×

মুক্তচিন্তা

শেখ হাসিনার চৌকস নেতৃত্বই বিজয়ের সাফল্য

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০২ জানুয়ারি ২০১৯, ০৮:৩৮ পিএম

শেখ হাসিনার গৌরবান্বিত নেতৃত্বই স্মরণ করিয়ে দেয় আগামী প্রজন্ম বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের পতাকাতলে সমবেত হচ্ছে যেমনটি বর্তমান প্রজন্ম হাল ধরেছে এই সংগঠনটির। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দৃঢ় প্রত্যয়ে জানিয়েছিলেন, ‘দারিদ্র্যমুক্ত দেশ গড়বোই’। তিনি বর্তমান বিশ্বের অনেক প্রতিষ্ঠান থেকে মর্যাদাকর ডিগ্রিতে ভূষিত হয়েছেন। নিজের নিঃস্বার্থ, নির্লোভ মানসিকতার জন্য পৃথিবীর খ্যাতনামা শাসকদের তালিকার শীর্ষে অবস্থান করছেন তিনি। কারণ নিজের দেশকে নিয়ে যেমন স্বপ্ন দেখেন তেমনি বিশ্ববাসীকে সঙ্গে নিয়ে সুখী জনজীবনের প্রত্যাশায় বিশ্বের অন্য নেতাদের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে মিলেমিশে কাজ করতেও চান তিনি।

৩০ ডিসেম্বর (২০১৮) একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ২৮৮ আসনে জয়লাভ করে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন মহাজোট ঐক্যফ্রন্ট তথা বিএনপি-জামায়াতের রাজনীতিকে আরো একবার চ্যালেঞ্জের মুখে দাঁড় করিয়ে দিয়েছে। বলা যায় এই বিজয় সহিংসতামুক্ত নির্বাচনের অন্যতম নিদর্শন হয়ে উঠেছে।

নির্বাচনোত্তর সন্ত্রাসের পরিবর্তে মানুষের প্রাত্যহিক জীবনে স্বস্তি ফিরে এসেছে। বিদেশি রাষ্ট্রের পর্যবেক্ষকরা ক্রমাগত অভিনন্দন জানাতে শুরু করেছেন। আনন্দে মুখরিত এখন বাংলাদেশের প্রতিটি আঙিনা; অফিস-আদালত, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। বিস্ময়করভাবে আমরা লক্ষ করলাম যেসব ব্যক্তি সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়ে শঙ্কিত ছিলেন তারা এখন ইতিবাচক কথা বলছেন।

বর্তমান নির্বাচন কমিশনের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলার কৃতিত্বে আনন্দিত তারা। তবু অপপ্রচার থেমে নেই। এখনো ভারতবিরোধী সুড়সুড়ি দিয়ে জনগণকে বিভ্রান্ত করা হচ্ছে; অপপ্রচারের অস্ত্র তুলে দেয়া হয়েছে জামায়াত-বিএনপির হাতে। বর্তমান পরিস্থিতি এমন হয়েছে যে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন মহাজোটের বিরুদ্ধে কেউ কিছু বললে তাদের বন্ধু হিসেবে মনে করছে জামায়াত-বিএনপি। আমরা শুনেছি নির্বাচনের আগে মিডিয়াতে ফাঁস হওয়া ঐক্যফ্রন্টের নেতাদের নানান ফোনালাপ।

কখনো পাকিস্তানি গোয়েন্দা সংস্থা, কখনোবা নাশকতা কিংবা হত্যার কথোপকথনে পূর্ণ সেসব আলাপচারিতা। বর্তমানে বিদেশি অনেক ব্যক্তিই ঐক্যফ্রন্টের চোখের মণি। দেশ-বিদেশে মহাজোটের বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময় বিচিত্র অপপ্রচার বাংলাদেশের জনগণকে বিভ্রান্তিতে ফেললেও আওয়ামী লীগের ওপর আস্থা পুনর্বহাল হতে দেখা গেছে ভোটের রাজনীতিতে।

জনগণের এই আস্থার উৎস কী? বলা যায় নির্বাচনী অঙ্গীকার বাস্তবায়নে আওয়ামী লীগের সাফল্য এর অন্যতম কারণ। বলা যেতে পারে দেশের ভাবমূর্তি বিশ্বের দরবারে উজ্জ্বল করেছেন যে রাষ্ট্রনায়ক তাঁর কারণে এই আস্থা। ইশতেহার অনুযায়ী যুদ্ধাপরাধীদের বিচার প্রক্রিয়া সম্পন্ন হওয়া ও দীর্ঘমেয়াদি কর্মসূচিতে দেশের উন্নয়ন ত্বরান্বিত করেছেন শেখ হাসিনা।

অন্যদিকে ২০১০ সালের পর থেকে আলেম-ধর্মপ্রচারকদের জুলুম-নিপীড়ন-নির্মূল করার মিশনে নেমেছে সরকার- মুসলিম বিশ্ব এমন ধারণা পাচ্ছিল এবং যুদ্ধাপরাধীদের রায়ের বিপক্ষে জনমত তৈরি হচ্ছিল তখনো তাঁর নেতৃত্বের দৃঢ়তা আমরা লক্ষ করেছি। উল্লেখ্য, একাত্তরের যুদ্ধাপরাধীদের বিচার সম্পন্ন করার ক্ষেত্রে আওয়ামী লীগ সরকারের সদিচ্ছার কোনো অভাব ছিল না।

জনগণের কাছে তা দিবালোকের মতো পরিষ্কার এখন। আস্থাশীল সরকারের প্রতি দেশের বিশিষ্টজনদের দৃষ্টি পূর্ব থেকেই ইতিবাচক ছিল। এ ছাড়া শেখ হাসিনার লক্ষ্য ছিল দলীয় সরকারের অধীনেই অবাধ, নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন করা। তিনি চেয়েছেন, নির্বাচনে যাতে কারো কোনো সন্দেহ না থাকে। সব সন্দেহ দূর করে সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠিত করতে তিনি সক্ষম হয়েছেন।

যে নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণ ভোট দিয়ে তাদের মনমতো সরকার গঠন করতে যাচ্ছে। দেশ ও জাতির কল্যাণের স্বার্থে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে গণতন্ত্রকে আরো সুদৃঢ় ভিত্তির ওপর প্রতিষ্ঠিত করার নতুন দিন শুরু হয়েছে। ২০২১ সালের মধ্যে ক্ষুধা, দারিদ্র্য ও নিরক্ষরতামুক্ত আধুনিক বাংলাদেশ, জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ে তোলার প্রত্যয় স্পষ্ট এখন।

শেখ হাসিনা এখন নির্ভরতার উৎস হয়ে উঠেছেন। দেশ ও জাতির কল্যাণে সাংবিধানিক উপায়কে অবলম্বন করে এগিয়ে যাওয়ার প্রত্যয় প্রকৃত অর্থে বাস্তব হয়ে উঠেছে ভোটে জয় লাভ করার মধ্য দিয়ে। এ জন্য গত ১০ বছরে অর্জিত সব সফল কর্মকা-ের প্রশংসা করা হচ্ছে আন্তর্জাতিক মিডিয়াতে। কারণ একাদশ নির্বাচনের আগে সুষ্ঠু নির্বাচনের ঐকান্তিক প্রত্যয় ঘোষিত হয়েছিল আওয়ামী লীগের নেতাদের কণ্ঠে।

আর আগামী প্রজন্মকে সুন্দর একটি বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন দেখানোর কথা বলা হয়েছিল ‘নির্বাচনী ইশতেহারে’। স্বপ্ন দেখানো মানুষের সংখ্যা কমে গেছে যে দেশে, সেখানে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগের মতো রাজনৈতিক দলের দৃঢ় অঙ্গীকার আড়াই কোটি তরুণ প্রজন্মকে আন্দোলিত করবে এটাই স্বাভাবিক। নির্বাচন অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠায় শেখ হাসিনার আগ্রণী ভূমিকা অতীতেও প্রশংসিত হয়েছে।

আসলে শেখ হাসিনার গৌরবান্বিত নেতৃত্বই স্মরণ করিয়ে দেয় আগামী প্রজন্ম বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের পতাকাতলে সমবেত হচ্ছে যেমনটি বর্তমান প্রজন্ম হাল ধরেছে এই সংগঠনটির। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দৃঢ় প্রত্যয়ে জানিয়েছিলেন, ‘দারিদ্র্যমুক্ত দেশ গড়বোই’। তিনি বর্তমান বিশ্বের অনেক প্রতিষ্ঠান থেকে মর্যাদাকর ডিগ্রিতে ভূষিত হয়েছেন।

নিজের নিঃস্বার্থ, নির্লোভ মানসিকতার জন্য পৃথিবীর খ্যাতনামা শাসকদের তালিকার শীর্ষে অবস্থান করছেন তিনি। কারণ নিজের দেশকে নিয়ে যেমন স্বপ্ন দেখেন তেমনি বিশ্ববাসীকে সঙ্গে নিয়ে সুখী জনজীবনের প্রত্যাশায় বিশ্বের অন্য নেতাদের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে মিলেমিশে কাজ করতেও চান তিনি। মূলত দেশকে সম্পূর্ণ দারিদ্র্যমুক্ত করতে বর্তমান সরকার কাজ করে যাচ্ছে ১০ বছর ধরে।

উপরন্তু বাংলাদেশ একটি ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত বিশ্ব দেখতে চায়, যেখানে প্রতিটি মানুষ সুন্দর ও মর্যাদাপূর্ণ জীবন যাপন করতে পারবে। দারিদ্র্য বিমোচন ও খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ বিশে^র বিভিন্ন দেশের কাছে এখন রোল মডেলে পরিণত হয়েছে। জাতীয় পর্যায়ে দারিদ্র্য বিমোচনে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারের রয়েছে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা।

এসডিজি অর্জনে বাংলাদেশ জাতীয় পর্যায়ে যেসব উদ্যোগ নিয়েছে সেগুলো প্রণিধানযোগ্য। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিকে অগ্রাধিকার দিয়েছেন। কর্মক্ষেত্রে মানসম্মত কাজ নিশ্চিত করা, খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, শিক্ষা খাত এই সবকটি ক্ষেত্রেই বাংলাদেশ অগ্রগতি লাভ করেছে। দারিদ্র্যের বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এই সংগ্রামের ফলে ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে একটি দারিদ্র্যমুক্ত, ক্ষুধামুক্ত উন্নত দেশে পরিণত করার অঙ্গীকারই আমরা দেখতে পাই।

নির্বাচনে জয়ী হয়ে শেখ হাসিনা দেশের জনগণের প্রতিও কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন। নেতৃত্বের এটি অন্যতম দিক। তিনি জানেন, বাংলাদেশের জনগণ আমাদের ভোট দিয়ে ক্ষমতায় বসিয়েছে বলেই তার পক্ষে সব অর্জন সম্ভব হয়েছে। ২০০৮ সালের নির্বাচনে জয়ী হয়ে তার সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকেই দারিদ্র্য বিমোচনে ব্যাপকভাবে কাজ হয়েছে।

স্বাস্থ্যসেবা জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেয়া হয়েছে। খাদ্য নিরাপত্তা, আর্থসামাজিক উন্নয়ন, শিক্ষার হার বাড়ানো ও মান উন্নত করাসহ বিভিন্নভাবে কাজ করা হচ্ছে। আর তার ফলেই আজ বাংলাদেশ সারা বিশ্বের দরবারে মর্যাদার আসনে অধিষ্ঠিত হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গৌরবান্বিত নেতৃত্বের কারণে ২০০৮ ও ২০১৪ সালের নির্বাচনী ইশতেহারের প্রতিটি অঙ্গীকার পূর্ণ হয়েছে গত শাসনামলেই (২০০৯-২০১৮)। বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের দুঃশাসন, দুর্নীতি, জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাস এবং অকার্যকর রাষ্ট্রের কলঙ্কমোচন করে বাংলাদেশকে আবার বিশ্বসভায় মর্যাদার আসনে প্রতিষ্ঠিত করা হয়েছে।

যোগ্য নেতৃত্বের কারণেই তৃতীয় বিশ্বের শীর্ষ পাঁচ দেশের অন্যতম এখন বাংলাদেশ। শান্তি, গণতন্ত্র, উন্নয়ন ও সুশাসনের ক্ষেত্রে অসাধারণ সাফল্যের জন্য আন্তর্জাতিক সমীক্ষায় বাংলাদেশ স্থান করে নিয়েছে সুখী দেশের তালিকায়। মাতৃমৃত্যু, শিশুমৃত্যুর হার হ্রাস এবং গড় আয়ুষ্কাল বৃদ্ধির ক্ষেত্রেও বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ার শীর্ষে। বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলের লাগামহীন দ্রব্যমূল্য এখন নিয়ন্ত্রণে। চালসহ খাদ্যসামগ্রীর দাম কমেছে এবং স্থিতিশীল রয়েছে।

বিশ্বমন্দা মোকাবেলা করে প্রবৃদ্ধির হার প্রায় সাড়ে ৮ শতাংশে উন্নীতকরণ, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সংকটের সমাধান, রপ্তানি ও রেমিটেন্স বৃদ্ধি, খাদ্যে আত্মনির্ভরশীলতা অর্জন, শিক্ষা ও স্বাস্থ্য সেবায় বিশাল সাফল্য এবং নারীর ক্ষমতায়নের অগ্রগতির ফলে প্রকৃতই বদলে গেছে বাংলাদেশ। তথ্যপ্রযুক্তির অভূতপূর্ব ব্যবহারের ফলে ডিজিটাল বাংলাদেশ এখন আর স্বপ্ন নয়, বাস্তব।

শেখ হাসিনার যোগ্য নেতৃত্বের কারণে বাংলাদেশে গণতন্ত্র ও সুশাসন প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী ও নারীর ক্ষমতায়ন বৃদ্ধি পেয়েছে। সবারই মনে থাকার কথা যে (গত শাসনামলে ২০০৯ সালে) তিনি রাষ্ট্র পরিচালনায় দায়িত্ব গ্রহণ করার মাত্র ৪৯ দিনের মধ্যে সংঘটিত হয় ঢাকার পিলখানার বিডিআর কর্তৃক সেনা কর্মকর্তাদের রক্তাক্ত হত্যাকা-।

মহলবিশেষ এই সুযোগে দেশে এক সংঘাতময় পরিস্থিতি সৃষ্টি এবং সেনাবাহিনীর শৃঙ্খলা ভঙ্গের মারাত্মক উসকানি দিয়েছিল। চরম ধৈর্য, বিচক্ষণতা, অসীম সাহস এবং রাষ্ট্রনায়কোচিত প্রজ্ঞা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তথাকথিত বিডিআর বিদ্রোহের শান্তিপূর্ণ সমাধান করেন এবং সেনাবাহিনীতে আস্থা ফিরিয়ে আনেন। দেশ এক চরম অনিশ্চয়তার হাত থেকে রক্ষা পায়।

২০১৩ সালের ৫ নভেম্বর সেই নির্মম ঘটনার বিচারের রায় ঘোষিত হয়। ১৫২ জন অপরাধীকে ফাঁসিকাষ্ঠে ঝোলানোসহ অন্যান্য সাজার রায় আমাদের বিচার ব্যবস্থার ওপর আস্থা ফিরিয়ে এনেছে। আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার পূর্বশর্ত হলো অপরাধীদের শাস্তির বিধান করা। সরকারের প্রতি জনগণের আস্থার উৎসও এটি। উপরন্তু নির্বাচনী ইশতেহারের অঙ্গীকার পূরণ করায় সরকারের জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি পেয়েছে ব্যাপকহারে।

সুশাসনের অন্যতম স্তম্ভ দুর্নীতিহীন প্রশাসন। এজন্য স্বাধীন ও কার্যকর দুর্নীতি দমন কমিশন গঠন করা হয়েছে। দুর্নীতির তদন্ত, অনুসন্ধান, জবাবদিহি ও স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে দুদক প্রয়োজনে মন্ত্রী, আমলাসহ যে কোনো ক্ষমতাধর ব্যক্তিকে ডেকে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। শেখ হাসিনার সদিচ্ছায় তার সরকারের আমলেই স্বাধীন নির্বাচন কমিশন গঠিত হয়েছে।

সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনার ভিত্তিতে সার্চ কমিটির সুপারিশে শক্তিশালী স্বাধীন নির্বাচন কমিশন গঠন করেছেন মহামান্য রাষ্ট্রপতি। নির্বাচন কমিশনের আর্থিক ক্ষমতা ও লোকবল নিয়োগের ক্ষেত্রে স্বাধীনতা তথা নির্বাচন কমিশনের স্বাধীনতা নিশ্চিত করা হয়েছে। অতীতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছিলেন, ‘আইন তার নিজের গতিতে চলবে। অপরাধী অপরাধীই। তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হবে, এই নিশ্চয়তা দিতে পারি।

এটি জনগণের প্রতি আমাদের অঙ্গীকার।’ এই অঙ্গীকার আছে বলেই তার সরকার এত জনপ্রিয়। জনগণের আস্থা তাদের ওপর ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে। সহিংসতামুক্ত দেশ দেখতে চাই আমরা। এ দেশ এগিয়ে যাওয়ার পথে দুর্বৃত্তরা প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করতে পারবে না। আর এই শুভ পরিস্থিতিই আরো বেশি আস্থা তৈরি করবে শেখ হাসিনার ওপর।

মিল্টন বিশ্বাস: অধ্যাপক, বাংলা বিভাগ, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App