×

মুক্তচিন্তা

নগর পরিবহনে অব্যবস্থাপনা

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২০ জানুয়ারি ২০১৯, ০৮:১৪ পিএম

অতিরিক্ত ভাড়া আদায়, যাত্রী হয়রানি, যত্রতত্র বাস থামিয়ে যাত্রী তোলাসহ নানা অভিযোগ রয়েছে সিটিং সার্ভিস নামের পরিবহনগুলোর বিরুদ্ধে। এ যথেচ্ছতা বন্ধে গাড়ির সংখ্যা, ভাড়া ও রুট নির্ধারণ করে রাজধানীতে সীমিত আকারে সিটিং সার্ভিস বাস চালু রাখার সুপারিশ করেছিল বিআরটিএ গঠিত সিটিং সার্ভিসবিষয়ক কমিটি। কিন্তু সুপারিশগুলো আজো আলোর মুখ দেখেনি।

রাজধানীতে যাত্রীদের দুর্ভোগ-বিড়ম্বনা কবে শেষ হবে তা আজ বড় প্রশ্ন হয়ে দেখা দিয়েছে। বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) হিসাবে ঢাকা মহানগরের অভ্যন্তরীণ রুটে নিয়মিত চলাচল করে প্রায় ৬ হাজার বাস। ঢাকা মহানগরে বিআরটিএ নির্ধারিত সর্বনিম্ন ভাড়া বাসের জন্য ৭ টাকা আর মিনিবাসের জন্য ৫ টাকা। অথচ গেটলক সিটিং সার্ভিসের বাসগুলোতে সর্বনিম্ন ভাড়া ১০ টাকা থেকে ক্ষেত্রবিশেষে ৫০ টাকা পর্যন্ত আদায় করছে বলে গণমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশিত হচ্ছে প্রায়ই।

প্রতিটি বাসে বিআরটিএ নির্ধারিত ভাড়ার তালিকা টাঙানোর নিয়ম রয়েছে। কিন্তু এটা মানছে না কেউ। আর গেটলক সিটিং সেবা বলা হলেও দাঁড়ানো যাত্রী নিচ্ছে এবং যেখানে-সেখানে যাত্রী নামানো হচ্ছে। সরকারি সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ২০১৬ সালের ১ অক্টোবর থেকে রাজধানীতে বাসের ভাড়া প্রতি কিলোমিটারে ১০ পয়সা বাড়িয়ে ১ টাকা ৭০ পয়সা করা হয়। মিনিবাসের ভাড়াও ১০ পয়সা বেড়ে ১ টাকা ৬০ পয়সা হয়।

সে হিসাবে ১০ কিলোমিটার দূরত্ব অতিক্রম করলে বাসগুলোকে মাত্র ১ টাকা বেশি ভাড়া নেয়ার কথা, কিন্তু এই পরিমাণ দূরত্বে ঢাকার বিভিন্ন রুটের পরিবহনগুলো নতুন ভাড়া কার্যকরের অজুহাতে ২ থেকে ২০ টাকা পর্যন্ত বেশি ভাড়া আদায় প্রক্রিয়া চালু হয়েছে তা এখনো অব্যাহত রয়েছে। দিন দিন অসহনীয় দুর্ভোগের কারণ হয়ে উঠছে গণপরিবহনের এই অব্যবস্থাপনা।

এই অনিয়ম-অবিচারের বিচার কোথায় মিলবে, তা অসহায় যাত্রীদের জানা নেই। বিআরটিএ গণপরিবহনের অব্যবস্থাপনা নৈরাজ্য বন্ধে যে সুপারিশগুলো করা হয়েছে তা কার্যকর করতে হবে। পরিবহন সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সংকট সমাধানে সবার আগে একটি ট্রান্সপোর্ট কমিশন গঠন করা জরুরি। তাদের কাজ হবে পরিবহন ভাড়া নিয়ন্ত্রণ ও তদারকি করা।

যেভাবে হোক পরিবহন খাতে শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠা করতে হবে। গণপরিবহনের মালিক ও চালকদের নির্দেশনা মানতে বাধ্য করতে হবে। যারা নির্দেশনা অমান্য করবে তাদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিতে হবে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App