রোহিঙ্গা সঙ্কটে সাহসী সিদ্ধান্ত ও উদার মনের পরিচয় দেওয়ায় শেখ হাসিনাকে এই সংবর্ধনা দেওয়া হচ্ছে বলে আগেই জানিয়েছিলেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
শনিবার শাহজালাল বিমানবন্দরের ভিভিআইপি লাউঞ্জে এই সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে শেখ হাসিনাতে ‘বিপন্ন মানবতার বাতিঘর’ অভিহিত করেন তিনি।
বিমানবন্দরে এসময় মন্ত্রিসভার সদস্য ও ঊর্ধ্বতন সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তাদের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন লেখক, শিল্পী, শিক্ষাবিদ, সংস্কৃতিকর্মী, ক্রীড়াবিদ ও ব্যবসায়ী নেতারা।
শেখ হাসিনাকে প্রথমে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতারা। এরপর ফুল দেওয়া হয় ১৪ দলের পক্ষ থেকে।
পরে বিশিষ্টজনদের পক্ষ ফুলেল শুভেচ্ছা জানান বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক অধ্যাপক শামসুজ্জামান খান, বিএসএমএমইউর সাবেক উপাচার্য প্রাণ গোপাল দত্ত। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মো. আখতারুজ্জামান, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক হারুণ-অর রশীদ, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মীজানুর রহমান ও বিএসএমএমইউর উপাচার্য অধ্যাপক কামরুল হাসান খান ফুল দেন প্রধানমন্ত্রীকে।
ক্রিকেটার মাশরাফি বিন মুর্তজা, নাঈমুর রহমান দুর্জয়কে সঙ্গে নিয়ে ক্রীড়াঙ্গনের পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রীকে ফুল দেন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান।
রামেন্দু মজুমদারের নেতৃত্বে সংস্কৃতিকর্মীরা প্রধানমন্ত্রীকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান। এর মধ্যে ছিলেন আতাউর রহমান, গোলাম কুদ্দুস, সারা যাকের প্রমুখ।
সাহিত্যিক রাহাত খান, চিত্রশিল্পী হাশেম খান, কণ্ঠশিল্পী রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যাও এসময় উপস্থিত ছিলেন।
সাংবাদিকদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় প্রেস ক্লাবের সভাপতি মুহাম্মদ শফিকুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক ফরিদা ইয়াসমিন, বিএফইউজের সভাপতি মঞ্জুরুল আহসান বুলবুল, আবেদ খান প্রমুখ।
এফবিসিসিআই, বিজিএমইএসহ বিভিন্ন সংগঠনের নেতারাও ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান প্রধানমন্ত্রীকে।
অনুষ্ঠানে সংক্ষিপ্ত বক্তৃতা দেওয়ার পর বিমানবন্দর থেকে গণভবনের পথে রওনা হন। এই পুরোটা পথে আওয়ামী লীগের হাজার-হাজার নেতা-কর্মী জড়ো হয়ে তাকে শুভেচ্ছা জানান।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।