×

অর্থনীতি

ক্রেতাদের হাতে ব্যাগের ছড়াছড়ি

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২২ জানুয়ারি ২০১৯, ১২:৫৯ পিএম

ক্রেতাদের হাতে ব্যাগের ছড়াছড়ি

বাণিজ্যমেলায় ক্রেতারা কেনাকাটায় ব্যস্ত

দিন গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে জমজমাট হয়ে উঠছে ২৪তম ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলা। পছন্দের স্টলগুলোতে চলছে বিভিন্ন অফারের সুযোগ। ফলে ক্রেতাদের হাতে হাতে এখন ব্যাগের ছড়াছড়ি। কেউ খালি হাতে ফিরছে না। কারো হাতে রয়েছে একাধিক ব্যাগ। যথারীতি ক্রেতাদের মধ্যে এগিয়ে নারীরা এবং সবচেয়ে ভিড় নারী স্টলগুলোতে। পাশাপশি মেলায় এখন দর্শণার্থীদের চেয়ে ক্রেতাদের সংখ্যাও দিন দিন বাড়ছে। গতকাল মেলার ১৩তম দিনে বাণিজ্যমেলা ঘুরে এমন সব চিত্র দেখা গেছে। স্বাভাবিকভাবেই মেলার প্রথমদিকে ক্রেতা-দর্শণার্থীদের ভিড় তেমন চোখে পড়ে না, তবে ধীরে ধীরে তা বাড়তে থাকে। জমজমাট হতে থাকে স্টলগুলো। বিক্রি বাড়ায় কর্মচাঞ্চল্য বাড়ে বিক্রয়কর্মীদের মধ্যে। এ বছর বাণিজ্যমেলায় নারী ও শিশু সামগ্রীর কতগুলো স্টল রয়েছে তা নির্দিষ্ট করে জানা না গেলেও বড় বড় প্যাভিলিয়ন থেকে শুরু করে ছোট ছোট স্টলগুলোতেও শিশু ও নারীদের সামগ্রী বিক্রি হচ্ছে। এসব সামগ্রী বিক্রির জন্য দেশীয় বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে পাশাপাশি রয়েছে বিদেশি প্রতিষ্ঠানও। মেলার প্রধান গেট দিয়ে ঢুকে উত্তর দিকে এগোলেই চোখে পড়বে নারীদের বিভিন্ন জুয়েলারি সামগ্রীর স্টল। মেলার শুরু থেকেই এখানকার স্টলগুলোতে নারীদের ভিড় বেশি বলে জানিয়েছে স্টলসংশ্লিষ্টরা। তারা জানিয়েছেন, তাদের জুয়েলারি পণ্যের মান যেমন ভালো তেমন দামও নাগালের মধ্যে। মেলার প্রথম থেকেই বিক্রি বেশ ভালো। তবে সবচেয়ে বেশি বিক্রি হয়েছে গত শুক্রবার ও শনিবার। দুই দিন সাপ্তাহিক ছুটির কারণে ক্রেতা-দর্শনার্থীদের ভিড় সামাল দিতে হিমশিম খেতে হয়েছে। গতকাল বাণিজ্যমেলায় বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের বাংলাদেশ তাঁত বোর্ডের প্যাভিলিয়নের সাতকাহন স্টলে ১ হাজার ৪৫০ টাকার হাফ সিল্ক শাড়ি মাত্র ৯৯০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা যায়। এর বাইরেও বিভিন্ন পণ্যে ছাড় দিচ্ছে সাতকাহন। স্টল সংশ্লিষ্টরা জানায়, নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে মেলা উপলক্ষে পণ্যগুলোতে ছাড় দেয়া হচ্ছে। এর মধ্যে ১ হাজার ৪৫০ টাকা মূল্যের হাফ সিল্ক শাড়ি ৯৯০ টাকায়, কটন শাড়ি ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকা ছাড়ে, ৫ হাজার ৫০০ টাকা মূল্যের থ্রি-পিস ৩ হাজার ২০০ টাকায়, ১ হাজার ৪৫০ টাকার ওয়ান পিস (জামা) বিক্রি হচ্ছে ৯৯০ টাকায়। এই স্টল থেকে শাড়ি ও থ্রি-পিস কেনা এক নারী ক্রেতা বলেন, দাম তেমন ব্যাপার না হলেও দেখে পছন্দ হয়েছে, এ জন্য কিনেছি। এ ছাড়া মেলার প্রধান গেট দিয়ে ঢুকে একটু পশ্চিম দিকে গেলেই থাই প্যাভিলিয়ন। এই প্যাভিলিয়নে থাকা সিংভাগ স্টলেই শিশু ও নারীদের সামগ্রী বিক্রি হচ্ছে। মেলার প্রথম কয়েক দিন এই প্যাভিলিয়নে ক্রেতা-দর্শনার্থীদের তেমন সমাগম দেখা যায়নি। তবে গত শুক্রবার থেকে চিত্র পাল্টে গেছে। শুক্র ও শনিবার প্যাভিলিয়নটিতে ক্রেতা-দর্শনার্থীদের উপচে পড়া ভিড় দেখা যায়। গতকালও ক্রেতা-দর্শনার্থীদের আনাগোনা দেখা গেছে। প্যাভিলিয়নের বিভিন্ন স্টলে নারীদের সাজসজ্জার সামগ্রী বেশি বিক্রি হচ্ছে বলে জানান বিক্রেতারা। কথা হয় গৃহিনী সাবিনা ইয়াসমিন শিল্পীর সঙ্গে। তিনি জানান, পছন্দের প্রসাধনী পণ্য কিনেছি, সঙ্গে বাচ্চাদের জন্য কিছু খেলনা। এ ছাড়া মেলায় বিক্রির শীর্ষে আছে প্লাস্টিক পণ্য। বাংলাদেশি কয়েকটি প্লাস্টিক কোম্পানি নগদ মূল্যছাড় দেয়ায় এসব প্যাভিলিয়নে ক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড় দেখা গেছে। এ ছাড়া ঘর সাজানোর জিনিসপত্র, রান্নার সরঞ্জাম ও গার্মেন্টস পণ্যের স্টলগুলোতে ক্রেতা সমাগম বেশি। খাবার হোটেলগুলোতেও রয়েছে চোখে পড়ার মতো ভিড়। প্রতিনিয়ত নতুন নতুন রাইড যোগ হওয়ায় শিশুকেন্দ্রগুলোতেও রয়েছে যথেষ্ট ভিড়। উল্লেখ্য, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) আয়োজনে রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে গত ৯ জানুয়ারি শুরু হয় ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলা-২০১৯। মেলা শেষ হবে আগামী ৮ ফেব্রুয়ারি। মেলায় বিভিন্ন ক্যাটাগরির প্যাভিলিয়নের সংখ্যা ১১০টি। মিনি প্যাভিলিয়ন ৮৩টি ও স্টল ৪১২টি। মেলা মাঠের আয়তন ৩১ দশমিক ৫৩ একর। এ ছাড়া মেলায় প্রবেশের জন্য প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য টিকেটের ফি নির্ধারণ হয়েছে ৩০ টাকা ও অপ্রাপ্তবয়স্কদের জন্য ২০ টাকা। এবার অনলাইন ও কিউআর কোডের মাধ্যমেও টিকেট কাটতে পারছেন ক্রেতা-দর্শনার্থীরা।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App