×

জাতীয়

কোহেলী কুদ্দুস মুক্তিকে সংরক্ষিত মহিলা আসনে এমপি করার দাবি

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৫ জানুয়ারি ২০১৯, ০২:৪৮ পিএম

কোহেলী কুদ্দুস মুক্তিকে সংরক্ষিত মহিলা আসনে এমপি করার দাবি
একাদশ জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত (গুরুদাসপুর-বড়াইগ্রাম) আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় অংশ নিতে যাচ্ছেন চলনবিলের,বাংলাদেশ যুবমহিলালীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ সভাপতি এ্যাড. কোহেলী কুদ্দুস মুক্তি। তিনি এই নির্বাচন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছেন। ভোরের কাগজের প্রতিনিধির সাথে এক বিশেষ সাক্ষাতকারে তিনি একথা জানান, বাঙ্গালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে আমি আওয়ামী যুব মহিলা লীগের রাজনীতির সাথে যুক্ত আছি জননেত্রী শেখ হাসিনার স্বপ্নযাত্রায় শামীল হয়ে নারীর অধিকারসহ সকল স্তরের জনগণের কল্যাণের জন্যই আমার পথচলা । সে স্বপ্নকে বাস্তবে রুপ দিতেই আমি সংরক্ষিত নারী আসনে মনোনয়নপ্রত্যাশী। আশা করি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাকে মূল্যায়ন করবেন। মুক্তি ছোট থেকেই চলনবিলের নিপীড়িত মানুষের ভাগ্য উন্নয়নে কাজ করছেন। দুঃসময়ে পাশে থেকেছেন দলের। এসব কারনেই চলনবিল বাসীর প্রানের দাবী তাঁকে সংরক্ষিত মহিলা আসনে এমপি করার। স্বাধীনতার আগ থেকে বঙ্গবন্ধুর নির্দেশে উত্তরবঙ্গ জুরে ছাত্র রাজনীতির নেতৃত্বদানকারী বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব অধ্যাপক আব্দুল কুদ্দুস ছিলেন তৎকালীন বৃহত্তর রাজশাহী অঞ্চলের ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের সভাপতি। নৌকা প্রতীকে ৬ বারের বিজয়ী সংসদ সদস্য। বর্তমানে নাটোর জেলা আ.লীগের সভাপতি রাজনীতিতে বাবার বিচক্ষনতা তাঁকে অনুপ্রাণীত করতো। মূলত বাবার মাধ্যমেই তাঁর রাজনীতির হাতেখড়ি। খুব ছোট থেকেই বাবাকে অনুসরন করে রাজনীতিতে প্রবেশ করেন। মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিক ও বিশ্ববিদ্যালয় সবখানেই রাজনৈতিক গুরুত্বপূর্ণ পদে অধিষ্ঠিত ছিলেন এই মুক্তি। শিক্ষা জীবনে তিনি রাজশাহী কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সমাজ কর্ম বিষয়ে অনার্সসহ এমএসএস ডিগ্রী লাভ করেন। পরবর্তীতে ঢাকা প্রাইম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এলএলবি ও এলএলএম ডিগ্রী লাভ করেন। রাজনীতির পাশাপাশি বর্তমানে তিনি ঢাকা জজকোর্টে ওকালতি পেশার সাথে জরিত রয়েছেন। নারী নেতৃত্বে মুক্তি: বাংলাদেশ যুব মহিলা লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পরবর্তীতে সহসভাপতি নির্বাচিত হওয়ার পর যুব মহিলা লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি নাজমা আক্তার ও সাধারন সম্পাদক অধ্যাপক অপু উকিলের সাথে দেশ জুড়ে চালাচ্ছেন দলীয় কার্যক্রম। সম্প্রতি দেশের উপজেলাগুলোতে গঠন করেছেন যুব মহিলা লীগের কমিটি। মুক্তি বলেন, ‘উপজেলা পর্যায়ে যুব মহিলা লীগের কমিটি গঠন করায় তৃণমূল থেকে দক্ষ নেতৃত্ব সৃষ্টি হচ্ছে। এতোদিন তৃণমূলের অবহেলিত নারীরা শিক্ষা, চিকিৎসা এমনকি কর্মক্ষেত্রে বৈষম্যের শিকার হতো। বর্তমানে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা নারী শিক্ষা থেকে শুরু করে সকল ক্ষেত্রে নারীদের সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছেন। তারই অংশ হিসাবে তৃণমূলের নারীদের সুসংগঠিত করতে উপজেলা পর্যায়ে কমিটি গঠন করা হয়েছে। এতে করে নারীরা তাদের অধিকার সম্পর্কে সচেষ্ট হচ্ছেন। তৈরি হচ্ছে দক্ষ নেতৃত্ব।’ রাজপথে মুক্তি: বিএনপি জামায়াত জোট সরকারের অরাজকতার বিরুদ্ধে আন্দোলন সংগ্রাম করতে গিয়ে বর্বরোচিত পুলিশী নির্যাতনের শিকার হন যুব মহিলা লীগের সভাপতি নাজমা আক্তার, সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক অপু উকিল, মিরা ও মুক্তিসহ কেন্দ্রীয় নেত্রী বৃন্দ। সেসময় বেশ কয়েক বার জেলও খাটতে হয়েছে তাঁকে। বিভিন্ন আন্দোলনে দলের ডাকে জীবন বাজি রেখে কাজ করেছেন অসংখ্য বার। বিগত ঢাকা সিটি কর্পোরেশনসহ চলনবিলের বিভিন্ন উপজেলার পৌর ও ইউনিয়ন পরিষদসহ সকল গুরুত্বপূর্ণ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীর পক্ষে নির্বাচনী মাঠে প্রচারণা চালিয়েছেন। বাধা বিপত্তি অতিক্রম করে দলীয় কার্যক্রমে তিনি অবিচল ভূমিকা পালন করে চলেছেন। সারা দেশ চষে বেড়াানো এই নেত্রীর তারুণ্যদিপ্ত রাজনীতির বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে সব সময়। মূলত এজন্যই তিনি বার বার শত্রু পক্ষের নির্মমতার শিকার হওয়া সত্ত্বেও নিজের অবস্থান ধরে রেখেছেন দৃঢতার সাথে। সর্বশেষ আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের প্রাণনাশের হুমকির তালিকায় থাকা উত্তরবঙ্গের নেত্রী বৃন্দের মধ্যে তিনিও ছিলেন। দেশ প্রেম, তারুন্যদিপ্ত রাজনীতি, রাজপথ কাঁপানো নেতৃত্ব, সততা ও নির্ভীকতায় প্রিয় নেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার আস্থাভাজন হয়ে উঠেছেন মুক্তি। বাংলাদেশ যুব মহিলা লীগের নেত্রী নির্বাচিত হয়ে দেশ জুরে নিরঙ্কুশভাবে দলীয় কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন। সম্প্রতি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সফর সঙ্গী হয়ে ঘুরে এসেছেন যুক্তরাষ্ট্র। এছাড়া মুক্তি দলের প্রয়োজনে চীনসহ জাপান, থাইল্যান্ড ও ভারতসহ গুরুত্বপূর্ণ দেশ সমূহে সফর করেছেন। রাজনীতির বাহিরে চলনবিলের মানুষের কল্যাণে প্রতিষ্ঠা করেছেন ‘কল্লোল ফাউন্ডেশান’ নামের একটি অরাজনৈতিক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন। চলনবিলে বসবাসরত ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠির মানুষের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরন, ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মানে বিনামূল্যে কম্পিউটার প্রশিক্ষণ, অবহেলিত অসহায় মানুষদের বিনামূল্যে চক্ষু চিকিৎসা প্রদান, গুরুদাসপুর-বড়াইগ্রাম উপজেলার মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিকে উত্তীর্ণ কৃতি শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা প্রদানসহ নানান উন্নোয়নমূলক কাজ করছেন ওই সংগঠনের মাধ্যমে। এছাড়া স্বাধীনতার স্বপক্ষের ও মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের নিয়ে স্বাধীন বাংলার অবহেলিত মানুষের কল্যানে ঢাকায় একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ‘গৌরব ৭১’ এর সাথে সংশ্লিষ্ট রয়েছেন তিনি।। গুরুদাসপুর উপজেলা যুব মহিলা লীগের সভাপতি ড. জোহা সরকারী কলেজের প্রভাষক নাসরিন সুলতানা রুমা জানান,‘চলনবিলের যুব নেতৃত্বের একজন সাহসী নেত্রী মুক্তি। সে দলের প্রয়োজনে দেশজুড়ে নির্ভিকভাবে কাজ করে চলেছে। তাঁরমতো সাহসী-পরিশ্রমি নেত্রী রাজনীতি ও দেশের জন্য অবশ্যই প্রয়োজন।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App