×

মুক্তচিন্তা

সেবার মান ও দক্ষতা বাড়ুক

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৬ জানুয়ারি ২০১৯, ০৮:৫১ পিএম

রেলের উন্নয়নে পৃথক মন্ত্রণালয় গঠন, রেল বাজেট বৃদ্ধি, রেললাইন, লোকোমোটিভ ও কোচ বৃদ্ধিসহ হাজার হাজার কোটি টাকার প্রকল্প সম্পন্ন হয়েছে। এত কিছুর পরও সুফল মিলছে না। একের পর এক স্টেশনগুলো বন্ধ, মেয়াদোত্তীর্ণ রোলিং স্টক, জরাজীর্ণ রেল কারখানা, লোকবল সংকট, সময়মতো গন্তব্যে পৌঁছতে না পারা, টিকিট পেতে ভোগান্তি, ছেঁড়া-নোংরা আসন- এমন অবস্থা থেকে বের হতে পারছে না রেল কর্তৃপক্ষ।

জানা গেছে, রেলের উন্নয়নে বিগত ৫ বছরে আওয়ামী লীগ সরকার ২ লাখ ২৬ হাজার ৫৬৬ কোটি টাকা ব্যয়ে ৪৮টি প্রকল্প হাতে নেয়। যার অধিকাংশই বাস্তবায়িত হয়েছে আবার কয়েকটি বাস্তবায়নাধীন। এ ছাড়া রেলের দীর্ঘমেয়াদি উন্নয়ন এবং রেলকে বিশ্ব মানে উন্নীত করতে ২০ বছর মেয়াদি মাস্টারপ্ল্যানও গৃহীত হয়েছে।

গত পাঁচ বছরে রেলে ১৩ হাজারের বেশি লোক নিয়োগ দেয়া হয়েছে। বিনিয়োগের পথে ২ লাখ ২৬ হাজার ৫৬৬ কোটি টাকা। বর্তমানে চলমান রয়েছে ৪৮টি প্রকল্প। ঢাকা-চট্টগ্রাম রেলপথে প্রায় চার হাজার কোটি টাকা খরচ করে নতুন লাইন নির্মাণ করা হয়েছে। চট্টগ্রামের চিনকি আস্তানা থেকে আশুগঞ্জ পর্যন্ত বিদ্যমান রেলপথ সংস্কারের কাজ শেষ।

টঙ্গী-ভৈরব পথে নির্মাণকাজ শেষ হয় ২০১৬ সালে। রেলের ইঞ্জিন ও বগি কেনার ডেমু প্রকল্প খুব দ্রুতগতিতে করা হয়। চীন থেকে প্রায় ৬০০ কোটি টাকায় ২০টি ডেমু কেনা হয়েছে। বিগত ১০ বছরে রেলের ভাড়া বেড়েছে দুবার। বাড়েনি যাত্রী সেবার মান। সেবার মান ছাড়াও রেল চালক ও কর্মচারীদের দক্ষতার প্রশ্নটিও গুরুতর। রয়েছে নিদারুণ লোকবল সংকট।

আমরা এই সম্পাদকীয় কলামেই অনেকবার বলেছি, দেশের বৃহত্তম ও সম্ভাবনাময় রাষ্ট্রীয় গণপরিবহন খাতের এই চিত্র কতটা হতাশাজনক। দেশের যোগাযোগ ব্যবস্থার অন্যতম প্রধান মাধ্যম হলো রেল। অথচ দীর্ঘ কয়েক দশক ধরে অবহেলার শিকার হয়ে আসছিল রেল।

আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোট সরকার ক্ষমতাসীন হয়ে রেলের দিকে দৃষ্টি ফেরায়। যা দেশবাসীকে খুবই আশান্বিত করেছে, এ কথা বলতেই হয়। দেশের অর্থনৈতিক উন্নতি হচ্ছে। ফলে মানুষ ও পণ্যের চলাচলের জন্য রেলের প্রয়োজনীয়তাও বৃদ্ধি পাচ্ছে। কিন্তু আমাদের রেল চাহিদা বৃদ্ধির সঙ্গে তাল মেলাতে পারছে না।

আমরা মনে করি, রেলওয়ে খাতের পুনরুজ্জীবন ঘটানো এখন জাতীয় স্বার্থেই প্রয়োজন। রেলপথ মন্ত্রণালয় যেন অর্থের অপচয় আর মাথাভারী রাষ্ট্র্রযন্ত্রের আরেকটি নজির না হয়, সে দিকে লক্ষ রাখতে হবে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App