×

বিনোদন

প্রিয় শত্রু প্রিয় বন্ধু

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৯ জানুয়ারি ২০১৯, ০৫:৫১ পিএম

প্রিয় শত্রু প্রিয় বন্ধু
গত ১৭ নভেম্বর ছিল শাহনাজ খুশির জন্মদিন। খুশির জন্মদিনে বন্ধু চঞ্চল চৌধুরী শুভেচ্ছা জানান এভাবে ‘জন্মদিনের শুভেচ্ছা ভালো থাক বন্ধু...... ভুলগুলো ধরিয়ে দেয়ার জন্য হলেও এরকম একটা বন্ধু সবার জীবনে দরকার...।’ খুশির উত্তর ছিল এমন ‘নারী-পুরুষের বন্ধুত্বতে বেশির ভাগ মানুষ যখন বিশেষ সম্পর্ক ছাড়া ভাবতে পারে না, তখন বীরদর্পে আমি সর্বসম্মুখে বলেছি তুই আমার সবচেয়ে প্রিয় বন্ধু। অনেক লোকের বীর দর্পে বদনামের তীর পুষ্পমাল্য মনে করে আমি দাঁড়িয়ে থেকেছি তোর পথের কাঁটা তোলার জন্য। ভালো থাকিস প্রিয় শত্রু, প্রিয় বন্ধু আমার।’ এই হচ্ছে জনপ্রিয় অভিনেতা চঞ্চল চৌধুরী ও অভিনেত্রী শাহনাজ খুশির বন্ধুত্ব! এই বন্ধুত্বের গল্প এখন শোবিজের সবার জানা। দর্শকরা এখন জানেন, পর্দার জুটি বাস্তবেও দারুণ জুটি। দুজনই পাবনার। গ্রামের বাড়ির পথ খুব বেশি দূরের নয়। একই এলাকার হলেও পরিচয়টা হলো অভিনয়ে এসেই। প্রায় ১০ বছর আগের ঘটনা। খুশি তখনো টিভি নাটকে অভিনয় শুরু করেননি। খুশির স্বামী নাট্যকার বৃন্দাবন দাসের ‘সবুজ অপেরা’ নাটকে অভিনয় করলেন চঞ্চল। বৃন্দাবনের কাছে ওর প্রশংসা করলেন খুশি। খুশি জানলেন, চঞ্চল তাদেরই নাটকের দল ‘আরণ্যক’-এর সদস্য। চঞ্চলের সঙ্গে খুশি অভিনয় করলেন ‘ভবের হাট’ নাটকে। এরপর তারা করলেন ‘ঘরকুটুম’। তখন তো নিজস্ব গাড়ি ছিল না, ইউনিটের গাড়িতেই স্পটে যেতেন খুশি। এই দুটি সিরিয়াল করার সময়ই চঞ্চলের সঙ্গে তু-তোকারির সম্পর্ক হয়ে গেল খুশির। চঞ্চল ও খুশি বৃন্দাবন দাশের স্ক্রিপ্টে প্রচুর কাজ করেছেন একসঙ্গে। চঞ্চল জানান, ওই সময় সালাহউদ্দিন লাভলুর প্রডাকশনগুলোতে হৈহুল্লোড় হতো। একটা লট শেষ হলেই পার্টি হতো শুটিং স্পটে নয়তো লাভলুর বাসায়। চঞ্চল স্ত্রীকে সঙ্গে নিয়ে যেতেন। খুশি যেতেন বাচ্চাদের নিয়ে। চঞ্চল ক্যারিয়ারে যত নাটক করেছেন, বেশির ভাগই বৃন্দাবন দাসের চিত্রনাট্যে। এ কারণেই চঞ্চল-খুশি বন্ধুত্ব ও বোঝাপড়ার জায়গাগুলো মজবুত হয়েছে বলে চঞ্চল মনে করেন। চঞ্চলের কথায়, পর্দায় যেমন আমরা একসঙ্গে কাজ করি, তেমনি পারিবারিকভাবেও আমাদের গভীর বন্ধুত্ব। আত্মীয়ের চেয়ে কোনো অংশে কম নয়। আমার স্ত্রীর সঙ্গে ওদের বা ওদের দুই ছেলের সঙ্গে আমাদের, মানে পারিবারিক একটা সম্পর্ক। একটা সময়ে নাটক, বিজ্ঞাপন, সিনেমা বাছাইয়ে খুব দাবি নিয়ে কথা বলতেন খুশি। চঞ্চলও সেগুলো শুনেছেন। ‘আমাদের কথার অনেক গুরুত্ব দিয়েছিল চঞ্চল। যে কারণে দেখবেন, ওর বাজে কাজের সংখ্যা কম’, বলেন খুশি। চঞ্চল জানান, ‘আমার কাজের কট্টর সমালোচক ও। সিনেমা, নাটক যাই হোক, বেশির ভাগ সময়ই ওর সাজেশন নিই। বন্ধু তো বটেই, খুশি ও বৃন্দাবনদাকে শোবিজে আমার অভিভাবক হিসেবে মানি। আমাকে ওরা এখনো গাইড করে।খুশির মতে, চঞ্চল ভীষণ কেয়ারিং। চঞ্চলের মতে, খুশি বুদ্ধিমতী এবং ভীষণ সংসারী মানুষ। খুশি বলেন, ‘কখনো মনে হয়েছে ও আমার সন্তান, কখনো মনে হয়েছে প্রেমিক, যে প্রেমটা হয় শৈশবে। এমন প্রেম যেটা স্বামীর সঙ্গেও হয় না। কখনো মনে হয় ও আমার বান্ধবী, কখনো শক্তিশালী কো-আর্টিস্ট, কখনো মনে হয়েছে ও আমার চিরশত্রু। প্রতিটি অনুভ‚তিই এক্সট্রিম লেভেলের। এ কারণে যত রাগ হোক বা যাই হোক, আমাদের সম্পর্ক কখনো শেষ হয়নি, হবেও না।’ চঞ্চলের মতে, খুশির রাগ-অভিমান একটু বেশিই।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App