×

মুক্তচিন্তা

দুর্নীতির বিরুদ্ধে অভিযান, নাকি অকার্যকর করা উত্তম

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২১ জানুয়ারি ২০১৯, ১০:১১ পিএম

আমরা বলে থাকি জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে পরিচালিত অভিযানের পাশাপাশি প্রচার-প্রচারণা ও জনসচেতনতার কোনো বিকল্প নেই। অন্যদিকে মাদকের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করে নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না। মানুষের মধ্যে অর্থবিত্তের প্রতি আগ্রহ থাকা স্বাভাবিক। কিন্তু আইন ও নিয়মকানুনের ভেতর দিয়ে তা অর্জনের সুযোগ থাকলে, অবৈধ উপায়ে তা পাওয়ার সুযোগ বন্ধ করা গেলে অবৈধ বিত্তশালী হওয়ার জন্য দুর্নীতিবাজ হওয়ার সুযোগই কমে যেতে বাধ্য।

দেশে দুর্নীতির বিরুদ্ধে কে কথা বলেন না- এমন প্রশ্ন করা হলে উত্তরে দেখা যাবে যে যারা বড়-ছোট দুর্নীতিতে নিজেরা জড়িত তারাও দুর্নীতির বিরুদ্ধে কমবেশি কথা বলেন। হয়তো গলায় জোর তাদের কম শোনা যায়। তবে দুর্নীতির বিরুদ্ধে তারাও কথা বলেন। দুর্নীতি যারা করেন না, সত্যি সত্যিই ঘৃণা করেন, এড়িয়ে চলেন, পরিচ্ছন্নভাবে চলতে চাচ্ছেন- তারা তো সোচ্চার থাকেনই।

তাদের অবস্থানের যৌক্তিকতা আছে। মানুষ তাদের ওপর আস্থা রাখেনও। তবে দুর্নীতি এতটাই মারাত্মক সামাজিক ব্যাধি যে এর খারাপ প্রভাব থেকে মুক্ত থাকা মোটেও সহজ কাজ নয়, সমাজকে মুক্ত রাখা বেশ কঠিন, জটিল এবং প্রায় অসম্ভব কাজ বলে মনে হয়। বিশেষত, আমাদের মতো উন্নয়নশীল দেশে নিয়মবহির্ভূতভাবে আর্থিকভাবে লাভবান হওয়ার মানসিকতা, সে ধরনের প্রবণতা থেকে মুক্ত থাকার মানুষ ক্রমেই সীমিত হয়ে এসেছে।

প্রায় সব প্রতিষ্ঠানেই দুর্নীতি লোকচক্ষুর অন্তরালেই নয়, দৃশ্যমানভাবেও হচ্ছে। নিয়ম, আইন, নৈতিকতা- ইত্যাদিকে কাগজে কলমে রেখে দিয়েই প্রতিষ্ঠানের ওপর থেকে নিচ পর্যন্ত সর্বত্র অনেকেই অবৈধ লেনদেন করেন, সেটির সুযোগ না থাকলে ফাইল নড়ে না, মানুষকে হয়রানি করতে ছাড়েন না। সেসব প্রতিষ্ঠানে সাধু সেজে বা সৎভাবে চলা অনেক সময়ই অসম্ভব হয়ে পড়ে।

সরকারি, বেসরকরি, ব্যক্তিগত ধনসম্পদ, ব্যবসা-বাণিজ্য, প্রতিষ্ঠানাদি- কোনো কিছুই দুর্নীতির কালো ছায়া থেকে পুরোপুরি মুক্ত থাকতে পারছে না। কেউ সৎভাবে ব্যবসা করতে চাইলে তাকে তল্পিতল্পা গুটিয়ে চলে যাওয়ার ব্যবস্থা করতে অনেক সংস্থার লোকজন বসে আছেন। তাদের প্রাপ্তি না মেটাতে পারলে মহৎ থাকার চিন্তা খুব কমই ধরে রাখা সম্ভব হবে।

সর্বত্রই দুর্নীতির প্রভাব পড়েছে- এটি অস্বীকার করার কোনো উপায় নেই। অর্থ ও বিত্তের লোভ সমাজে অনেক মানুষকেই এমনভাবে পেয়ে বসেছে যে, এ সমাজে সত্যিই সৎ মানুষের সংখ্যা আশঙ্কাজনকভাবে কমে গেছে বললে মোটেও অত্যুক্তি করা হবে না। অফিস, আদালত, ব্যবসা-বাণিজ্য, নির্মাণ, রাজনীতি, বিচার, শিক্ষা, ধর্মাচারসহ সর্বত্র অর্থের অবৈধ লেনদেন, বিনিময়, সুযোগ-সুবিধা দেয়া-নেয়ার ব্যবস্থা নিয়মে পরিণত হয়েছে ভাবতেই অবাক হতে হয়।

ফলে সততার চর্চা, আইন, নিয়মনীতি, নৈতিকতা, মানবিক মূল্যবোধ, পরিচ্ছন্ন, সুস্থ-সবল জীবন ব্যবস্থা দারুণভাবে ব্যাহত হচ্ছে। অসংখ্য পরিবার দ্রুত বিত্তশালী হচ্ছে, কিন্তু ভোগ ও বিত্তের অপচয় করা ছাড়া এদের অনেকেই সৃষ্টিশীল মানুষরূপে নিজেরাও নয়, তাদের সন্তানরাও গঠিত হতে পারছে না। সমাজে মারাত্মকভাবে মূল্যবোধের অবক্ষয় ঘটেছে, অপরাধ, দুর্নীতিতে জড়িয়ে অনেকেই বিত্তের বালিশ নিয়ে ঘুমালেও মানবিক গুণাবলি, সুখ-শান্তি কার কতটা আছে তা নিয়ে সন্দেহ আছে।

বস্তুত আমাদের দেশে গ্রাম থেকে শহর- সর্বত্র উন্নয়নের ব্যাপক সাড়া পড়েছে সত্য, বাড়িঘর নির্মাণ, রাস্তাঘাট ইত্যাদি নির্মিত হচ্ছে, মানুষ দৃশ্যত আগের চাইতে ভালো আছে, হাতে পয়সাকড়ি আছে, কিন্তু সুখের সন্ধান করতে গেলে সর্বত্রই হতাশা ও দুরাশার চিত্র ফুটে ওঠে। এর কারণ হচ্ছে, কোথাও কেউ যেন নিয়মনীতিতে নেই, থাকতে চাইলেও থাকতে পারছে না। দুর্নীতির বেড়াজালে তাদেরও আবদ্ধ করে ফেলা হয়েছে।

এ নিয়ে হতাশা, ক্ষোভ, পারস্পরিক অশ্রদ্ধা বেড়েই চলছে, পরিবারের অভ্যন্তরে স্নেহ-ভালোবাসার চিড় ধরে বসে আছে। মানুষ এখন ছুটছে কাজে, কাজ উদ্ধার করতে অর্থ দিতে হয়, আবার অন্যের গলা কেটে সেই অর্থ উদ্ধারও করা হচ্ছে। দুর্নীতির ঘন বেড়াজালে আটকে যাচ্ছে উঠতি যে কোনো তরুণ, যে কোনো মানুষ। যে তরুণ দেশ ও জাতিকে নিয়ে সুন্দর স্বপ্ন দেখে উচ্চশিক্ষা শেষ করতে চায়, সে পাচ্ছে না তার মেধা ও দক্ষতা বিকাশের শিক্ষা।

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের নিচের শ্রেণি থেকে ওপর পর্যন্ত লেখাপড়ায় ফাঁকি দেয়ার প্রবণতা, অশিক্ষা, অনৈতিকতার ভেতর দিয়েই তাকে বড় হতে হচ্ছে। শিক্ষা শেষে চাকরি পেতে চাইলে তাকে তদবির করতেই হচ্ছে, অর্থকড়ি ব্যয় করতেই হচ্ছে। যে তরুণ এমন দুর্নীতির প্রক্রিয়ার ভেতর দিয়ে কর্মজীবনে প্রবেশ করেন তিনি দেশকে সৎভাবে কিছু দেবেন- এমনটি ভাবা যায় না।

বাংলাদেশে এখন এমন প্রবণতা প্রবল হয়ে উঠেছে। সবাই এর মধ্যে বন্দি হয়ে পড়েছে। অনেকেই এর খারাপ দিক সম্পর্কে কমবেশি সচেতন, আবার অনেকেই কোনো কিছু নিয়ে ভাবতে চাচ্ছে না। আরো অর্থ, আরো বিত্ত, আরো ক্ষমতা আরো প্রভাব বিস্তারের দৌড়ে যুক্ত হয়ে পড়ছে। আসলে অনুন্নত আর্থ-সামাজিক ব্যবস্থা থেকে উত্তরণকালে যখন সর্বত্র উন্নয়ন কর্মকা- চলতে থাকে তখন যারাই এর নাগালের মধ্যে যেতে পারেন তারাই বিত্তশালী হওয়ার মধ্য দিয়ে তাদের জীবনের নিরাপত্তা ও নিশ্চয়তা খুঁজে পাওয়ার বিশ্বাস থেকেই উপরি প্রাপ্তিতে লিপ্ত হতে দ্বিধা করেন না।

একটা অধিকতর উন্নত দেশ যেমন, স্ক্যান্ডেনেভিয়ান, নিউজিল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া ইত্যাদি দেশে সচরাচর মানুষ এতটা বিত্তের দিকে ঝুঁকছে না, কেননা ওইসব দেশে কয়েক প্রজন্ম ধরে তারা আর্থিকভাবে সচ্ছলভাবে জীবনযাপন করছে। তারা বিত্তে নয়, বরং চিত্তের উৎকর্ষ সাধনে জীবনের আনন্দ ও তাৎপর্য খুঁজছেন।

আমাদের দেশে আমরা যেহেতু দীর্ঘদিন থেকেই অনিশ্চিত জীবন ব্যবস্থার মধ্যে ছিলাম, সেখান থেকে এখন বিত্তের স্বাদ গ্রহণ করার সুযোগ ঘটায় অনেকেই সুনীতি ও দুর্নীতির ব্যবধানকে একাকার করে হলেও বিত্তশালী হতে দ্বিধা করে না। উন্নয়নশীল দেশের জন্য এমন সমস্যা নতুন নয়, বরং ইতিহাসে পরীক্ষিত বলেই ধরে নিতে হচ্ছে।

বাংলাদেশে গত এক দশকে বড় ধরনের উন্নয়ন কর্মকা-ের ভেতর দিয়ে যাচ্ছে। সে কারণেই দুর্নীতির মাত্রাও বৃদ্ধি পেয়েছে। দুর্নীতির মাত্রা আর বাড়তে না দেয়ার ধারণাটিও যুক্তিযুক্ত। সে কারণেই দাবি উঠেছে, দেশকে দুর্নীতিমুক্ত করা। দুর্নীতিমুক্ত করার দাবি খুব জনপ্রিয় বিষয়। কেউ কেউ মনে করেন সরকার মাদকবিরোধী অভিযানের মতো দুর্নীতি দমনেও অভিযান পরিচালনা করলেই দুর্নীতিবাজরা ভয় পেয়ে যাবে, দুর্নীতি তাতে বন্ধ হয়ে যাবে।

এসব ভাবনা খুবই সেকেলে, অবাস্তবোচিত এবং অফলপ্রসূ হওয়ার মতো। কেননা অভিযান চলতে পারে যুদ্ধে, সামাজিক কোনো ব্যাধিকে দূর করতে হলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী নামিয়ে খুব বেশি সুফল পাওয়া যাবে না। তাতে দুর্নীতি আরো ছড়িয়ে পড়তে পারে, বাহিনীর কর্মকর্তাদের কেউ কেউ নতুন করে দুর্নীতির স্বাদ পেয়ে যেতে পারেন। ব্যতিক্রম সব সময়ই ব্যতিক্রম। অর্থকড়ির সংশ্লিষ্টতা অনেককেই দুর্বল করে দেয়- যা দুর্নীতিপ্রবণ হওয়ার অন্যতম কারণ।

কেউই সমাজে দুর্নীতিবাজ হয়ে জন্মগ্রহণ করেন না কিংবা কোনো সরকারি কর্মকর্তা চাকরি জীবনের শুরুতে দুর্নীতিতে সচরাচর জড়ান না, ভয় পান, বিশ্বাস ভেঙে অবিশ্বাসী হতে চান না। কিন্তু প্রতিষ্ঠানের ভেতর চলে আসা প্রবণতাই এদের এক সময় দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তায় পরিণত করে।

সে কারণেই বলছি, নিয়ম-শৃঙ্খলায় বেড়ে ওঠা কোনো বাহিনী বা গোষ্ঠীকে অভিযানে নামিয়ে ‘ক্ষমতাবান’ হওয়ার অবস্থানে নেয়া খুব একটা ভালো উদাহরণ হবে না। সুতরাং দুর্নীতি দমন অভিযানে নামার কোনো প্রয়োজন আছে বলে মনে করি না। তাহলে প্রশ্ন উঠতে পারে কীভাবে ব্যাপক দুর্নীতিকে সরকার নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হবে।

সরকার প্রধান শেখ হাসিনা নির্বাচনী ইশতেহারে ‘দুর্নীতিকে জিরো টলারেন্সে’ দেখবেন বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। ১৯ তারিখের মহাসমাবেশেও তিনি প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন মাদক, জঙ্গিমুক্ত, সন্ত্রাস এবং দুর্নীতিকে তিনি জিরো টলারেন্সে দেখতে চান। তার যুদ্ধ এখন এই চার অপশক্তির বিরুদ্ধে। জঙ্গিদের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত আছে। অপশক্তিকে রাষ্ট্রীয় শক্তি দ্বারা নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব।

সে কারণেই জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে সরকার বিভিন্ন বাহিনীর সমন্বয়ে অভিযান পরিচালনা করছেন। তাতে সাফল্য আছে। এখানে অর্থকড়ির সম্পর্ক নেই, বরং অনেকেরই মৃত্যুঝুঁকি রয়েছে। তারপরও আমরা বলে থাকি জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে পরিচালিত অভিযানের পাশাপাশি প্রচার-প্রচারণা ও জনসচেতনতার কোনো বিকল্প নেই। সেই কার্যক্রম চলছে। অন্যদিকে মাদকের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করে নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না।

বরং তাতে দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা বাহিনীগুলোর অনেক সদস্যের মধ্যেই দেখা যাচ্ছে। সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে কিছুটা অভিযান, বাকিটা আইন, নিয়মকানুনের যথারীতি প্রয়োগ ঘটাতেই হবে। আইনের সুষ্ঠু প্রয়োগ ঘটলে সন্ত্রাস নিয়ন্ত্রণ করা অনেকটাই সম্ভব। দুর্নীতি দমনে অভিযানের চিন্তা একেবারেই বুদ্ধিহীনদের কা- ছাড়া আর কিছু নয়। মানুষের মধ্যে অর্থবিত্তের প্রতি আগ্রহ থাকা স্বাভাবিক।

কিন্তু আইন ও নিয়মকানুনের ভেতর দিয়ে তা অর্জনের সুযোগ থাকলে, অবৈধ উপায়ে তা পাওয়ার সুযোগ বন্ধ করা গেলে অবৈধ বিত্তশালী হওয়ার জন্য দুর্নীতিবাজ হওয়ার সুযোগই কমে যেতে বাধ্য। বাংলাদেশে এ মুহূর্তে ব্যক্তি অফিস কর্মকর্তাদের সরাসরি প্রভাব বিস্তারের সুযোগ বন্ধ করার পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে।

এখন তথ্যপ্রযুক্তিকে যত বেশি বুদ্ধিবৃত্তিকভাবে ব্যবহার করা যাবে তত বেশি দুর্নীতির মুখগুলো বন্ধ হয়ে যেতে বাধ্য। ভূমি অফিস, সাধারণ অফিস, আদালত, ব্যবসা-বাণিজ্য, অর্থকরী সংস্থা, সরকারি-বেসরকারি সেবাদানকারী সব প্রতিষ্ঠানকে তথ্যপ্রযুক্তির সেবাদানের নিয়ন্ত্রণে আনা গেলে দুর্নীতিরোধ হওয়া মোটেও কঠিন হবে না।

এক সময় টেন্ডার নিয়ে দেশে কত অনাচার ছিল, কলেজগুলোর ভর্তি বাণিজ্য নিয়ে ভয়াবহ সমস্যা ছিল। অনলাইন পদ্ধতির ব্যবহার তা অনেকটাই দূর করতে পেরেছে। আমাদের রাজস্ব ব্যবস্থাকে সম্পূর্ণরূপে তথ্যপ্রযুক্তির আওতায় আনা গেলে সরকারের রাজস্ব আহরণ যেমন বাড়বে, একইভাবে দুর্নীতিও কমে যেতে বাধ্য।

দোকানের পণ্যসামগ্রীর মান, মূল্য, মূল্যসংযোজন কর ইত্যাদি এ পদ্ধতিতেই দুর্নীতির ভয়াবহ গ্রাসের হাত থেকে রক্ষা করা সম্ভব। আমাদের তথ্যপ্রযুক্তিবিষয়ক মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার তো অনেক কিছু করা সম্ভব বলে আমাদের ধারণা দিয়েছেন। আমার মনে হয় দেশের সবক’টি মন্ত্রণালয়, অফিস, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, আদালত, বিচারাঙ্গন, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, মালিক কর্তৃপক্ষকে তথ্যপ্রযুক্তির মহাসড়কে তুলে আনতে এখনই পরিকল্পনা নিয়ে মাঠে নামতে হবে।

তথ্যপ্রযুক্তি খাতে প্রাথমিকভাবে পুঁজির বিনিয়োগ করতে হবে। কিন্তু এই পুঁজি উঠে আসতে সময় নেবে না। দেশকে উন্নয়নের মহাসড়কে নিরাপদে পরিচালিত করার এটিই একমাত্র নিরাপদ ব্যবস্থা। বাকি কাজ শিক্ষা-সংস্কৃতি ও গণমাধ্যমকে জনসচেতনতা বৃদ্ধিতে করতেই হবে। সেই কাজ আরো বুদ্ধিবৃত্তিকভাবে করার কোনো বিকল্প নেই।

মমতাজউদ্দীন পাটোয়ারী : অধ্যাপক, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App