×

জাতীয়

রামগড়ে হত্যা মামলার আসামী আটক

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৮ জানুয়ারি ২০১৯, ০৩:৫৯ পিএম

রামগড়ে হত্যা মামলার আসামী আটক
খাগড়াছড়ির রামগড়ে হত্যা মামলার আসামীকে বিজিবির সহায়তায় পুলিশ আটক করে নিয়ে আসার সময় আসামীকে ছিনিয়ে নিতে গ্রামবাসীর সাথে পুলিশের হট্টগোলের ঘটনা ঘটে। পরে পরিস্থিতি খারাপের দিকে গেলে রামগড় জোন সদর হতে বাড়তি বিজিবি সদস্যরা গিয়ে আসামীদের থানায় নিয়ে আসে। এসময় পুলিশের পিছু পিছু অর্ধ শতাধিক গ্রামবাসীও থানায় ছুটে আসে। থানার প্রবেশদ্বারে জড়ো হয়ে তারা আটক রাপ্রু মারমার মুক্তির দাবি জানিয়ে হট্টগোল করতে থাকে। জানা গেছে, পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির (জেএসএস) সংস্কারের উপজেলা সাংগঠনিক সম্পাদক মোহন কুমার ত্রিপুরাকে গত সোমবার (১৪ জানুয়ারি) রামগড় পৌর এলাকার জগন্নাথপাড়ায় একটি বাড়িতে মদের আসরে অজ্ঞাতনামা বন্দুকধারীরা গুলি করে হত্যা করে। এ ঘটনার জন্য ইউপিডিএফ’র প্রসীত গ্রুপকে দায়ি করে নিহতের স্ত্রী হ্যাপী রানী ত্রিপুরা বুধবার (১৬ জানুয়ারি) ১১ জনের নাম উল্লেখ করে এবং আরও ১৫-২০জন অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিকে আসামি করে রামগড় থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার পরিপেক্ষিতে বৃহস্পতিবার (১৭ জানুয়ারী) মামলার ১নং আসামী রামগড়ের ছোটখেদা এলাকার মৃত পাইও মারমার ছেলে ম্রাথোয়াই মারমা প্রকাশ কর্তা (৪৫) ও ৩ নং আসামী বাজার চৌধুরী পাড়া এলাকার মৃত মংশেপ্রু মারমার ছেলে রাপ্রুচাই মারমা (২৮) কে পুলিশ-বিজিবির যৌথ অভিযানে আটক করা হয়। পুলিশ জানায়, বৃহস্পতিবার দুপুরের দিকে রামগড়ের যৌথখামারস্থ বাজার চৌধুরী পাড়ায় অভিযান চালিয়ে মামলার ৩ নং আসামী বাজার চৌধুরিপাড়ার থেকে রাপ্রুচাই মারমা কে আটকের খবর এলকায় ছড়িয়ে পড়লে গ্রামবাসীদের আড়ালে ইউপিডিএফ সদস্যরা স্থানীয় ইউপি সদস্য আহলু অং কার্বারী (বুলু মেম্বার) এর উপস্থিতিতে আসামীকে ছাড়িয়ে নিতে হট্টগোল করে। এ ঘটনার পরপরই মামলার ১নং আসামী ম্রাথোয়াই মারমা প্রকাশ কর্তা কে রামগড় কাঠ ব্যবসায়ী সমিতির অফিস সংলগ্ন রাস্তা থেকে আটক করে যৌথবাহিনী। মামলার ৩ নম্বর আসামি রাপ্রুচাই মারমা কে বাড়তি বিজিবির সহায়তায় পুলিশ আসামিকে থানায় নিয়ে আসলে পুলিশের পিছু পিছু অর্ধ শতাধিক নারী গ্রামবাসীও থানায় ছুটে আসে। থানার প্রবেশদ্বারে জড়ো হয়ে তারা আটক আসামীদের মুক্তির দাবি জানিয়ে হট্টগোল করতে থাকে। এ অভিযোগের ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট এলাকার ইউপি সদস্য আহলু অং কার্বারী (বুলু মেম্বার) বলেন, আসামিকে ছাড়িয়ে নিতে পুলিশের সাথে গ্রামবাসীর টানাহেঁচড়ার ঘটনা ঘটেছে। কিন্তু পুলিশ কাউকে ইচ্ছাকৃতভাবে কিছু করেনি। পরে বুঝিয়ে গ্রামবাসীকে বাড়ী পাঠানো হয়েছে। ওসি তারেক মো. আব্দুল হান্নান বলেন, আসামি রাপ্রুচাই কে ছাড়িয়ে নিতে অর্ধ শতাধিক বিক্ষুব্ধ নারী পুলিশের ওপর যেভাবে চড়াও হয় পুলিশ সর্বোচ্চ ধৈর্য্যের পরিচয় দিয়েছে। পরে থানার ওসি ও ইউপি সদস্য আহলু অং কার্বারী (বুলু মেম্বার) বিক্ষুব্ধ গ্রামবাসীদের শান্ত করে বাড়িঘরে পাঠিয়ে দেন। আসামীদের আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App