×

মুক্তচিন্তা

ছাত্রলীগের ডিজিটাল একাত্তর

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৫ জানুয়ারি ২০১৯, ০৮:৪১ পিএম

ঢাকাসহ দেশের বহু স্থানে আইটি কমিটি ডিজিটাল মাধ্যমে নিজেদের উপস্থাপন করার পাশাপাশি, অপপ্রচার প্রতিরোধ করা, মিথ্যা তথ্যের বিরুদ্ধে লড়াই করা, কনটেন্ট তৈরি করা ও ডিজিটাল মিডিয়ার সামগ্রিক ব্যবহারের অসাধারণ দক্ষতা প্রদর্শন করে। বস্তুত ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের পাশে থেকে সাধারণ তরুণ-তরুণীরাও অনন্য ভূমিকা পালন করেছে। আমরা এখন ওদের দিকেই তাকিয়ে থাকতে চাই। আমাদের মনে আছে ২০০৮ সালের ১২ ডিসেম্বর জননেত্রী শেখ হাসিনা তার ডিজিটাল বাংলাদেশ কর্মসূচি তরুণ প্রজন্মের প্রতি উৎসর্গ করেছিলেন।

৪ জানুয়ারি বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ৭১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ছিল। ছাত্রলীগের নতুন সভাপতি রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন ও সাধারণ সম্পাদক গোলাম রব্বানীর নেতৃত্বে ঐতিহাসিক এই সংগঠনটি ২০১৯ সালের পরিপ্রেক্ষিতে এক নতুন দিগন্তে পা ফেলেছে। ১৯৬২ সালে প্রথম আইয়ুব খানের শিক্ষা কমিশনবিরোধী আন্দোলনে অংশ নিতে ছাত্রলীগের কর্মী হিসেবে ছাত্রলীগের হাত ধরে ধর্মঘট করা শুরু করে ছাত্ররাজনীতির যে যুগে পা রেখেছিলাম সেটি ১৯৬৬-তে ঢাকা কলেজে পুরো দুই বছর ছাত্র আন্দোলনে যুক্ত থেকে এবং ১৯৬৮ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে এসে ৬৮-৬৯-৭০-৭১-এর মহান মুক্তিসংগ্রামে যুক্ত থাকতে পেরে জীবনে একটি পূর্ণাঙ্গ পরিণতি পায়।

১৯৬২ সালের শিক্ষা কমিশনবিরোধী আন্দোলনটা বুঝিনি। তবে ১৯৬৬-৬৮ সময়কালে ছয় দফা, ১১ দফার আন্দোলন একটি অসাধারণ মানসিক বিকাশে সহায়ক হয়। আমি খুব দৃঢ়তার সঙ্গে এটি বিশ্বাস করি যে, অন্তত ১৯৬৬-৭১ সময়কালে ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত থেকে আমি যা পেয়েছি তার কোনো তুলনা হওয়ার নয়। পোস্টার লেখা, স্লোগান দেয়া, বক্তৃতা দেয়া, রাজনীতিকে সংস্কৃতির সঙ্গে যুক্ত করা, কঠোর কায়িক শ্রমের পাশাপাশি সৃজনশীল হতে পারা, জীবন-পরিবেশ, দেশ ও বিশ্বকে উপলব্ধি করতে পারার পাশাপাশি মুজিব বাহিনীর সদস্য হওয়া, জাতীয়তাবাদ, সমাজতন্ত্র ও অসাম্প্রদায়িকতার সঙ্গে গণতন্ত্রের যে দীক্ষা ছাত্রলীগ দিয়েছে তা আমার ৭০ বছর বয়সের জীবনে অনন্য ভূমিকা পালন করছে।

তবে এখন যারা ছাত্রলীগ করছে তাদের জন্য একটু ছোট উপদেশ হলো, দেশটা ডিজিটাল হচ্ছে এবং সে জন্য ছাত্রলীগকেও ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়তে নেতৃত্ব দিতে হবে। আগামী দিনের জ্ঞানভিত্তিক সমাজ, ডিজিটাল শিল্প বিপ্লব বা নতুন প্রযুক্তির আলিঙ্গন ছাত্রলীগের হাত ধরেই হতে হবে। সংগঠনটিকে এখন কেবল আর একটি রাজনৈতিক ছাত্র সংগঠন হিসেবে চিন্তা করলে হবে না। ইতিহাস বলে এটাই ছাত্রলীগের ধারাবাহিকতা যে ছাত্রলীগ দেশের সব জনগোষ্ঠীর অনন্য ও অগ্রণী সৈনিক হিসেবে নেতৃত্ব দিয়েছে। এবারের নির্বাচনে আমি নিজের চোখে এই তারুণ্যের শক্তি অবলোকন করেছি।

যদিও আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের মৃত্যুতে সংগঠনটি তাদের নির্ধারিত কর্মসূচি স্থগিত করেছে তথাপি ৭১ বছর বয়সী এই সংগঠনটির সামনের দিনগুলোর দিকনির্দেশনা খোঁজা অতি জরুরি একটি বিষয়। আমি নিজে মনে করি ১৯৪৮ সালের ৪ জানুয়ারি জন্ম নেয়া এই ছাত্র সংগঠনটি বস্তুত এখন, ২০১৮ সালের জাতীয় নির্বাচনের পর, নতুন একটি রূপান্তরের পথ ধরে চলছে।

‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’তে বঙ্গবন্ধু লিখেছেন, ‘একটা ঘটনার দিন তারিখ আমার মনে নেই, ১৯৪১ সালের মধ্যেই হবে, ফরিদপুর ছাত্রলীগের জেলা কনফারেন্স, শিক্ষাবিদদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। তারা হলেন, কবি কাজী নজরুল ইসলাম, হুমায়ুন কবির, ইব্রাহিম খাঁ সাহেব। সে সভা আমাদের করতে দিল না, ১৪৪ ধারা জারি করল। কনফারেন্স করলাম হুমায়ুন কবির সাহেবের বাড়িতে। কাজী নজরুল ইসলাম সাহেব গান শোনালেন। আমরা বললাম, এই কনফারেন্সে রাজনীতি আলোচনা হবে না। শিক্ষা ও ছাত্রদের কর্তব্য সম্বন্ধে বক্তৃতা হবে। ছাত্রদের মধ্যেও দুইটা দল হয়ে গেল। ১৯৪২ সালে আমি ফরিদপুর গিয়ে ছাত্রদের দলাদলি শেষ করে ফেলতে সক্ষম হলাম। তখন মোহন মিয়া সাহেব ও সালাম খান সাহেব জেলা মুসলিম লীগের সভাপতি ও সম্পাদক ছিলেন।’

বঙ্গবন্ধু লিখেছেন, ‘এই সময় থেকে মুসলিম লীগের মধ্যে দুইটা দল মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে। একটা প্রগতিবাদী দল আর একটা প্রতিক্রিয়াশীল। শহীদ সাহেবের নেতৃত্বে আমরা বাংলার মধ্যবিত্ত শ্রেণির লোকরা মুসলিম লীগকে জনগণের লীগে পরিণত করতে চাই, জনগণের প্রতিষ্ঠান করতে চাই। জমিদার, জোতদার ও খান বাহাদুরের দলেরাই লীগকে পকেটে করে রেখেছিল।’ (অসমাপ্ত আত্মজীবনী, পৃ-১৭) ফলে ১৯৪৭ সালের দিকে মুসলিম ছাত্রলীগও দুই দলে ভাগ হয়ে গিয়েছিল। একদল পরিচিত হতো শহীদ সাহেব ও হাশিম সাহেবের দল বলে, আরেক দল পরিচিত হতো খাজা নাজিমুদ্দীন সাহেব এবং মওলানা আকরাম খাঁ সাহেবের দল বলে। (অসমাপ্ত আত্মজীবনী, পৃ-৩১)

১৯৪৭ সালের ১৪ আগস্ট পাকিস্তান সৃষ্টি হওয়ার পর ‘নিখিল বঙ্গ মুসলিম ছাত্রলীগ’ নাম বদলিয়ে ‘নিখিল পূর্ব পাকিস্তান মুসলিম ছাত্রলীগ’ করা হয়েছিল। শাহ আজিজুর রহমান এই সংগঠনের জেনারেল সেক্রেটারি হিসেবে বহাল ছিলেন। বঙ্গবন্ধু বলেছেন, ‘ঢাকায় কাউন্সিল না করে অন্য কোথাও তারা সম্মেলন করলেন গোপনে। কার্যকরী কমিটির সদস্য প্রায় অধিকাংশই ছাত্র ছিলেন না, ছাত্ররাজনীতি তারা ছেড়ে দিয়েছিলেন। ১৯৪৪ সালে এই সংগঠনের নির্বাচন হয়েছিল আর হয়নি।’

বঙ্গবন্ধু এবং আরো অনেকে এই কমিটি মানেননি। কলকাতা ইসলামিয়া কলেজ ও দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে বহু ছাত্র ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়েছিলেন। তারা শাহ আজিজুর রহমানের নেতৃত্বের ছাত্রলীগের সঙ্গে জড়িত ছিলেন না। বঙ্গবন্ধু নিজে ছাত্রলীগ কর্মীদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করে একটি ছাত্র সংগঠন প্রতিষ্ঠার প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে একমতে পৌঁছেছিলেন।

যাদের সঙ্গে বঙ্গবন্ধু এ সময় আলাপ-আলোচনা করেছিলেন তারা হলেন, আজিজ মোহাম্মদ, মোহাম্মদ তোয়াহা, অলি আহাদ, আব্দুল হামিদ চৌধুরী, দবিরুল ইসলাম, নইমউদ্দিন, মোল্লা জালালউদ্দিন, আব্দুর রহমান চৌধুরী, আব্দুল মতিন খান চৌধুরী, সৈয়দ নজরুল ইসলাম। এরা এবং আরো অনেক ছাত্র নেতা তখন একটি ছাত্র প্রতিষ্ঠান করার ব্যাপারে ঐক্যবদ্ধ হয়েছিলেন।

এরপর ১৯৪৮ সালের ৪ জানুয়ারি ফজলুল হক মুসলিম হলের অ্যাসেম্বলি হলে এক সভা ডাকা হয়েছিল। একটি ছাত্র সংগঠন গড়ে তোলার জন্য সেখানে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছিল। যার নাম দেয়া হলো ‘পূর্ব পাকিস্তান মুসলিম ছাত্রলীগ’। এখানে নইমউদ্দিনকে কনভেনর করা হয়েছিল। যদিও অলি আহাদ এর সদস্য হতে আপত্তি করেছিলেন। কারণ হিসেবে বলেছিলেন ‘তিনি আর সাম্প্রদায়িক প্রতিষ্ঠান করবেন না।’

পূর্ব পাকিস্তান ছাত্রলীগ নাম দিলে তিনি থাকতে পারেন। বঙ্গবন্ধু তখন অলি আহাদকে বুঝাতে চেষ্টা করেছিলেন। বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন যে তখনো সময় আসেনি। রাজনৈতিক পরিস্থিতি ও দেশের আবহাওয়া চিন্তা করার প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেছিলেন। নামে কিছুই আসে যায় না। আদর্শ যদি ঠিক থাকে, তবে নাম পরিবর্তন করতে বেশি সময় লাগবে না। ‘কয়েক মাস হলো পাকিস্তান পেয়েছি। যে আন্দোলনের মাধ্যমে পাকিস্তান পেয়েছি, সেই মানসিক অবস্থা থেকে জনগণ ও শিক্ষিত সমাজের মত পরিবর্তন করতে সময় লাগবে।’ (অসমাপ্ত আত্মজীবনী, পৃ-৮৯)

Secret Documents of Intellegence Branch on Father of the nation Bangabandhu Sheikh Mujibur Rahman Volume 1 1948-50 এর ৬ পৃষ্ঠায় বিশেষ বাহিনীর প্রতিবেদন : I have the honour to report the members of the provisional organising committee of the East Pakistan Muslim Students League as follows. They were the signatories of the leaflet which advocated Bengali to be the state language of Pakistan বইটির তৃতীয় পাতায় এর পূর্ণাঙ্গ বিবরণ দেয়া আছে। সম্ভবত ছাত্রলীগের নামে পাকিস্তানে প্রকাশিত এটিই প্রথম লিফলেট যাতে বাংলাকে পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা করার দাবি তোলা হয়।

ছাত্রলীগ প্রতিষ্ঠার পরে বঙ্গবন্ধু এই সংগঠনটির অফিস করেছিলেন ১৫০ নম্বর মোগলটুলী। ‘মুসলিম লীগ নেতারা চেষ্টা করেছিলেন এই অফিসটা দখল করতে, কিন্তু শওকত মিয়ার জন্য পারেননি।’ ‘ছাত্রলীগ প্রতিষ্ঠান গঠন করার পর বিরাট সাড়া পাওয়া গিয়েছিল ছাত্রদের মধ্যে। এক মাসের ভিতর বঙ্গবন্ধু প্রায় সব জেলায় কমিটি করতে সক্ষম হয়েছিলেন। যদিও নইমউদ্দিন ছিল কনভেনর, কিন্তু বঙ্গবন্ধুকেই সবকিছু তখন করতে হতো। তিনি একদল সহকর্মী পেয়েছিলেন, যারা সত্যিকার নিঃস্বার্থ কর্মী ছিলেন। তখনকার পূর্ব পাকিস্তান সরকার প্রকাশ্যে শাহ আজিজুর রহমানের ‘নিখিল পূর্ব পাকিস্তান মুসলিম ছাত্রলীগ’কে সাহায্য করত।

আমরা সবাই জানি ছাত্রলীগের পথ ধরে ১৯৪৯ সালের ২৩ জুন আওয়ামী মুসলিম লীগের জন্ম হয়। আমরা এটাও জানি যে ছাত্রলীগ ও আওয়ামী লীগ উভয় সংগঠন থেকেই মুসলিম শব্দটি বাদ দেয়া হয়।

আমরা যখন ছাত্রলীগ করতে শুরু করি তখন ছাত্রলীগের নিজের কোনো অফিস ছিল না। ১৯৬৯-এর গণআন্দোলনের সময়কালে ৪২/ক বলাকা ভবনে ছাত্রলীগের অফিস স্থাপিত হয়। সেই অফিসটি বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের অনেক ঐতিহাসিক ঘটনার সাক্ষী। এককালে ছাত্রলীগের নেতা রেজাউল হক মুশতাক আমাকে মৌখিকভাবে জানিয়েছেন যে, ১৯৭১ সালের ৮ মার্চ ৪২ক বলাকা ভবনে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সভায় পূর্ব পাকিস্তান ছাত্রলীগের নাম ‘ছাত্রলীগ’ করা হয়।

তার মতে স্বাধীনতার পর এর নামকরণ ‘বাংলাদেশ ছাত্রলীগ’ করা হয়। ১৯৭২ সালে দুটি আলাদা সম্মেলন করার মধ্য দিয়ে ছাত্রলীগ দ্বিখ-িত হয়। খুব সংক্ষেপেও যদি বলা হয় তবে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধসহ, ভাষা আন্দোলন, শিক্ষা আন্দোলন, আইয়ুববিরোধী আন্দোলন, স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলন, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার আন্দোলনসহ এমন কোনো জাতীয় আন্দোলন নেই যাতে ছাত্রলীগ নেতৃত্ব দেয়নি। আমরা বিশ্বের বহু দেশে ছাত্র সমাজের সচেতন ভূমিকার খবর রাখি। তবে কোনো দেশের সব গণমুখী আন্দোলনে একটি ছাত্র সংগঠনের ৭১ বছরের লড়াইয়ের ইতিহাস আমি জানি না।

এবার ২০১৮ সালে যখন জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় তার মাস দুয়েক আগে ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানীর সঙ্গে আমার যে আলোচনা হয় তারই ফলে এই সংগঠনটিকে নিয়ে আবারো গর্ব করার মতো অবস্থা অনুভব করছি। সে দিন আমি ছাত্রলীগকে ডিজিটাল বাহিনীতে পরিণত করার আহ্বান জানিয়েছিলাম। পরবর্তী সময় নির্বাচনে আইটি কমিটির আহ্বায়ক হিসেবে দায়িত্ব নিয়ে অনুভব করি যে অন্য সব বছরের নির্বাচনের চাইতে এবারের নির্বাচনটি আলাদা বলেই ছাত্রলীগের অংশগ্রহণ জরুরি।

অন্য নির্বাচনে সবই ছিল ডিজিটাল অংশটি ছিল না। অন্যদিকে ডিজিটাল অংশ মানেই বস্তুত দেশের মোট ভোটারের শতকরা প্রায় ৫০ ভাগকে সম্পৃক্ত করা। তাদের কাছে আমাদের কর্মসূচি পৌঁছানো- বঙ্গবন্ধু ও শেখ হাসিনার নেতৃত্বের পাশাপাশি তাদের কাছে দেশটির জন্মের ঠিকানা তুলে ধরা অত্যন্ত জরুরি ছিল। সুখের বিষয় ছিল যে ছাত্রলীগ ৩০০ আসনেই তাদের সাংগঠনিক সমন্বয় কমিটি গঠন করতে সক্ষম হয়।

আমাদের উপকমিটি একটি মাত্র কর্মশালার মধ্য দিয়ে পুরো বাংলাদেশের এই সমন্বয়কারীদের সবাইকে সম্পৃক্ত করতে সক্ষম হই। আমাদের ডিজিটাল বাহিনী গড়ে ওঠে ওদের দিয়ে। ঢাকাসহ দেশের বহু স্থানে আইটি কমিটি ডিজিটাল মাধ্যমে নিজেদের উপস্থাপন করার পাশাপাশি, অপপ্রচার প্রতিরোধ করা, মিথ্যা তথ্যের বিরুদ্ধে লড়াই করা, কনটেন্ট তৈরি করা ও ডিজিটাল মিডিয়ার সামগ্রিক ব্যবহারের অসাধারণ দক্ষতা প্রদর্শন করে। বস্তুত ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের পাশে থেকে সাধারণ তরুণ-তরুণীরাও অনন্য ভূমিকা পালন করেছে।

আমরা এখন ওদের দিকেই তাকিয়ে থাকতে চাই। আমাদের মনে আছে ২০০৮ সালের ১২ ডিসেম্বর জননেত্রী শেখ হাসিনা তার ডিজিটাল বাংলাদেশ কর্মসূচি তরুণ প্রজন্মের প্রতি উৎসর্গ করেছিলেন। সেই ঘোষণার এক দশক পরে ছাত্রলীগের নেতৃত্বেই গড়ে উঠতে হবে ডিজিটাল বাংলাদেশের যোদ্ধাবাহিনী। ২০১৯ সালে দাঁড়িয়ে ২০২০ সালের মুজিববর্ষ ও ২০২১ সালের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে আমরা একাত্তরের ছাত্রলীগের ডিজিটাল রূপান্তর চাই।

মোস্তাফা জব্বার : তথ্যপ্রযুক্তিবিদ ও কলাম লেখক।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App