×

মুক্তচিন্তা

ইসিকে পদক্ষেপ নিতে হবে

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৬ ডিসেম্বর ২০১৮, ০৮:২৬ পিএম

কোটি কোটি টাকা ছড়িয়ে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন প্রভাবিত করার চেষ্টা করছে বিএনপি-জামায়াত। নেপথ্যে আবারো হাওয়া ভবন। পুরো প্রক্রিয়াটির নেপথ্যে লন্ডনে বসে তারেক রহমান কাজ করছেন বলে তথ্য মিলেছে।

গত মঙ্গলবার মতিঝিলের একটি অফিস থেকে ৮ কোটি নগদ টাকা ও ১০ কোটি টাকার চেকসহ হাওয়া ভবনের সঙ্গে জড়িত একজনসহ তিনজন গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব। টাকাগুলো দুবাই থেকে বিএনপি-জামায়াতের এমপি প্রার্থীদের জন্য এবং নাশকতা চালানোর জন্য পাঠানো হয়েছে বলে আটককৃতরা স্বীকার করেছে।

সম্প্রতি নির্বাচনে বিএনপি-জামায়াতের এমপি প্রার্থীদের জন্য এবং নির্বাচনী এলাকায় নাশকতা চালানোর জন্য ১৫০ কোটি টাকা দেশের বিভিন্ন জায়গায় পাঠানো হয়েছে। নির্বাচনের ২ দিন আগে ভোটের মাঠে নাশকতার খবর সাধারণ ভোটারদের মনে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা বাড়বে এটাই স্বাভাবিক।

আমরা মনে করি, কালো টাকার ব্যবহার সুষ্ঠু নির্বাচনের অন্তরায়। বিএনপি-জামায়াত জোট নির্বাচনকে সামনে রেখে কালো টাকা ছড়ানোর পাশাপাশি আওয়ামী লীগ ও মহাজোট নেতাকর্মীদের ওপর সশস্ত্র হামলা করছে। নির্বাচনী অফিস ভাঙচুর করছে, মিছিলে হামলা চালাচ্ছে।

এমনকি সীতাকুণ্ডে আওয়ামী লীগ প্রার্থীদের কর্র্মীদের ওপর পেট্রলবোমা নিক্ষেপের ঘটনা ঘটছে। নির্বাচনকে বানচাল করার জন্য বিএনপি নানারকম অরাজকতার আশ্রয় নিয়েছে বলে আওয়ামী লীগ অভিযোগ করে আসছে বারবার।

এর আগেও নির্বাচন বানচাল করতে ভয়ঙ্কর নাশকতার ছক কষেছে জামায়াত-বিএনপি। পুলিশ সদস্যদের মনোবল ভেঙে দিতে সিনিয়র পুলিশ অফিসারদের তালিকা করে টার্গেট কিলিংয়ের পরিকল্পনাও করেছে। ঢাকা মহানগরের গুরুত্বপূর্ণ কয়েকজন জামায়াত-শিবির নেতাকে বিস্ফোরকসহ গ্রেপ্তারের পর এমন চাঞ্চল্যকর তথ্য পেয়েছেন গোয়েন্দারা। জামায়াত-বিএনপি গোপনে নাশকতার ছক কষছে এমন তথ্যের ভিত্তিতে গত অক্টোবর থেকে বিশেষ অভিযান শুরু করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। নাশকতার প্রস্তুতির অভিযোগে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে কয়েকশ নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

গোয়েন্দা সংস্থা বলছে, গত সংসদ নির্বাচনে দলটি যেভাবে নাশকতা চালিয়েছিল, সেভাবেই নাশকতা চালানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে এবারো।

উল্লেখ্য, আদালতের রায়ে বিলুপ্ত ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন বানচালে আন্দোলনের নামে বিএনপি ও তাদের নেতৃত্বাধীন জোটের অন্যতম শরিক জামায়াত ২০১৩-এর শেষ থেকেই বোমাবাজি-সন্ত্রাস-নাশকতার পথ বেছে নেয়। নির্বাচন-পূর্ব সময়ে এই সন্ত্রাস-নাশকতায় দেড় শতাধিক প্রাণহানি ঘটে।

এরপর ২০১৫ সালে টানা ৯২ দিন ধরে চোরাগোপ্তা স্টাইলে হামলা, ভাঙচুর, বোমাবাজি, বাসে পেট্রলবোমা হামলা ও অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় শ্বাসরুদ্ধকর পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়। আসন্ন নির্বাচনকে কেন্দ্র করে জামায়াত-বিএনপির দেশ বিধ্বংসী সব কর্মকা- রুখে দিতে হবে।

সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের স্বার্থে জামায়াত-শিবির গংদের সব অপচেষ্টা কঠোরভাবে দমন করতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাবাহিনীকে সজাগ থাকতে হবে এবং ভোটের মাঠে টাকার অবাধ ব্যবহার নির্বাচন কমিশনকে প্রতিরোধে এগিয়ে আসতে হবে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App