দেশের বেসরকারি খাতে চলতি ২০১৯ সালে গড়ে ১০ শতাংশ বেতন বাড়বে। বাংলাদেশ টোটাল রিম্যুনারেশন সার্ভে (টিআরএস) শীর্ষক এক জরিপে এ তথ্য উঠে এসেছে। নিউইয়র্ক স্টক এক্সচেঞ্জের তালিকাভুক্ত মার্শ এন্ড ম্যাকলেনান কোম্পানির অঙ্গ প্রতিষ্ঠান মার্সার এ প্রতিবেদন তৈরি করেছে। ২০১৮ সালে বাংলাদেশে পরিচালিত গবেষণার ভিত্তিতে তৈরি এ প্রতিবেদনটি গতকাল সোমবার প্রকাশ করা হয়েছে। মার্সার দেশের ভেতরে ভোগ্য পণ্য, লাইফ সায়েন্স, কেমিকেল ম্যানুফ্যাকচারিং, হাইটেক সেক্টর, পাইকারি ও খুচরা প্রতিষ্ঠান এবং ব্যাংকিং ও ফিন্যান্সিয়াল সেক্টরের ৯০টিরও বেশি প্রতিষ্ঠানের ওপর এই জরিপটি পরিচালনা করে। স্বাস্থ্য, সম্পদ ও ক্যারিয়ার অগ্রগতিবিষয়ক পরামর্শদাতা প্রতিষ্ঠান মার্সার ৪৪টি দেশের ২৩ হাজারের বেশি কর্মী নিয়ে ১৩০টিরও বেশি দেশে কার্যক্রম পরিচালনা করছে। বেসরকারি খাতে বেতন বাড়ার পাশাপাশি জরিপে আরো উল্লেখ করা হয়েছে, বিশেষ কিছু প্রতিষ্ঠানে জরিপের ক্ষেত্রে সেলস, ইঞ্জিনিয়ারিং ও সায়েন্স বিষয়ে দক্ষদের নিয়োগের ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠানগুলোর আগ্রহ বেশি। জরিপ প্রতিবেদনের বিষয়ে মার্সারের লিডার-ক্যারিয়ার এন্ড রিজিওনাল প্র্যাকটিস লিডার ওয়ার্কফোর্স রিওয়ার্ডস-এএমইএ শান্তি নরেশ বলেন, বিগত ৩ বছর ধরে শক্তিশালী অর্থনীতি ও ধারাবাহিক ৭ শতাংশের বেশি জিডিপি প্রবৃদ্ধি হওয়ায় কর্মসংস্থানের সুযোগ বেড়েছে এবং একই সঙ্গে প্রতিভার প্রতিযোগিতার ফলে দেশটির কর্মসংস্থান ডাবল ডিজিট হারে বাড়ছে। ফলে জনবল নিয়োগের ক্ষেত্রে ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি এবং অফিসে কর্মী সংখ্যা কমে গেলে সেটা মানিয়ে নেয়ার অভ্যাস গড়ে উঠছে। জরিপ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে নিয়োগের সামগ্রিক বিষয়টি খুবই ইতিবাচক এবং প্রায় ৩৮ শতাংশ কোম্পানি তাদের কর্মী সংখ্যা বাড়াতে প্রস্তুত। তবে ব্যবসায়িক দিক বিবেচনায় জনবল কমার তালিকার শীর্ষে অবস্থান করছে ভোগ্যপণ্য ও লাইফ সায়েন্স শিল্প। এই দুই খাতে জনবল কমেছে যথাক্রমে ১৮ ও ১৪ শতাংশ। এ ছাড়া ২০১৮ সালে সবচেয়ে কম বেতন বাড়ার তালিকার শীর্ষে আছে পাইকারি ও খুচরা শিল্প খাতে। এ দুটি খাতে বেতন বেড়েছে ৯ শতাংশ।