×

জাতীয়

গডফাদার পরিচয়ে কারো পার পাওয়ার সুযোগ নেই

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৬ জানুয়ারি ২০১৯, ০২:৩০ পিএম

গডফাদার পরিচয়ে কারো  পার পাওয়ার সুযোগ নেই
দেশের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী যে কোনো ধরনের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে সবসময় প্রস্তুত রয়েছে। অপরাধী যেই হোক ছাড় পাচ্ছে না, পাবে না। ‘গডফাদার’ পরিচয়ে কারো পার পাওয়ার সুযোগ নেই। সরকার এ ব্যাপারে জিরো টলারেন্সে রয়েছে। গার্মেন্টস সেক্টরে চলমান পরিস্থিতি এবং দেশের সার্বিক আইনশৃঙ্খলা নিয়ে গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে সচিবালয়ে তার দপ্তরে ভোরের কাগজকে দেয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে এসব কথা বলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল। দ্বিতীয় মেয়াদে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব পাওয়া আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেন, পোশাক শ্রমিকদের সংগঠনের আড়ালে অনেকেই এই সেক্টরে অস্থিতিশীলতা করে ফায়দা লুটতে চায়। তাদের ব্যাপারে খোঁজখবর রাখা হচ্ছে। ঘটনা না ঘটলেও অনেকেই ‘গুজব’ রটিয়ে সরলমনা শ্রমিকদের ব্যবহার করে রাস্তা অবরোধ, ভাঙচুরসহ অরাজকতা সৃষ্টির সুযোগ খোঁজে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তাদের ব্যাপারে সবসময় সজাগ রয়েছে। এসব অপচেষ্টা করে কারো পার পাওয়ার সুযোগ নেই। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, দেশে গার্মেন্টস সেক্টরে নৈরাজ্য বা অরাজকতা সৃষ্টির নেপথ্যে দেশি-বিদেশি চক্র সক্রিয় রয়েছে। তারা বিভিন্ন সময়ে গুজব ছড়িয়ে কিংবা অহেতুক ইস্যু বানিয়ে শ্রমিকদের উসকানি দিয়ে আসছে। রপ্তানি খাতের অন্যতম প্রধান এই সেক্টরের দিকে অনেকের কুনজর রয়েছে। দেশের বাজার দখল করতে চায় অনেক বিদেশি চক্র। তবে তারা কেউই সফল হবে না। গোয়েন্দা সংস্থা এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাছে এ ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট তথ্য ও প্রমাণ রয়েছে। যারা গার্মেন্টস সেক্টর নিয়ে খেলছে, খেলার চেষ্টা করছে তাদের ছাড় দেয়া হবে না। মাদক নিয়ন্ত্রণে নতুন করে করণীয় সম্পর্কে এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, মাদক নির্মূলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযান চলছে। সরকার এ ক্ষেত্রে জিরো টলারেন্স। প্রধানমন্ত্রী খুবই কঠোর। অপকর্ম করলে কাউকে ছাড় দেয়া হচ্ছে না, হবে না। বিশেষ করে মাদকের উৎস্য পথগুলো বন্ধ করতে বিজিবি, কোস্ট গার্ড সবসময় কাজ করছে। পুলিশ, র‌্যাবের লাগাতার অভিযানে মাদক ও সংশ্লিষ্টরা ধরা পড়ছে। ইয়াবার আগ্রাসন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এই চক্রের বিরুদ্ধে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযান চলছে। ইয়াবা আসার পথ বন্ধ করতে যেমন কাজ চলছে তেমনিভাবে জড়িতদের ধরতেও চলছে অভিযান। চলমান অভিযানে অনেকেই আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে জড়িয়ে মারা যাচ্ছে। মাদকের গডফাদারদের প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, কাউকেই ছাড় দেয়া হচ্ছে না, হবে না। আইনশৃঙ্খলার সার্বিক পরিস্থিতি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এমনিতে পরিস্থিতি শান্ত ও স্বাভাবিক রয়েছে। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে অরাজকতা ও নাশকতার আশঙ্কা মাথায় নিয়ে নিরাপত্তা ব্যবস্থা সাজানো হয়েছিল। কিন্তু সবকিছু ঠিকঠাক ছিল, কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। তিনি বলেন, অপরাধের অনেক ধরন রয়েছে। তবে অপরাধীর কোনো রাজনৈতিক পরিচয় নেই। তাদের পরিচয় অপরাধী। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী অপরাধের ধরন বিবেচনা করে অপরাধী ধরে থাকে। পুলিশ-র‌্যাব সবসময় এ ব্যাপারে তৎপর। আদালতের পরোয়ানাভুক্তদের ধরতে তাদের অভিযান চলছে। পাশাপাশি চুরি, ছিনতাই, ডাকাতি, চাঁদাবাজি রোধসহ জনগণের সার্বিক নিরাপত্তায় তারা কাজ করছে। তিনি বলেন, পুলিশের সক্ষমতা বাড়াতে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে দেশ-বিদেশে সব ধরনের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। জনবান্ধব পুলিশ বলতে যেটা বুঝায় তা শতভাগ নিশ্চিত করতে কাজ চলছে। অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, দেশের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এখন অতীতের যে কোনো সময়ের চেয়ে অধিক শক্তিশালী। তারা যে কোনো ধরনের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে সবসময় প্রস্তুত রয়েছে। জঙ্গি মোকাবেলায় তারা যেমন সফল হয়েছে তেমনিভাবে সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিও তাদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। বাংলাদেশের জঙ্গি দমন কৌশল এখন অনেকের কাছে উদাহরণ ও অনুকরণীয়। জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী বাহিনীতে বাংলাদেশ পুলিশের ভূমিকা প্রশংসনীয়।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App