১৪ দিনের ১৪টি চিঠি পাই-ফারজানা ছবি
কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৬ জানুয়ারি ২০১৯, ০৯:০০ পিএম
অভিনেত্রী ফারজানা ছবি। পারিবারিক গণ্ডিতে যিনি ‘ছবিমণি’ নামেই সুপরিচিত। সাত ভাই-বোনের মাঝে সবার ছোট তিনি। আবদুল্লাহ আল মামুনের ‘চিঠি’ নাটকের মধ্য দিয়ে টিভি পর্দায় আসেন ছবি। প্রথম পাওয়া চিঠি নিয়ে ‘মেলা’র সঙ্গে স্মৃতিচারণ করলেন তিনিজাপান থেকে চিঠি আসত আমি তখন খুব ছোট। ক্লাস থ্রি কিংবা ফোরে পড়ি সম্ভবত। তখন আমার ভাইয়েরা টোকিও চলে যায়। তারা প্রত্যেক ঈদে সেখান থেকে আমাকে ‘ঈদ কার্ড’ পাঠাত। সেগুলো আমার কাছে চিঠি মনে হতো। শুভেচ্ছা কার্ডগুলোতে খুব সুন্দর সুন্দর কথা লেখা থাকতো। পড়তে যেমন ভালো লাগত তেমনি কার্ডগুলো দেখতেও। আমি কার্ডগুলো বইয়ের ভাঁজে রেখে রেখে কতবার যে দেখতাম! আমার সহপাঠীরাও এগুলো দেখতে পছন্দ করত। তারা আমার এই ঈদ কার্ডগুলোর প্রশংসা করত। আমি । ঈদের আগে আগে অপেক্ষায় থাকতাম কখন বাবাদের চিঠির সঙ্গে আমার ঈদকার্ড আসবে। মিষ্টি এই স্মৃতিগুলো মনে পড়লে এখনো মনের ভিতর অন্যরকম এক ভালোলাগা কাজ করে। ১৪ দিনে ১৪ চিঠি তখন সম্ভবত অনার্স শেষ বর্ষে পড়ি। শুটিংয়ের কাজে ব্যাংককে ছিলাম। প্রায় ১৫ দিন মতো সেখানে থাকতে হয়েছিল। তখন আমার দীর্ঘদিনের বন্ধু তন্ময় সরকার, যে এখন আমার স্বামী। তার কাছ থেকে একসঙ্গে ১৪ দিনের ১৪টা চিঠি পাই। প্রত্যেকটা চিঠিতে খামের ওপর কোন চিঠি কত তারিখে পড়তে হবে তাও লিখাছিল! দারুণ চমকে গিয়েছিলাম। বিদেশের মাটিতে এই প্রাপ্তি অনেক ভালোলাগার পরশ বুলিয়ে দিয়েছিল মনে। মনে হয়েছিল, দূরে থেকেও কোথাও যেন সে সঙ্গেই আছে। শুটিং শেষে ফিরে রোজ চিঠিগুলো পড়তাম। পড়া চিঠিও বারবার পড়তাম। কল্পনা করতাম। সে এক অদ্ভুত ভালোলাগা! চিঠির দিনগুলো মিস করি ব্যাংককে তন্ময়ের চিঠিগুলো আমাকে অন্যরকম করে ভাবতে শেখায়। তখন আমি বুঝতে পারি চিঠি লেখা মানুষটা আমার জীবনে কতটা গুরুত্ব বহন করছে। এক ধরনের অভাববোধ তৈরি হয়। এরপর থেকে প্রায়ই সে আমাকে চিঠি দিত। আমিও লিখতাম। এখন আমরা একসঙ্গে সংসার করছি। মাঝেমধ্যে পুরনো স্মৃতির আলাপে আমরা একে অন্যকে সেই দিনগুলোর কথা স্মরণ করিয়ে দিই। বর্তমানে তথ্যপ্রযুক্তির এই উন্নতির সময়ে এসে সেসব চিঠি লেখার দিনগুলোকে ভীষণ মিস করি। মেলা প্রতিবেদক