×

জাতীয়

মাঠে আওয়ামীলীগের অর্ধডজন প্রার্থী, বিএনপির একক

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৮ জানুয়ারি ২০১৯, ০৪:০৬ পিএম

মাঠে আওয়ামীলীগের অর্ধডজন প্রার্থী, বিএনপির একক
জাতীয় সংসদ নির্বাচন শেষ হতে না হতেই উপজেলা পরিষদের নির্বাচন নিয়ে নড়েচড়ে বসে নির্বাচন কমিশন। আগামী মার্চে অনুষ্ঠিত হবে উপজেলা পরিষদের নির্বাচন। এমন সম্ভব্য ঘোষনার পর থেকে খুলনার পাইকগাছা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশগ্রহনকারী ইচ্ছুক প্রার্থীরা জাতীয় সংসদ নির্বাচন থেকে তাদের স্ব-স্ব অবস্থানে থেকে গণ সংযোগ শুরু করে দিয়েছেন। আওয়ামীলীগের পক্ষে নির্বাচনে অংশ গ্রহন করতে পারেন এমন সম্ভব্য অর্ধডজন ব্যক্তির নাম বেশ জোরে শোরে উপজেলা ব্যাপী ঘুরপাক খাচ্ছে। অপরদিকে বিএনপির একক প্রার্থী থাকলেও জামায়াত ইসলামীর পক্ষ থেকে এখনও নীতিগত ভাবে কোন সিদ্ধান্ত হয়নি। সংশ্লিষ্ঠ সুত্রে জানা গেছে, গত ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত জাতীয় সংসদ নির্বাচন শেষ হতেই উপজেলা পরিষদ নির্বাচন নিয়ে নড়েচড়ে বসেছে নির্বাচন কমিশন। ইতোমধ্যে মার্চে অনুষ্ঠিত হবে নির্বাচন, এমন একটি সম্ভব্য ঘোষনা দিয়েছে কমিশন। কমিশনের এমন ঘোষনার পর থেকে এমনকি বিগত জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রচার প্রচারনার সময় থেকে সম্ভব্য প্রার্থীরা তাদের নিজেদের পক্ষেও গণ সংযোগও করেছেন জনশ্রুত রয়েছে। ১০ টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভা নিয়ে পাইকগাছা উপজেলা পরিষদ গঠিত। বিগত ২০০৯ সালের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী এড. স ম বাবর আলীকে পরাজিত করে আওয়ামীলীগের মোঃ রশীদুজ্জামান মোড়ল নির্বাচিত হন। আবার ২০১৪ সালে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে আওয়ামীলীগের প্রার্থী মোঃ রশীদুজ্জামানকে পরাজিত করে বিএনপি জোট থেকে এড. স ম বাবর আলী নির্বাচিত হন। এদিকে আগামী মার্চে অনুষ্ঠিত উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামীলীগ থেকে যাদের নাম সর্বত্রই শুনা যাচ্ছে তারা হলেন, সাবেক সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি এড. সোহরাব আলী সানা, পাইকগাছা উপজেলা আওয়ামীলীগের আহবায়ক ও জেলা সহ- সভাপতি গাজী মোহাম্মদ আলী, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সদস্য সচিব মোঃ রশীদুজ্জমান মোড়ল, সাবেক এমপি আলহাজ্ব এড. শেখ মোঃ নূরুল হকের জেষ্ঠ্য পুত্র জেলা আওয়ামীলীগ নেতা আলহাজ্ব শেখ মনিরুল ইসলাম, সাবেক এমএনএ শহীদ এম এ গফুরের জেষ্ঠ্য পুত্র আনোয়ার ইকবাল মন্টু, উপজেলা যুবলীগের আহবায়ক ও পৌরসভার সাবেক প্যানেল মেয়র শেখ আনিছুর রহমান মুক্ত, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি ও সাবেক উপজেলা সভাপতি এড. শেখ আবুল কালাম আজাদ। বিগত সংসদ নির্বাচনে আনোয়ার ইকবাল মন্টু, শেখ আনিছুর রহমান মুক্ত ও এড. শেখ আবুল কালাম আজাদ বাদে সকলেই দলীয় মনোনয়ন চেয়ে ব্যর্থ হন। যেহেতু দলীয় প্রতীকে এবারই প্রথম উপজেলা পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে সে কারনে দলীয় মনোনয়ন একটি ফ্যাক্টর বলে ধারনা করছেন সকলের। সকলেই দলীয় মনোনয়ন চাইবেন। তবে দল যাকে মনোনয়ন দিবে তার পক্ষে কাজ করবেন বলেও জানান সম্ভব্য এসকল প্রার্থীরা। এদিকে সাবেক সংসদ সদস্য এড. সোহরাব আলী সানার নাম তৃণমুলে শুনা গেলেও তিনি জানান, আপাতত এমন কোন ইচ্ছা তার নেই। উপজেলা আওয়ামীলীগের আহবায়ক ও জেলা সহ-সভাপতি প্রবীণ রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব গাজী মোহাম্মদ আলী জানান, আজীবন বঙ্গবন্ধুর আদর্শ নিয়ে দল করে আসছি। দলীয় সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা অনুযায়ী দল পরিচালনা করছি। বিগত জাতীয় সংসদ নির্বাচন এবং উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন চেয়েও তিনি পাননি। জীবনের শেষ সময়ে আবারও উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে বেশ জোরেশোরে দলীয় সভানেত্রীর কাছে মনোনয়ন চাইবেন। সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মোঃ রশীদুজ্জামান মোড়ল জানান, দলের কাছে তিনি দলীয়ভাবে মনোনয়ন চাইবেন। কেননা বিগত ২০০৯ সালে তিনি আওয়ামীলীগের মনোনয়নে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। কিন্তু ২০১৪ সালে দলীয় মনোনয়ন পেলেও দলীয় কোন্দলের কারনে তিনি হেরে যান। দীর্ঘদিন যাবত উপজেলা আওয়ামীলীগের দায়িত্ব পালন করে আসছেন। বিগত দিনে কপিলমুনি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানও ছিলেন বলে জানান। সে কারনে দলের কাছে তিনি বেশ জোরালোভাবে দাবি জানাবেন। তবে কোন কারনে যদি দলীয় মনোনয়নে ব্যর্থ হন তাহলে যিনিই দলীয় মনোনয়ন পাবেন তার পক্ষে কাজ করবেন। জেলা আওয়ামীলীগ নেতা ও সাবেক এমপি পুত্র আলহাজ্ব শেখ মনিরুল ইসলাম জানান, ১৯৯১ সাল থেকে আমার পিতা (সাবেক এমপি) আলহাজ্ব এড. শেখ মোঃ নুরুল হকের সাথে এই এলাকার মাটি ও মানুষের সাথে মিশে আছি। দীর্ঘদিন যাবত মানুষের সুখে দুখে পাশে থেকে কাজ করে আসছি। যেহেতু এই এলাকার মানুষের সাথে আমার এবং আমার পরিবারের নাড়ীর সর্ম্পক সে কারনে উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে তিনি আগ্রহী প্রার্থী। বিগত সংসদ নির্বাচনেও দলীয় মনোনয়ন চেয়ে না পেলেও যিনি দলীয় মনোনয়ন পেয়েছেন তাকে সাথে নিয়ে কাজ করেছেন বলে শেখ মনিরুল জানান। তবে দলীয় মনোনয়ন না পেলেও যিনি পাবেন তাকে সাথে নিয়ে কাজ করবেন এবং এলাকার মানুষের সুখে দুখে পাশে থাকবেন বলে জানান। বর্তমান উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও বিএনপি জোট মনোনীত প্রার্থী আলহাজ্ব এড. স ম বাবর আলী বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটের কারনে এবং শারীরিক অসুস্থ্যতার কারনে তিনি নির্বাচনে অংশ গ্রহন করবেন না বলে জানিয়েছেন। তবে বিএনপির একক প্রার্থী হিসেবে মাঠে রয়েছেন দলটির উপজেলা আহবায়ক ডাঃ মোঃ আব্দুল মজিদ। অপরদিকে জামায়াত ইসলামীর সাবেক উপজেলা আমীর ও উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মাওঃ শেখ কামাল হোসেন জানিয়েছেন, দলগতভাবে এখনও কোন সিদ্ধান্ত আসেনি। দলীয় সিদ্ধান্ত হলে তখনই বলা যাবে কে হবেন প্রার্থী ? এখন অপেক্ষার পালা আওয়ামীলীগের একক প্রার্থী কে হচ্ছেন ? আর ঐক্য ফ্রন্ট কিংবা অন্য দল থেকে কে মনোনয়ন পাচ্ছেন ?

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App