকার গঠন করবে। গতবারও তা হয়েছিল। এবারও তাই হবে বলে তিনি আশা করেন। অন্তর্বর্তী সরকার হবে যারা সংসদে রয়েছে তাদের নিয়ে, বিএনপি সংসদে নেই। তাই দুঃখজনক ঘটনা হলেও বিএনপি থাকতে পারবে না। প্রতিটি তত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা জাতীয় পার্টির প্রতি বিমাতাসুলভ আচরণ করেছে মনে করেন জাপা চেয়ারম্যান। তিনি আরও বলেন, অন্তর্বতীকালীন সরকার’ ইসির এখতিয়ারভুক্ত নয়। এই পদ্ধতিটি নির্ধারণ করে সরকার, সেটা তো ওনারাই করবেন এবং গতবারও তাই করেছিলেন। আশা করি, এবারও তার ব্যত্যয় ঘটবে না। এটা ওনাদের (ইসি) এখতিয়ারভুক্ত নয়। বিএনপিকে বাদ দিয়ে নির্বাচন গ্রহণযোগ্য হবে কি না জানতে চাইলে এরশাদ বলেন, ‘তারা নির্বাচনে আসবে বলে আমি আশা করি। বৃহত্ দল কি না, বলতে পারি না। বৃহত্ দল অন্যরাও হতে পারে, আমরাও হতে পারি। এ জন্য এটা বলতে পারব না। তবে সেটা জনগণ ঠিক করবে।’ এরশাদ বলেন, জনগণের ধারণা হলো, সেনাবাহিনী মোতায়েন হলে নির্বাচন সুষ্ঠু হবে। তাই জাপা সেনা মোতায়েনের কথা বলেছে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App