×

জাতীয়

মিশ্র আদর্শের রাজনীতির নির্বাচনী মেরুকরণ

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৯ ডিসেম্বর ২০১৮, ০৪:২৩ পিএম

মিশ্র আদর্শের রাজনীতির নির্বাচনী মেরুকরণ
নীতি আদর্শের নয়া মিশ্রণে চলতি বছর নতুন রূপ ধারণ করেছে বাংলাদেশের রাজনীতি। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে একদিকে ‘উন্নয়নের’ অন্যদিকে ‘গণতন্ত্র’ প্রতিষ্ঠার নামে দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে রাজনীতির মাঠ দখলে মরিয়া ছিল ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ ও দীর্ঘদিন ক্ষমতার বাইরে থাকা দেশের অন্যতম প্রধান রাজনৈতিক দল বিএনপি। প্রগতিশীল রাজনীতির সঙ্গে ধর্মীয় রাজনীতির অপূর্ব মিশ্রণ ঘটেছে এ বছর। সব মিলিয়ে ২০১৮ সালে রাজনীতিতে নতুন মেরুকরণ হয়েছে। চলতি বছরের রাজনীতির সবচেয়ে বড় অর্জন হচ্ছে ক্ষমতাসীন জোটের সঙ্গে প্রধান প্রধান রাজনৈতিক জোট ও দলের সংলাপ। সংলাপে সরাসরি কোনো ফল আসেনি। তবে নিবন্ধিত সবগুলো রাজনৈতিক দলের প্রার্থীদের এবারের নির্বাচনে অংশ নেয়াকে বিশ্লেষকরা সংলাপের পরোক্ষ সাফল্য হিসেবে দেখছেন। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বছরজুড়ে সরব ছিলেন রাজনীতিবিদরা। তবে সরকারবিরোধী কোনো আন্দোলন হয়নি। দাবি ও দফা নিয়ে ছিল কথার রাজনীতি। ছিল দল ও জোট গোছানোর প্রতিযোগিতা। ছিল সাংগঠনিক শক্তি বাড়ানোর প্রতিযোগিতা। পুরো বছর সংঘাত-সংঘর্ষ না থাকলেও জাতীয় নির্বাচনকে কেন্দ্র করে চলতি মাসে সারাদেশে প্রতিপক্ষ দমনের নামে রাজনৈতিক সংঘাত ও সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ে। এ জন্য ক্ষমতাসীন ও ক্ষমতাহীন জোট পরস্পরকে দোষারোপ করেছে। চলতি বছরের শুরু থেকে একাদশ জাতীয় নির্বাচনের মাঠ সাজাতে শুরু করে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ। বিভাগীয় ও জেলা পর্যায়ে এ জন্য সাংগঠনিক কমিটি করা হয়। জনপ্রিয় ও যোগ্য দলীয় প্রার্থী মনোনয়নের জন্য সারাদেশে কয়েকটি জরিপও চালায় দলটি। বছরের শেষপ্রান্তে নির্বাচনের চ‚ড়ান্ত ছক তৈরি করে আওয়ামী লীগ। এর অংশ হিসেবে মহাজোটের পরিধি বাড়ানো হয়। বর্তমানে দেশে ৩৯টি রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন থাকলেও ১২৯টি দল নিয়ে মহাজোট গঠন করে আওয়ামী লীগ জাতীয় পার্টির নেতৃত্বে ৫৮ দলের ইউনাইটেড ন্যাশনাল এলায়েন্স (ইউএনএ) এবং সাবেক বিএনপি নেতা নাজমুল হুদার নেতৃত্বে ৩১ দলের বাংলাদেশ ন্যাশনাল এলায়েন্স (বিএনএ) ক্ষমতাসীনদের সঙ্গে যোগ দেয়ার পর ১০৩টি দলের নেতৃত্ব চলে আসছে আওয়ামী লীগের হাতে। এ ছাড়া সাবেক রাষ্ট্রপতি অধ্যাপক বদরুদ্দোজা চৌধুরীর বিকল্পধারার নেতৃত্বাধীন ৮ দলের যুক্তফ্রন্ট ও ইসলামী ঐক্যজোটের একাংশের চেয়ারম্যান মিছবাউর রহমান চৌধুরীর নেতৃত্বে সমমনা ১৮ দল নিয়ে গঠিত আইডিএ জোটও যুক্ত হয় সরকারি দলের সঙ্গে। ফলে আওয়ামী লীগের জোটে দলের সংখ্যা দাঁড়াচ্ছে ১২৯টি। বিকল্পধারা বাংলাদেশের সভাপতি ড. এ কিউ এম বদরুদ্দোজা চৌধুরীর নেতৃত্বে যুক্তফ্রন্ট শেষ পর্যন্ত আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন মহাজোটে যোগ দেয়। নির্বাচনের মনোনয়ন নিয়ে জটিল পরিস্থিতির মুখোমুখি হয় আওয়ামী লীগ। ১৪ দলীয় জোট ও মহাজোটের পাশাপাশি দলীয় প্রার্থী চ‚ড়ান্তকরণে বেগ পেতে হয় দলীয় হাইকমান্ডের। তবে শেষ পর্যন্ত আসন বণ্টনে সাফল্য দেখিয়েছে দলটি। এরশাদের জাতীয় পার্টিকে তুলনামূলক কম আসন দিয়ে মহাজোটের শরিক এবং দলীয় প্রার্থীদের মধ্যে চমৎকার সমঝোতা করেছে আওয়ামী লীগ। চলতি বছরের শুরুতে গত ফেব্রæয়ারিতে বড় ধরনের সংকটের মধ্যে পড়ে বিএনপি। জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় সাজাপ্রাপ্ত হয়ে কারাগারে যান দলটির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। বাংলাদেশের চলমান রাজনীতির জন্য খালেদা জিয়ার এই ‘জেলে যাওয়া’ একটি বড় ধরনের ঘটনা। রায়ের প্রতিবাদে বিএনপি তিন দিনের এক কর্মসূচি পালন করে। এ ক্ষেত্রে যা লক্ষণীয়, তা হচ্ছে বিএনপি কোনো হরতালের ডাক দেয়নি এবং দলটির কর্মসূচিতে কোনো সহিংসতা হয়নি। খালেদা জিয়ার কারাবাস এবং তারেক রহমানের প্রবাস জীবন কাটানোয় অনেকেই মনে করেছিলেন বিএনপি সাংগঠনিকভাবে দুর্বল হয়ে পড়বে। এমনকি খন্ড বিখন্ড হতে পারে দলটি। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ নিয়েও ছিল সন্দেহ। বিএনপির পক্ষ থেকে সরকারবিরোধী কোনো কর্মসূচি ছিল না বললেই চলে। হামলা-মামলায় নেতাকর্মীরাও ছিল নিষ্ক্রিয়। তাদের একটা বড় অংশ জেলা-উপজেলায় টিকতে না পেরে ঢাকায় আশ্রয় নিয়ে আছে। তবে বছরের শেষপ্রান্তে এসে প্রবীণ রাজনীতিবিদ ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বে গত অক্টোবরে বিএনপি, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জেএসডি), নাগরিক ঐক্য, কৃষক-শ্রমিক-জনতা লীগসহ কয়েকটি রাজনৈতিক দলের নতুন মোর্চা ‘জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট’ গঠিত হয়। এরপরই উত্তপ্ত হতে থাকে রাজনীতির ময়দান। সরকারের পদত্যাগ, গ্রহণযোগ্য ব্যক্তিদের সমন্বয়ে নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠন ও নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনসহ সাত দফা দাবি নিয়ে মাঠে নামে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট। সরকার, রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে ক্ষমতার ভারসাম্য রক্ষাসহ ১১টি লক্ষ্য নিয়ে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের যাত্রা শুরু হয়। জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের ৭ দফা দাবির মধ্যে প্রধান তিনটি দাবি ছিল খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তি, নির্বাচনকালীন নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠন এবং সংসদ ভেঙে দিয়ে নির্বাচন অনুষ্ঠান। এই তিনটি দাবিসহ ৭ দফা দাবি নিয়ে ঐক্যফ্রন্টের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ক্ষমতাসীন জোটের সঙ্গে দুই দফা সংলাপ হয়েছে। কিন্তু সরকার পক্ষ এসব দাবির কোনোটাই মানেনি। এরপরও আন্দোলনের অংশ হিসেবে নির্বাচনে রয়েছে বিএনপি। অন্যদিকে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট গঠনের মধ্য দিয়ে বিএনপি বিভক্ত হবে এবং খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান মাইনাস হবেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তা হয়নি। বিএনপির নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটও জাতীয় ঐক্যের সঙ্গে একাত্মতা ঘোষণা করে। শেষ পর্যন্ত এই ঐক্য নির্বাচনী ঐক্যে পরিণত হয়। জাতীয় ঐক্যফ্রন্টে জামায়াতের ভ‚মিকা নিয়ে শুরু থেকেই দ্বিধা-দ্বন্দ্ব ছিল। শেষ পর্যন্ত এ বিষয়ে কৌশলী অবস্থান নিয়েছে ঐক্যফ্রন্ট। জামায়াতের কোনো নেতৃত্ব ঐক্যফ্রন্টের সভায় ছিল না। তবে নির্বাচনে বিএনপির প্রতীক নিয়ে ২৫ জন জামায়াত নেতা অংশ নিচ্ছেন। বিএনপির মনোনয়ন চ‚ড়ান্তের পর দেখা যায় ২০ দলীয় জোট, ঐক্যফ্রন্ট এবং বিএনপি মিলে একটি নির্বাচনী প্ল্যাটফর্ম তৈরি হয়েছে। ড. কামাল হোসেনও এই প্ল্যাটফর্মে জামায়াতকে মেনে নিয়েছেন। জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট গঠনের মাধ্যমে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে বিএনপির পথ সুগম হয়। ২০ দলীয় জোট এবং ঐক্যফ্রন্টের শরিকদের সঙ্গে নির্বাচনের আসন বণ্টনেও সাফল্য দেখিয়েছে বিএনপি। নির্বাচন কমিশন একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে অভিযুক্ত জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন বাতিল করেছে। জামায়াত রাজনৈতিকভাবে দলীয় প্রতীকে নির্বাচন করার ক্ষমতা হারিয়েছে। যদিও রাজনৈতিক দল হিসেবে এখনো তারা নিষিদ্ধ হয়নি। একই সঙ্গে বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটের প্রধান শরিক হিসেবে রয়েছে। বছরজুড়ে রাজনীতির নানা হিসাব মিলিয়ে হুমকি-ধমকি দিয়েও শেষ পর্যন্ত বছরটি ভালো কাটেনি এরশাদের নেতৃত্বাধীন জাতীয় পার্টি (জাপা)। ইসলামী দলগুলোকে নিয়ে সম্মিলিত ইসলামী জোট গঠন করে ৩০০ আসনে প্রার্থী দেয়ারও ঘোষণা দিয়েছিলেন দলটির চেয়ারম্যান এইচ এম এরশাদ। কিন্তু বার বার মত ও পথ পরিবর্তনের ইঙ্গিত এবং ক্ষমতায় টিকে থাকার কৌশলে মার খেয়েছে দলটি। মহাজোটের অংশ হয়ে নির্বাচনে অংশ নিয়ে জাতীয় পার্টির অস্তিত্ব এখন প্রশ্নের মুখে। নির্বাচনটি মূলত এখন সীমাবদ্ধ থাকলো মহাজোটে আর জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের মধ্যে। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থীদের মনোনয়ন চূড়ান্তের পর পাল্টে যায় রাজনীতির চালচিত্র। দেশে বইতে শুরু করে ভোটের হাওয়া। বিএনপির নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোট এবং তাদের বর্তমান জোট জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট তাদের ৭ দফা দাবি থেকে সরে না এলেও কৌশল পরিবর্তন করে নির্বাচনের ঘোষণা দিয়েছে। আর তাতেই পাল্টে গেছে দৃশ্যপট। চলতি বছরের রাজনীতির বড় অর্জন হচ্ছে সরকারদলীয় জোটের সঙ্গে বিরোধী দল ও জোটসহ সক্রিয় রাজনৈতিক দলগুলোর সংলাপ। সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের পরিবেশ তৈরির দাবি জানিয়ে গত ২৮ অক্টোবর জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের পক্ষ থেকে সরকারের কাছে একটি চিঠিতে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আগেই তাদের সাত-দফা দাবি নিয়ে সরকারকে আলোচনা বসার প্রস্তাব করা হয়। প্রস্তাবের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সংলাপে বসতে রাজি হন। গত ১ নভেম্বর ঐক্যফ্রন্টের সঙ্গে প্রথম সংলাপে বসে সরকার। সংলাপে সরকারের পক্ষে প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে ১৪ দলীয় জোটের শীর্ষনেতারা উপস্থিত ছিলেন। এরপর ১৪ দলীয় জোটের সঙ্গে পর্যায়ক্রমে বাংলাদেশের সবগুলো দল ও জোট সংলাপে বসে। সংলাপে বিরোধীদের প্রধান জোট জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের কোনো দাবিই মানা হয়নি। অবশ্য বাংলাদেশে গত প্রায় তিন দশক ধরে মীমাংসা আলোচনার মাধ্যমে রাজনৈতিক সংকট সমাধানের চেষ্টায় সাফল্যের নজির নেই বললেই চলে। এবারের সংলাপে বিরোধী দল ও জোটের কোনো দাবি মানা হয়নি। তবে নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধিত সবগুলো রাজনৈতিক এবারের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিয়েছে। এটাকেই অনেকে সংলাপের সাফল্য হিসেবে দেখছেন। তবে ভোটের মাঠে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিয়ে বিতর্ক রয়েছে। ক্ষমতাসীন জোটের প্রার্থী ও নেতাকর্মীদের প্রতিরোধে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী এবং নেতাকর্মীরা মাঠেই নামতে পারেননি। মাঠে নামতে গিয়ে হামলার শিকার হয়েছেন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষনেতা ড. কামাল হোসেন, বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থানীয় কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়সহ জোটের শীর্ষনেতারা। এ ছাড়া সারাদেশেই বিএনপির প্রার্থীরা হামলার শিকার হয়েছেন। বিরোধী জোটের প্রার্থীরা ব্যানার পোস্টার পর্যন্ত টাঙাতে পারেননি। সব মিলিয়ে নির্বাচনের আগের রাজনীতির চিত্রে আগামীকাল ৩০ ডিসেম্বরের ভোট নিয়ে এখনো শঙ্কার মধ্যে রয়েছেন সাধারণ ভোটাররা। অবশ্য অনেকে বলছেন, নির্বাচনের আগে এ ধরনের সহিংসতা নতুন কিছু নয়। তবে এবারের মাত্রাটা একটু বেশি। প্রধানমন্ত্রী সহিংসতা বন্ধের জন্য নির্দেশ দিলেও, তা কার্যকর হচ্ছে না। এখানে নির্বাচন কমিশনের ভ‚মিকা নিয়ে অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন। এদিকে মার্কিন কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ প্রতিনিধি পরিষদে সর্বসম্মত প্রস্তাবে পাস হওয়া এক বিলে ভোটারদের ইচ্ছাকে সম্মান জানাতে রাজনৈতিক দল ও বিচারিক কর্তৃপক্ষের প্রতি আহবান জানানো হয়েছে। বাংলাদেশের রাজনীতিতে একটি শক্তিশালী বিরোধী দল বা জোট থাকা দরকার। জোট রাজনীতি বাংলাদেশের বাস্তবতা। সুতরাং জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট যদি একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মধ্য দিয়ে সংসদে একটি শক্তিশালী বিরোধী পক্ষ হিসেবে আবিভর্‚ত হয়, বাংলাদেশের সংসদীয় রাজনীতির জন্য তা হবে মঙ্গল। এর মধ্য দিয়ে দেশে একটি সুস্থ রাজনীতির চর্চাও শুরু হতে পারে। বিশ্লেষকরা প্রত্যাশা করছেন, সব দলের অংশগ্রহণে প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ এ নির্বাচনের মাধ্যমে রাজনৈতিক উত্তাপ-উত্তেজনা মাড়িয়ে ভোটযুদ্ধে সংঘটিত কিছু কিছু অনিয়ম ছাপিয়ে যে সংসদ আসবে সেখানে সরকার ও বিরোধী দল দুটোই হবে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের অসাম্প্রদায়িক গণতান্ত্রিক শক্তি।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App