×

পুরনো খবর

৪০ বছর পর মন্ত্রীত্ব শূণ্য পটুয়াখালী জেলা

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৭ জানুয়ারি ২০১৯, ০৪:১৯ পিএম

৪০ বছর পর মন্ত্রীত্ব শূণ্য পটুয়াখালী জেলা
১৯৭৯ সালের পর সব সরকারের আমলেই সাগর কণ্যা পটুয়ায়াখালী জেলা থেকে কেউ না কেউ মন্ত্রী পরিষদে ঠাই পেয়ে আসলেও এবারই প্রথম মন্ত্রীত্ব শূণ্য হলো এ জেলাটি। অর্থাৎ ৪০ বছর পর ২০১৯ সালের একাদশ জাতীয় সংসদের মন্ত্রী পরিষদে এ জেলা থেকে মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী কিংবা উপমন্ত্রী হিসেবে কাউকে সুযোগ দেয়া হয়নি। এনিয়ে চলছে নানা গুঞ্জন আর আলোচনা সমালোচনা। এমন অবস্থায় আওয়ামী লীগের দুর্গ বলে খ্যাত গোটা পটুয়াখালী জেলার মানুষ মর্মাহত হয়ে পড়েছেন। বিভিন্ন সূত্র থেকে জানা গেছে, জিয়াউর রহমানের আমলে শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন জেলার দশমিনা উপজেলার সন্তান শিক্ষাবিদ আ. বাতেন তালুকদার। এরশাদ সরকারের আমলে পটুয়াখালীর সন্তান এম. মুনিম কৃষি মন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেছিলেন। ১৯৯১ সালে খালেদা জিয়ার আমলে সাবেক মন্ত্রী পরিষদ সচিব জেলার দুমকি উপজেলার সন্তান এম.কেরামত আলী ধর্ম, বাণিজ্য, ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেছিলেন। ১৯৯৬ সালে শেখ হাসিনার আমলে পটুয়াখালী-৩ আসনের(গলাচিপা ও দশমিনা) এমপি আ.খ.ম. জাহাঙ্গীর হোসাইন পাট ও বস্ত্র প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেছিলেন। ২০০১ সালে পটুয়াখালী ১ আসনের এমপি সাবেক বিমান বাহিনী প্রধান এয়ার ভাইস মার্শাল আলতাফ হোসেন চৌধুরী স্বরাষ্ট্র ও বাণিজ্য মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন। ২০০৮ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ বিজয়ী হয়ে ২০০৯ সালে মন্ত্রী পরিষদ গঠন করলে সেখানে পটুয়াখালী ১ আসনের এমপি এড.শাহজাহান মিয়া ধর্ম প্রতিমন্ত্রী এবং পটুয়াখালী-৪ আসনের এমপি মাহাবুবুর রহমান পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেছিলেন। এরপর ২০১৪ এবং ২০১৮ সালের নির্বাচনের পর ২০১৯ সালের ৬ জানুয়ারি গঠিত মন্ত্রী পরিষদে পটুয়াখালীর কোন এমপি বা ব্যাক্তি মন্ত্রী পরিষদে ঠাই পাননি। পটুয়াখালীবাসির ধারণা ছিল ইতিপূর্বে পটুয়াখালীর চারটি আসনের মধ্যে -১, ৩ এবং ৪ আসন থেকে নির্বাচিত এমপিরা মন্ত্রী পরিষদের ঠাই পেয়েছিলেন। এবারে পটুয়াখালী-২ থেকে সপ্তমবারের মতো নির্বাচিত এমপি অভিজ্ঞ রাজনীতিবিদ আ.স.ম. ফিরোজ ২০১৯ সালে গঠিত মন্ত্রী পরিষদে ঠাই পাবেন। কিন্তু সেটাও না হওয়ায় মূলতঃ পটুয়াখালীবাসী দারুনভাবে মর্মাহত হয়ে পরেছেন। নাম প্রকাশে অনচ্ছিুক একাধিক নোতাকর্মী মনে করেন, পটুয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের দুর্গ। এই জেলায় অনেকগুলো মেগা প্রকল্প চলমান। এ প্রকল্পগুলো দেখভাল এবং গোটা জেলাকে সুসংগঠিত রাখতে নেত্রী বিবেচনা করবেন। তবে এবিষয়ে মতামত জানাতে দলীয় কোন নেতাকর্মী মুখ খুলছেন না। তাদের ধারণা প্রধানমন্ত্রী নিশ্চয়ই পটুয়াখালীবাসীকে বিশেষ করে আ.স.ম. ফিরোজকে আশাহত করবেন না।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App