আর কমছে না চালের দাম
অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ০৬ অক্টোবর ২০১৭, ১০:৫৪ পিএম
ঢাকার চাল ব্যবসায়ীরা বলছেন, সরকারের চাপে চালের দাম একধাপ কমিয়ে থেমে গেছেন দেশীয় মিল মালিকরা। তবে আমদানি করা চালের দাম তুলনামূলক কম থাকায় বাজারে কিছুটা স্বস্তি এসেছে।
শুক্রবার ঢাকার কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখা যায়, খুচরা বাজারে এখনও মিনিকেট চালের ৫০ কেজির বস্তা বিক্রি হচ্ছে তিন হাজার থেকে সাড়ে তিন হাজার টাকায়। আর পাইকারিতে এই চাল বিক্রি হচ্ছে ২৯০০ টাকায়।
ফলে মিনিকেটের খুচরা মূল্য দাঁড়াচ্ছে ৬০ থেকে ৬১ টাকা, আর পাইকারি মূল্য ৫৮ টাকা। কোরবানির ঈদের পর গুজব ও কারসাজিতে হঠাৎ চলের দাম বাড়ার আগে মিনিকেট বিক্রি হচ্ছিল প্রতিকেজি ৫২ থেকে ৫৪ টাকায়।
বাজারের সর্বশেষ পরিস্থিতি যাচাই করে দেখা যায়, মিনিকেটর মতোই বিআর আটাশ ও পাইজাম বিক্রি হচ্ছে চড়া দামে। খুচরায় বিআর আটাশ ৫০ কেজির বস্তা ২৬০০ টাকা, আর পাইজাম ২৫০০ টাকা।
চরায় চালের সর্বশেষ এই মূল্য জানিয়ে রাজধানীর রামপুরার বিক্রমপুর রাইস এজেন্সির ব্যবস্থাপক সাখাওয়াত হোসেন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, ২০ সেপ্টেম্বরের দিকে মিল মালিকরা প্রথম ধাপে চালের দাম বস্তায় দেড়শ টাকার মতো কমিয়েছেলেন। পরের সপ্তাহে কমেছে আরও ২৫ টাকা। এরপর চালের দাম আর কমেনি।
“তবে বাজারে ইন্ডিয়ান চালের পর্যাপ্ত সরবরাহ থাকায় মানুষ কিছুটা কম দামে মোটা চাল পাচ্ছে। ইন্ডিয়ান মোটা চালের ৫০ কেজির বস্তা এখন ২২৫০ থেকে ২৩০০ টাকা। ইন্ডিয়ান আটাশ চালও ২৩৫০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে।”
কারওয়ান বাজারের সিটি জেনারেল স্টোরের একজন বিক্রয়কর্মী জানান, খুচরায় মিনিকেট কেজি প্রতি ৫৮ থেকে ৬০ টাকা, নাজিরশাইল ৬৬ থেকে ৬৮ টাকা, ভারতীয় আটাশ চাল ৪৭ টাকা, দেশি আটাশ চাল ৫৪ টাকা এবং ভারতীয় মোটা চাল (স্বর্ণা) ৫৪ টাকায় প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে।
উত্তর বাড্ডায় পাইকারি দোকান সাতারকুল রাইস এজেন্সির অন্যতম ব্যবস্থাপক বিপ্লব হোসেন বলেন, গত মাসের শেষ দিকে সব ধরনের চালের দাম কেজিতে ৪ থেকে ৫ টাকা করে কমেছে। বিশেষ করে মিনিকেটের দাম কমেছে। গত এক সপ্তাহ ধরে দাম স্থির আছে।