নাটোরের গুরুদাসপুরের আত্রাই নদী ও চলনবিল থেকে ৭টি অবৈধ সুতি জাল উচ্ছেদের পর আগুনে পুড়িয়ে ধ্বংস করেছে উপজেলা প্রশাসন। গত বৃহস্পতিবার গুরুদাসপুর উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গণে এ কার্যক্রম পরিচালনা করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মনির হোসেন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মনির হোসেন জানান, স্থানীয় প্রভাবশালীরা কয়েক বছর ধরে বর্ষায় অবৈধভাবে নদীতে বাঁশের বেড়া দিয়ে সুতি জাল তৈরি করে মাছ শিকার করে আসছিল। এতে করে একদিকে নদীতে কৃত্রিম স্রোত তৈরি হওয়ার পাশাপাশি প্রকৃত জেলেদের আয় বন্ধ হয়ে যায়। এ ছাড়া কৃত্রিম স্রোতের কারণে নদীর দুপাড়ের মাটিতে ভাঙন দেখা দেয়। এতে হুমকির মুখে পড়ে নদী পাড়ের বসবাসকারী সাধারণ মানুষ ও জমিজমা। এ নিয়ে স্থানীয়দের মাঝে আতঙ্কের সৃষ্টি হলে বিষয়টি তারা জেলা ও উপজেলা প্রশাসনকে অবহিত করেন। পরে উপজেলা প্রশাসন নদী তীরবর্তী এলাকার সাধারণ মানুষের জানমালের নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে গত সোমবার থেকে অবৈধ সুতি জালের বিরুদ্ধে উচ্ছেদ অভিযান শুরু করেন।
অভিযানে উপজেলার সাবগাড়ী, রাবারড্যাম, জ্ঞানদানগর, যোগিন্দ্রনগরসহ আত্রাই নদী এবং চলনবিল থেকে মোট ৭টি সুতি জাল উচ্ছেদ করা হয়। পরে সেগুলো উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গণে জড়ো করা হয়। বৃহস্পতিবার বিকেলে জালগুলো আগুন দিয়ে পুড়িয়ে ধ্বংস করা হয়। অভিযানে অংশ নেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভ‚মি) গণপতি রায়, সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা আবদুল হালিম, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি এবং পুলিশ প্রশাসন।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।