×

তথ্যপ্রযুক্তি

প্রযুক্তির কারণে হবে ক্ষতি

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৩ জানুয়ারি ২০১৯, ০৩:২০ পিএম

প্রযুক্তির কারণে হবে ক্ষতি
জীবিকার প্রয়োজনে মানুষ বেছে নেয় নানা ধরনের পেশা এবং কাজ করতে করতে কোনোটি হয়ে যায় রুটিন বা একঘেয়ে। আর এ ধরনের রুটিন বা সহজে অনুধাবনযোগ্য কাজগুলো আগামী পাঁচ বা দশ বছরের মধ্যে হয়ে যাবে অনেকটা অঙ্কের নিয়মে। লেখন জন পুগলিয়ানো বলছেন, এটি আর কোথাও না হলেও উন্নত দেশগুলোতে হবে। অর্থাৎ মানুষকে আর হাতে-কলমে এ ধরনের কাজগুলো করতে হবে না। গবেষণা করে তিনি চিহ্নিত করেছেন এমন কয়েকটি পেশা যেগুলো তার মতে রীতিমতো হুমকির মুখে আছে। যদিও এ মুহ‚র্তে এসব পেশাকে নিরাপদই মনে করা হচ্ছে। ব্রিটিশ সংবাদ মাধ্যম বিবিসিকে তিনি বলেন, চিকিৎসক ও আইনজীবীরা কখনো হারিয়ে যাবেন না। কিন্তু শ্রমখাতের একটি বড় অংশই আর থাকবে না। মিস্টার পুগলিয়ানোর মতে, প্রযুক্তির কারণে ক্ষতির মুখে পড়বে সাতটি পেশা-
চিকিৎসক : এটা ঠিক যে চিকিৎসকদের চাহিদা সবসময় থাকবে। এমনকি বিশ্বে বয়স্কদের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ার প্রবণতার মধ্যেও। কিন্তু পুগলিয়ানো বিশ্বাস করেন এ খাতে কিছু জায়গায় লোকবল হুমকির মুখে পড়বে প্রযুক্তির কারণে। কারণ রোগ চিহ্নিতকরণে প্রযুক্তির দাপট বাজবে সামনের দিনগুলোতে। আইনজীবী : পুগলিয়ানোর মতে ডকুমেন্ট প্রসেসিং কিংবা নিয়মিত কাজের জন্য ভবিষ্যতে দরকার হবে অল্প আইনজীবী বা সলিসিটরের। বিশেষজ্ঞ জ্ঞানের বেশি দরকার হবে না কম্পিউটার সফটওয়্যারের কারণে। স্থপতি : ভবনের নকশা তৈরির কাজে এখনই সফটওয়্যার নিজেই সক্ষম হয়ে উঠেছে। আর ভবিষ্যতে এটি আর জোরদার হবে। একমাত্র সৃষ্টিশীল স্থপতিরা হয়তো তখন কিছু করে খেতে পারবেন। হিসাবরক্ষক : ট্যাক্সের জটিল সব হিসাব নিকাশের জন্য আর হিসাবরক্ষকের দরকার হবে না। কেনই বা দরকার হবে? চাহিদাই তো কমে যাবে। কারণ কাজগুলো তো করবে কম্পিউটার আর সফটওয়্যার। যুদ্ধবিমানের পাইলট : এখনই বড় যুদ্ধগুলোর খবরে প্রতিদিনই শোনা যায় পাইলটবিহীন যুদ্ধবিমানের নানা তৎপরতার খবর। ড্রোন এখন সবার কাছেই সুপরিচিত। ঝুঁকিপূর্ণ সামরিক লড়াইয়ে পাইলটবিহীন বিমান হরহামেশাই ব্যবহার হচ্ছে। যুদ্ধবিমানের ক্ষেত্রে সামনের দিনে এটি আরো বিস্তৃত হবে। পুলিশ ও গোয়েন্দা : নিয়মিত নজরদারি বা তদন্তের জন্য এখনই পুলিশ সদস্যের বদলে জায়গা করে নিতে শুরু করেছে আধুনিক প্রযুক্তিগত পদ্ধতি। যদিও পুলিশ বা গোয়েন্দা একেবারেই বিলুপ্ত হবে না, তবে তাদের চাহিদা দিন দিন কমতেই থাকে। কারণ তাদের কাজ করে দিবে যন্ত্র। রিয়েল এস্টেট এজেন্ট : খুচরা বিক্রেতাদের ক্ষেত্রে এখনই বড় ভ‚মিকা পালন করছে ওয়েবসাইট। এর মাধ্যমেই এখন সংযুক্ত হচ্ছেন ক্রেতা ও বিক্রেতা। তাহলে এজেন্ট বা প্রতিনিধি লাগবে কেন। ফ্ল্যাট ক্রয়-বিক্রয়ে এজেন্ট এখন আর খুব কার্যকর কিছু নয়। সামনে এটি হারিয়েই যাবে বলে মনে করছেন পুগলিয়ানো। সূত্র: ইন্টারনেট হ ডটনেট ডেস্ক

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App