×

মুক্তচিন্তা

জামায়াতমুক্ত বাংলাদেশ পাব কবে?

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৯ জানুয়ারি ২০১৯, ০৯:৪০ পিএম

জামায়াতমুক্ত বাংলাদেশ পাব কবে?
জামায়াতমুক্ত বাংলাদেশ পাব কবে?

আন্তর্জাতিক যুদ্ধাপরাধী আইনে জামায়াতের বিচার করার জন্য আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনাল সংক্রান্ত আইনে কিছুটা সংশোধন প্রয়োজন। কেননা সেখানে ব্যক্তির সঙ্গে সংগঠনকেও যুক্ত করতে হবে। অত্যন্ত আশার কথা হলো, দ্বিতীয়বারের মতো নিযুক্তি পাওয়া আইনমন্ত্রী আনিসুল হক দ্বিতীয়বারের অভিষেকের পরের দিনই এমন একটি ম্যাসেজ দিয়েছেন দেশবাসীকে। অপেক্ষায় থাকলাম জাতির সেই সুন্দর মুহূর্তটির জন্য- যে সময়টিতে আমরা জামায়াতমুক্ত বাংলাদেশ উপহার পাব।

আওয়ামী লীগ যে শুধু দাবি করে এমনটা নয়- জনমনে এটা স্বীকৃত যে, আওয়ামী লীগ বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্ব দানকারী রাজনৈতিক দল, আওয়ামী লীগ মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধারণকারী দল এবং আওয়ামী লীগ গণমানুষের দল। অপরদিকে বাম দলগুলোর অবস্থানও নিশ্চিতভাবে প্রমাণ করে তারা মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধারণকারী দল।

এটা প্রমাণিত যে, জামায়াত মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষের রাজনৈতিক দল নয়। মুক্তিযুদ্ধের সময় রাজনৈতিক দল হিসেবে জামায়াত বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধকে বিরোধিতা করেছিল। সেখানেই শেষ নয়, তারা বাঙালিদের প্রতিহত করতে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর পক্ষ হয়ে যুদ্ধে লিপ্ত ছিল। তারা বাঙালি হত্যা, বাঙালিদের সম্পদ লুণ্ঠন, বাঙালি নারীদের অসম্মানসহ অনেক গর্হিত অপরাধের সঙ্গে জড়িত ছিল। আলবদর, আলশামস নামের পাকিস্তানপন্থি প্যারা মিলিটারি ফোর্স তাদের দ্বারাই গঠিত হয়েছিল, যারা মুক্তিযোদ্ধাদের বিরুদ্ধে সশস্ত্র যুদ্ধ করেছিল। এ কাজটি তারা সংগঠন হিসেবে জামায়াতের ব্যানার থেকেই করেছিল। বিএনপির জন্মই হয়েছিল বঙ্গবন্ধুকে, মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে এবং বাঙালি সত্তাকে ভুলিয়ে দিতে।

১৯৭৫ থেকে ১৯৯৫ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশে কেউ বঙ্গবন্ধুর নাম উচ্চারণ করার অধিকারী ছিল না। মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসকে ঘুরিয়ে দিয়ে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ভুলিয়ে দেয়ার কাজটি করেছিল বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান। তাদের পরবর্তী রাজনৈতিক ধারাও তেমন করেই চলেছে। তবে ওই দলটিতে তাদের প্রতিষ্ঠাতাসহ অনেক মুক্তিযোদ্ধার অবস্থান ছিল এবং বর্তমানেও আছে। তারা কখনো মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতাকারী হিসেবে শনাক্ত হতে পারে না। তারা শুধু মুক্তিযুদ্ধে বঙ্গবন্ধু এবং আওয়ামী লীগের অবদান স্বীকার করছে না, সেটা করতে গিয়ে তারা মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসও বিকৃত করেছে। অন্যদিকে ইসলামিক দলগুলোর অনেকেই মুক্তিযুদ্ধ মানলেও মুক্তিযুদ্ধের চেতনার সঙ্গে নেই। এখনো সুযোগ পেলে বিএনপি এবং ইসলামিক দলগুলো মুক্তিযুদ্ধের চেতনা নিয়ে বিতর্ক ছড়ানোর চেষ্টা করে।

মুক্তিযুদ্ধের চেতনা নিয়ে ভুল বোঝাবুঝির কোনো সুযোগ কিন্তু নেই। মুক্তিযুদ্ধকে সমর্থন করেই ১৯৭২ সালে আমাদের প্রথম সংবিধান গঠিত হয়েছিল। তার প্রস্তাবনার মূল সুরেই কিন্তু মুক্তিযুদ্ধের চেতনার কথা বিবৃত ছিল। বাঙালি জাতীয়তাবাদ, ধর্মনিরপেক্ষতা, গণতন্ত্র এবং সমাজতন্ত্র এগুলো মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বহিঃপ্রকাশ ছিল। সংবিধান আরো একটু বিস্তৃত করে বলতে হলে বলতে হয়, গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে শোষণমুক্ত সমাজতান্ত্রিক সমাজ প্রতিষ্ঠা, সব নাগরিকের জন্য আইনের শাসন, মৌলিক মানবাধিকার, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, সামাজিক সাম্য, স্বাধীনতা ও সুবিচার প্রতিষ্ঠা করার মধ্যেই মুক্তিযুদ্ধের চেতনা লুকায়িত ছিল।

১৯৭৫-এ এসে আমরা এসব থেকে অনেক দূরে সরে এসেছিলাম। গণতন্ত্র, সমাজতন্ত্র, ধর্মনিরপেক্ষতা এবং বাঙালি জাতীয়তাবাদ কোনোটাই তখন কার্যকরী ছিল না। স্বৈরতন্ত্র ছিল একমাত্র রাষ্ট্র পরিচালনার হাতিয়ার। পরবর্তী সময় জেনারেল এরশাদ সেই স্বৈরতন্ত্রকে আরো মজবুত একটি কাঠামোর মধ্যে দাঁড় করিয়েছিলেন। তারপর গণতন্ত্রের জন্য সংগ্রাম হয়েছিল এবং আওয়ামী লীগ ও বিএনপি একযোগে সংগ্রাম করে এরশাদের স্বৈরতন্ত্রকে হটিয়ে দিয়ে গণতন্ত্রের লাল আভা দেখাতে সমর্থ হয়েছিল। কিন্তু সেই লাল আভার পিছনে গণতন্ত্রের যে সূর্য লুকায়িত ছিল, তা বাংলাদেশে আর আক্ষরিক অর্থে পরিপূর্ণভাবে ফিরে এল না।

তবে খালেদা জিয়া এবং তার ছেলে তারেক জিয়া গণতন্ত্রের গলা টিপে ধরে তার গতিপথ ঘুরাতে চাইলেও শেষে এসে সফলকাম হলেন না। গণতন্ত্র এক সময় একেবারেই মুখ থুবড়ে পড়ল এবং সেনাসমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার ক্ষমতায় এল। কিন্তু সেই সেনাসমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার দুই বছর পর গণতন্ত্রকে ফিরিয়ে দিল। একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের পর আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করল। সেই থেকে শুরু হলো বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একটি নতুন সংগ্রাম। পরপর তিনবারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বর্তমানে অনেকটাই স্থির তার লক্ষ্যে পৌঁছার।

বিএনপি এবং ইসলামিক দল মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, জাতির পিতা, মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত ইতিহাস এসব মেনেই এদেশে রাজনীতি করবে- এটাই তাদের কাছে জনগণের প্রত্যাশা। এমনকি তাদের সমর্থকদের অধিকাংশেরই এমন প্রত্যাশা। কিন্তু সেখানে আমরা লক্ষ্য করেছি, তাদের কোনো কোনো নেতা-নেত্রীদের মধ্যে বিপরীত ভাবনা এবং ঘোষণা। তারা ‘বঙ্গবন্ধু’ শব্দটি উচ্চারণ করে না, জাতির পিতাকে স্বীকার করে না এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনার কথা বলে না। জামায়াত নিয়ে বেশি কথা বলার সুযোগ নেই। জামায়াত একটি কনসেপ্ট, যা বাংলাদেশের সংবিধান কিংবা মুক্তিযুদ্ধ কোনোটার সঙ্গেই যায় না। উপরন্তু সংগঠন হিসেবে তাদের বড় দায় রয়ে গেছে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন। সেখানে তাদের অপরাধ ছিল, অন্যায় ছিল, অনৈতিক কাজ ছিল। কিন্তু সেসব অনৈতিক কাজ তারা আজো ধরে রেখেছে। কখনো তাদের মনে হয়নি, তারা বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের পথে ভুল করেছিল, অন্যায় করেছিল।

বাঙালি জাতির কাছে তারা কখনো ক্ষমা চায়নি। কিন্তু তারপরও তারা বহাল তবিয়তে ‘জামায়াত’ নামের সংগঠনটি অদ্যাবধি চালিয়ে যাচ্ছে। যে দেশের স্বাধীনতাকে তারা ধারণ করে না, সে দেশেই তারা ভিন্নমত নিয়ে রাজনীতি করে চলেছে। বিএনপি তাদের আগাগোড়াই সমর্থন ও সহযোগিতা দিয়ে যাচ্ছে। তারা আজো তেমনটা করতে পারছে। আশ্চর্যের বিষয় হলো, জামায়াতপন্থি রাজনীতিবিদের সন্তানরা যারা আজকে বাংলাদেশের তরুণ-তারাও পুরনো পথে হাঁটছে। তাদের দৃষ্টিতে, মননে এবং চিন্তায় একই জামায়াতের প্রতিচ্ছবি ভাসছে। পরিবর্তন নেই তাদের আচরণেও।

এখন প্রশ্ন দাঁড়াচ্ছে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের প্রতি, স্বাধীন বাংলাদেশের প্রতি, বাংলাদেশের সংবিধানের প্রতি- যাদের কোনো স্বীকৃতি নেই, যারা মুক্তিযুদ্ধের সময় বাঙালির রক্তে হাত রঞ্জিত করেছিল, যারা সুযোগ পেলেই আজকের দিনেও জঙ্গিরূপ ধারণ করে, হিংস্র দানব হয়ে সাধারণ মানুষকে পুড়িয়ে মারে, সেসব মানুষ কি বাংলাদেশের রাজনীতিতে বিচরণ করার দাবি রাখে? প্রকাশ্যে কি তারা সেই রাজনীতি করতে পারে, যে রাজনীতি দেশটির অভ্যুদয়কেই স্বীকার করে না? প্রশ্ন হলো, কীভাবে তারা এমনটা করতে পারছে একটি স্বাধীন দেশে? উত্তরটা একেবারেই সহজ। বিএনপি-রাজনীতির ছত্রছায়ায় এবং আওয়ামী লীগ-রাজনীতির অবহেলায় এমনটা সম্ভব হচ্ছে।

যে কথা দিয়ে শুরু করেছিলাম। বিএনপির কাছে জামায়াত নিয়ে আমাদের চাওয়ার কিছু নেই। বিএনপিকে তার নিজস্ব স্বার্থেই জামায়াত নিয়ে চিন্তা-ভাবনার বাইরে আসতে হবে। তাদের আসতেই হবে- কেননা বাংলাদেশের জনমানুষের তেমনই চাহিদা। বিএনপি যদি জনমানুষের রাজনীতি করতে চায়, তবে জামায়াতের রাজনীতিতে তাদের ছাতা প্রদানের নীতি বন্ধ করতেই হবে। কিন্তু আমাদের আওয়ামী লীগের কাছে চাওয়ার অনেক কিছুই আছে।

আওয়ামী লীগ এবং এর বর্তমান সভাপতি বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা নিশ্চিতভাবেই বিশ্বাস করেন যে, জামায়াত যুদ্ধাপরাধী একটি রাজনৈতিক সংগঠন। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার যেখানে তারা সফলভাবে সম্পন্ন করে যাচ্ছেন, সেখানে যুদ্ধাপরাধী জামায়াতকে বিএনপি কীভাবে সহ্য করে যাচ্ছে? রাজনৈতিক কৌশল, ভোটের রাজনীতি সবকিছু আজ আওয়ামী লীগের নিয়ন্ত্রণে চলে এসেছে। এটাই তার জন্য সবচেয়ে উপযুক্ত সময় রাজনীতিতে সর্বান্তকরণে নীতির অনুসরণ করা।

মুক্তিযুদ্ধের চেতনার রাজনীতিতে জামায়াত একটি বিষক্রিয়া, অন্য কিছু নয়। জামায়াতকে নিষিদ্ধ করার সব প্রস্তুতি জনমানুষের রয়েছে। কিন্তু তারা তো আইনানুগ কাজটি করতে পারবে না। তারা শুধু আওয়ামী লীগকে সমর্থন জোগাতে পারে। কিন্তু আওয়ামী লীগ এ কাজে বিএনপিকে তাদের সঙ্গী হিসেবে পাবে না- তাও প্রায় দিনের আলোর মতো সত্য। বিড়ালের গলায় ঘণ্টাটা তাদেরই বাঁধতে হবে। এ কাজ শেখ হাসিনা না করতে পারলে বড় একটি কালিমা রয়ে যাবে বাংলাদেশের রাজনীতির ইতিহাসে।

বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রায়ই বলেছেন, বাংলাদেশে জামায়াতের রাজনীতি করার কোনো বৈধতা নেই, অধিকার নেই। ইতোমধ্যে আদালত সুস্পষ্টভাবে বলেছে যে, জামায়াত একটি যুদ্ধাপরাধী সংগঠন। আন্তর্জাতিকভাবে বিভিন্ন সূত্রেও এটা জানা গেছে যে, পৃথিবীর প্রভাবশালী দেশগুলোর অধিকাংশ শক্তিই মনে করে বাংলাদেশের জামায়াত এখনো একটি জঙ্গি সংগঠন।

অন্যদিকে, নির্বাচন কমিশন জামায়াতের নিবন্ধন বাতিল করেছে। আওয়ামী লীগের প্রতি দেশের ৮০ শতাংশেরও বেশি মানুষের আস্থা রয়েছে-এমনটাই প্রমাণিত হয়েছে এবারের নির্বাচনে। তারপরও কি আওয়ামী লীগ হাত গুটিয়ে বসে থাকবে? তারপরও কি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জামায়াতকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করবেন না? জানি না সরকার কী করবে! আমরা শুধু আকুতি জানাতে পারি।

জার্মানিতে শুধু হিটলারের রাজনীতিই নিষিদ্ধ করা হয়নি; সেখানে হিটলারের নাম, সিম্বল, স্লোগান কোনোকিছুই উচ্চারণ করার আইনানুগ সুযোগ নেই। এমনই কঠিন নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছিল জার্মানিতে হিটলারকে ঘৃণা করে এবং আজো জার্মানিরা তা মেনে চলছে। বাংলাদেশেরও সময় এসেছে।

ইতোমধ্যে বঙ্গবন্ধুকন্যা যুদ্ধাপরাধীর বিচার করে প্রমাণ করেছেন, বাংলাদেশ অসম্ভবকে সম্ভব করতে জানে। সমালোচকরা নানা যুক্তি দিয়ে থাকে জামায়াতকে নিষিদ্ধ না করার পক্ষে। জামায়াতকে নিষিদ্ধ করলে বিএনপি রাজনৈতিক ফায়দা নেয়ার সুযোগ পাবে; জামায়াত নিষিদ্ধ হলে জামায়াতের ক্যাডাররা আন্ডার গ্রাউন্ডে চলে যেতে পারে। কিন্তু এগুলো তো এখনো বিদ্যমান। নিষিদ্ধ না হয়েও তো জামায়াত-শিবিরের অনেক সদস্য আন্ডার গ্রাউন্ডেই আছে। এটা নতুন করে কী আর হবে! জামায়াত নিষিদ্ধ হলে তাদের লোকজন প্রকাশ্যে বিএনপিতে যোগ দিবে। তাতো দিবালোকের মতো সত্য। রাজনীতির মাঠে তাদের কোনো রাজনৈতিক ফায়দা হবে বলে আমার মনে হয় না।

বরং এতে জামায়াতের নিন্দনীয় ব্যক্তিদের কারণে বিএনপির জনবিচ্ছিন্নতা আরো বৃদ্ধি পাবে। এমনটা যদি নাও হয়, যদি জামায়াতের কারণে আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক ক্ষতিও মেনে নিতে হয়- তবুও বঙ্গবন্ধুকন্যা দৃঢ়ভাবে জামায়াত নিষিদ্ধের পথেই হাঁটতে পারেন। তার রাজনৈতিক বিশ্বাস, জনগণের কাছে অঙ্গীকার, মুক্তিযুদ্ধের চেতনার প্রতি ঋণ- সবকিছু মিলিয়ে জামায়াত নিষিদ্ধের পথে এগিয়ে না যাওয়ার বিকল্প পথ তার কাছে খোলা নেই।

বর্তমান সময়ে জামায়াত নিষিদ্ধের দুটো সম্ভাবনা আছে। সরকার তার নির্বাহী আদেশে জামায়াত নিষিদ্ধ করতে পারে অথবা বিচারের মাধ্যমে সর্বোচ্চ আদালতের রায়ে জামায়াত নিষিদ্ধ হতে পারে। আদালতের ওপর আমাদের কোনো দাবি বা জোর নেই। আদালত তার নিজস্ব আইনের পথেই হাঁটবে। সেখানে বলার কিছু নেই। কিন্তু সরকারের কাছে মানুষের দাবি নিয়ে আমরা এগিয়ে আসতেই পারি; সরকারকে চাপ দিতেই পারি।

বিশেষ করে বঙ্গবন্ধুকন্যার কাছে তো বিশেষ দাবি থাকতেই পারে। আন্তর্জাতিক যুদ্ধাপরাধী আইনে জামায়াতের বিচার করার জন্য আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনাল সংক্রান্ত আইনে কিছুটা সংশোধন প্রয়োজন। কেননা সেখানে ব্যক্তির সঙ্গে সংগঠনকেও যুক্ত করতে হবে।

অত্যন্ত আশার কথা হলো, দ্বিতীয়বারের মতো নিযুক্তি পাওয়া আইনমন্ত্রী আনিসুল হক দ্বিতীয়বারের অভিষেকের পরের দিনই এমন একটি ম্যাসেজ দিয়েছেন দেশবাসীকে। অপেক্ষায় থাকলাম জাতির সেই সুন্দর মুহূর্তটির জন্য- যে সময়টিতে আমরা জামায়াতমুক্ত বাংলাদেশ উপহার পাব।

মেজর (অব.) সুধীর সাহা: কলাম লেখক।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App