×

পুরনো খবর

টয় ডিজাইন : মিলিয়ন ডলারের সম্ভাবনা!

Icon

অনলাইন প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৩ ডিসেম্বর ২০১৮, ০৭:৪০ এএম

টয় ডিজাইন : মিলিয়ন ডলারের সম্ভাবনা!
টয় ডিজাইন : মিলিয়ন ডলারের সম্ভাবনা!
মূলত নব্বই দশকের পরবর্তী সময় থেকেই থ্রিডি এনিমেশন সারাবিশ্বে ব্যাপকভাবে জনপ্রিয়তা পেতে শুরু করে। বর্তমানে এনিমেশন মুভি এবং গেম তৈরির অন্যতম জনপ্রিয় মাধ্যম থ্রিডি এনিমেশন প্রযুক্তি। এখানে শতকোটি টাকা বিনিয়োগ গেম, মুভিসহ বিনোদন দুনিয়ার নানা মাধ্যমে। তবে শুধুই মোশন বা গ্রাফিক্স নয় ত্রিমাত্রিক ক্যারেক্টার সৃষ্টির মাধ্যমে সেগুলোর লেআউট থ্রিডি প্রিন্টারে বের করে নতুন সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন হয়েছে। আর্টিকুলেশন ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের সাহায্যে থ্রিডি প্রিন্টারের এই প্রযুক্তির বিস্তার ঘটলে মিলিয়ন ডলারের বাণিজ্য সম্ভাবনা রয়েছে মেডিকেল সার্জারি, জুয়েলারি শিল্প, ডিজাইনার টয়, চাইল্ড এডুকেশন টয়সহ ফ্যাক্টরির নানা উপকরণ তৈরিতে। এক্ষেত্রে ত্রিমাত্রিক মডেল তৈরির কাজটি একজন ক্যারেকটার আর্টিস্ট দক্ষতার সঙ্গে করতে পারেন। তবে থ্রিডি প্রিন্টারের মাধ্যমে কাজগুলোর আউটপুট বাংলাদেশে শুরু হয়েছে খুবই ছোট পরিসরে।
গল্পের শুরু টয় স্টোরির শেরিফ উডি, মনস্টার ইঙ্কের ব্লু, ফাইন্ডিং নিমোর ডোরি আর নিমো, ওয়াল-ইর পিচ্চি রোবট ওয়ালিকে কি এত্ত সহজে ভোলা যায়? এই অ্যানিমেটেড ছবিগুলো তৈরি করেছে পিক্সার এনিমেশন স্টুডিও। ১৯৯৫ সালে বের হওয়া এই টয় স্টোরির সাফল্য সব হিসাব পাল্টে দেয়! টয় স্টোরি বিশ্বব্যাপী মোট আয় করে ৩৬১ মিলিয়ন ডলার এবং রাতারাতি পিক্সারের খ্যাতি ছড়িয়ে পড়ে চারদিকে। টয় স্টোরি কিংবা ডেসপিক্যাবল মি দেখার সময় নিশ্চয়ই সবার একবার হলেও মনে হয়েছিল, আহা! বাংলাতেও যদি এমন এনিমেশন ফিল্ম থাকত। বছর আঠারো আগের মন্টু মিয়ার অভিযানের কথা মনে করে হয়তো অনেকে দীর্ঘশ্বাসও ফেলে। এরপর ২০০২ সালের দিকে বাংলাদেশের প্রথম ফার্স্টপারসন শ্যুটার গেম অরুণোদয়ের অগ্নিশিখা তৈরি করেছিল শম কম্পিউটার্স নামে একটি প্রতিষ্ঠান। এভাবেই এদেশে ত্রিমাত্রিক ছন্দ পায় বিভিন্ন দেশীয় এনিমেশন ক্যারেক্টারগুলো। সর্বশেষ চাচাবাহিনীর আজব কাহিনী জনপ্রিয়তা পায় নাগরিক টিভিতে প্রচার হয়ে। আর এখন এদেশের এনিমেশন স্টুডিওগুলো কাজ করছে হলিউডের মুভির। বিশ্বসেরা জনপ্রিয় গেমিংয়ের ক্যারেক্টার আর্টিস্ট হিসাবেও কাজ করছেন এদেশের গ্রাফিক্সে দক্ষ কুশলীরা। ত্রিমাত্রিক ক্যারেক্টার এবং প্রিন্ট থ্রিডি এনিমেশন হচ্ছে ত্রিমাত্রিক এনিমেশন, যে এনিমেশনে দৈর্ঘ্য-প্রস্থ-উচ্চতা একই সঙ্গে অবস্থান করে এবং দেখা যায়। এই এনিমেশন পদ্ধতিতে কোনো বস্তুকে বাস্তব জীবনের কোন বস্তুর মতন বিভিন্ন এঙ্গেল বা দিক থেকে ঘুরানো যায়। তবে, মোশন নির্ভর না হয়ে নানা ধরনের চরিত্র সৃষ্টির মাধ্যমে একজন ক্যারেকটার আর্টিস্ট তৈরি করতে পারেন নতুন নতুন কাজের মাধ্যম ও চরিত্র। ভার্চুয়াল জগতের এনিমেশন এখন অনেকটাই থ্রিডি প্রযুক্তি নির্ভর, বিভিন্ন থ্রিডি এনিমেশন সফটওয়্যারের প্রযুক্তিগত উন্নতি প্রতিনিয়ত হচ্ছে, যা থ্রিডি এনিমেশনকে অনেক বেশি প্রাণবন্ত একটা অবস্থানে নিয়ে যাচ্ছে। থ্রিডিএস ম্যাক্স, মায়া, বেøন্ডার, পিক্সোলজিক জিব্র্যাশ কিংবা সিনেমা ফোরডির মতো বিভিন্ন সফটওয়্যার ব্যবহার করে থ্রিডি মডেল আর্টিস্ট যা মূলত ভার্চুয়াল জগতকে ভালোবাসা মানুষকে দিচ্ছে রিয়েল লাইফের মতো বিষয়বস্তুকে দেখার ব্যবস্থা। থ্রিডি প্রিন্ট ঐ ত্রিমাত্রিক চরিত্রটির প্রোটোটাইপটিই প্রিন্ট করে আর্টিকুলেশন সুুচিংয়ের মাধ্যমে। প্রতিটি ত্রিমাত্রিক চরিত্রই স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্যে। উই আর মেকার্স এবং একজন নাজমুলের উদ্যোগ একজন গ্রাফিক্স শিল্পী বা অ্যানিমেটর কাজের প্রয়োজনে বিভিন্ন ধরনের কাজ করছে। গল্পের প্রয়োজনে তৈরি করছে বিভিন্ন মোশন গ্রাফিক্স বা ত্রিমাত্রিক নানা চরিত্র। কিন্তু নিজের স্বকীয়তা বা সৃজনশীলতার প্রাপ্তিতে রয়ে যায় অপূর্ণতা। এ কারণেই একজন শিল্পীর যদি থ্রিডি মডেলিং নিয়ে পারদর্শীতা থাকে তবে ত্রিমাত্রিক ক্যারেক্টার আর্টিস্ট হিসাবে ভালো ক্যারিয়ার গড়তে পারবেন। এ চিন্তা থেকেই ফেসবুকভিত্তিক টয় ডিজাইনার কমিউনিটি গড়ে তুলেন নাজমুল হক। তিনি গত ৭ বছর ধরে কাজ করছেন ক্যারেকটার আর্টিস্ট হিসাবে। ২০১৬ সালে পেয়েছেন বৈদেশিক গণমাধ্যমে কাজের স্বীকৃতিও। তিনি মনে করেন, টয় কমিউনিটি বিশ্বের বিভিন্ন দেশে যেমন আছে তেমন করে এখানেও সংঘবদ্ধ হতে পারবেন উই আর মেকার্সের মাধ্যমে। মূলত ৫শ’ এর বেশি ক্যারেক্টার আর্টিস্ট এবং গ্রাফিক্স ডিজাইনারদের চিন্তার আদান প্রদান হয় এ কমিউনিটির মাধ্যমে। প্রতিমাসে নির্দিষ্ট থিমে ক্যারেক্টার আঁকার প্রতিযোগীতা চলে। যেখান থেকে নির্বাচিত ডিজাইনটির থ্রিডি প্রিন্টারে তৈরি প্রোটোটাইপ এবং ম্যানুফেকচারিং করা হয়। এক্ষেত্রে উপকরণ হিসাবে ব্যবহার করা হয় রেজিন। এ ধরনের প্রযুক্তির বাণিজ্যিক ব্যবহার মূলত ব্যাংকক, হংকং, চীনে বেশি। থ্রিডি প্রিন্টারে প্রোটোটাইপ বের করে আনার কৌশল একজন ত্রিমাত্রিক ক্যারেক্টার আর্টিস্ট যতো ভালোভাবে রপ্ত করতে পারবেন ততই সু² কাজ করতে পাবেন। উই আর মেকার্স থেকে সারাদেশের আগ্রহীদের এ বিষয়েই তৈরি করা হচ্ছে। ভবিষ্যতে কর্মশালাসহ দেশের টয় ডিজাইন, চাইল্ড এডুকেশন টয়, মেডিক্যাল যন্ত্রাদির ডিভাইসসহ জুয়েলারি ডিজাইন সেক্টরে প্রচুর বাণিজ্যিক সফলতার যোগসূত্র হবে এই কমিউনিটি। এ ধরনের থ্রিডি প্রিন্টার বাংলাদেশে বিপণনের উদ্যোগ নিয়েছেন এস হক ইন্টারন্যাশনালের সহযোগী প্রতিষ্ঠান লাইভএক্সিস। বিভিন্ন ত্রিমাত্রিক চরিত্রও থ্রিডি মডিউলে রপ্তানি করা যেতে পারবে, যা তৈরি করবে এই কমিউনিটির আর্টিস্টরাই। এরই মধ্যে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ নানা জনপ্রিয় চরিত্রগুলোর প্রোটোটাইপ তৈরি হয়েছে উই আর মেকার্স  থেকে। নাজমুল হক জানান, বাংলাদেশে এনিমেশন নিয়ে কোটি কোটি টাকার বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করছে অনেক প্রথিতযশা অ্যানিমেশন ফার্ম বা ক্যারেক্টার আর্টিস্ট। কিন্তু থ্রিডি প্রিন্টারের তৈরি প্রোটোটাইপ নিয়ে কাজের সেক্টর এখানে নতুন। তাই ক্যারেক্টার আর্টিস্টদের দক্ষ করে গড়ে তুলতে পারলে বিলিয়ন ডলারের বৈদেশিক মুদ্রা এ সেক্টর থেকে অর্জন সম্ভব। ক্যারেক্টার সৃষ্টির পর থ্রিডি প্রিন্টারে প্রটোটাইপ তৈরি প্রক্রিয়া সম্পর্কে ধারনা নিতে কিউআর কোডটি স্ক্যান করে ভিডিওটি দেখুন। লাইভএক্সিস কাজ করবে বিপণনের উই আর মেকার্স কমিউনিটি ক্যারেক্টার আর্টিস্টদের প্ল্যাটফর্ম হলেও বিপণনের কাজটি করবে লাইভএক্সিস। থ্রিডি প্রোটোটাইপ তৈরি ও ম্যানুফেকচারিং বাণিজ্যিকভাবে দেশে ও আন্তর্জাতিকভাবে করবে এস হক ইন্টারন্যাশনালের সহযোগী প্রতিষ্ঠান লাইভএক্সিস (বিস্তারিত দেখা যাবে http://liveaxishome.com/ ঠিকানায়)। লাইভএক্সিস স্টুডিও (Liveaxis Studios) এবং লাইভএক্সিস কালেকটিবেলস (liveaxis collectibles) নামেও সোশ্যাল মিডিয়াতে সরব থাকবে প্রতিষ্ঠানটি। এস হক ইন্টারন্যাশনালের উদ্যোক্তা সাইদুল হক জুয়েল বলেন, সৃজনশীল কাজের পৃষ্ঠপোষকতায় আমরা সব সময় সরব থাকতে চাই। এ কারণেই কাজটিতে পারদর্শী ক্যারেক্টার আর্টিস্ট নাজমুল হক আমাদের সঙ্গে আছেন। মেডিকেল সার্জারি, জুয়েলারি শিল্প, ডিজাইনার টয়, চাইল্ড এডুকেশন টয়সহ ফ্যাক্টরির নানা উপকরণ তৈরিতে ক্যারেক্টার আর্টিস্টদের জন্য কাজ করবে আমাদের সহযোগী প্রতিষ্ঠান লাইভএক্সিস। এ কারণে আমরা ইতিমধ্যে দেশীয় বিপণন প্রতিষ্ঠান হিসাবে থ্রিডি প্রিন্টারের আমদানি শুরু করেছি। পাশাপাশি আন্তর্জাতিক টয় মার্কেটে ক্যারেক্টার আর্টিস্টদের তৈরি স্বতন্ত্র টয়ও রপ্তানির স্বপ্ন দেখি। এছাড়াও ক্যারেক্টার আর্টিস্টদের জন্য ইন্সটিটিউট ও নিয়মিত কর্মশালাও করবে লাইভএক্সিস। মূলত, এ ধরনের সৃজনশীল কাজ করে মিলিয়ন ডলারের বৈদেশিক মুদ্রা আয় সম্ভব যদি দক্ষ জনবল তৈরি করা হয়। \ 3d প্রিন্টারের প্রযুক্তি নিয়ে ক্যারেক্টার আর্টিস্টদের ভূমিকা নিয়ে চীনভিত্তিক গ্রাফিক্স ও এনিমেশন স্টুডিও রেডহট সিজির বাংলাদেশি আর্টিস্ট তানভীর এম এন ইসলাম বেশ আশাবাদী। তিনি জানান, আন্তর্জাতিকভাবে মুভি, গেমসহ নানা বিনোদন মাধ্যমে হাজার কোটি টাকার বিনিয়োগ এই ত্রিমাত্রিক অ্যানিমেশন বা টয় লাইনের জন্য। বিশেষ করে মুভি বা গেমের জনপ্রিয় বেশিরভাগ টয়ই এখন মডেল করে থ্রিডি প্রিন্টারে প্রাটোটাইপ তৈরি ও ম্যানুফেকচারিং করা হচ্ছে। এ কাজে বেশি ব্যবহার হচ্ছে জি ব্র্যাশ যা একজন ত্রিমাত্রিক ক্যারেক্টার আর্টিস্টের জন্য জানান জরুরি। বাংলাদেশে এ প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়লে দেশীয় জুয়েলারি ডিজাইন, টয় ডিজাইন, ইন্ডাস্ট্রিয়াল ডিজাইন বা মেডিকেল সার্জারিখাত উপকৃত হবে। যারা এখন এখাতে কাজ করবে তার সদূরপ্রসারি ফল উপভোগ করবে কয়েকবছরের মধ্যেই। অ্যানিমেশন ফার্ম সাইকোর প্রধান নির্বাহী মুরাদ তালকিন বলেন, মুরাদ তালকিন থ্রিডি প্রিন্টিংয়ের জনপ্রিয়তা দিন দিন বাড়ছে। আমাদের দেশীয় ক্যারেক্টারভিত্তিক টয় ডিজাইন করে স্কেলআপ/প্রচুর উৎপাদনের মাধ্যমে থ্রিডি প্রিন্টের খরচ কমিয়ে আনতে পারলে বাণিজ্যিক সফলতা আনা সম্ভব। এই টয়ের সঙ্গে অঁমসবহঃবফ জবধষরঃু প্রযুক্তি যোগ করতে পারলে আরো জনপ্রিয়তা আসবে।   আলোকচিত্রী : সাগর হিমু সুক্ষ কাজ, অনেক নাম ত্রিমাত্রিক অ্যানিমেশন শিল্পের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের কাজের বিভিন্ন ধরনগুলো কেমন? চলুন তা জেনে নেই ১. ইন বিটুইন অ্যানিমেটর- এটা হল এই শিল্পে নতুনদের জায়গা। এখানে থেকেই অ্যানিমেশনের যাবতীয় বুনিয়াদি বিষয়গুলি শিখতে পারবেন। ২. মডেলার- আকার, আয়তন এবং শরীরবিদ্যা সম্পর্কে যাদের যথেষ্ট জ্ঞান রয়েছে, তারা অ্যানিমেশনের জন্য মডেল তৈরি করে থাকে। ৩. ব্যাকগ্রাউন্ড আর্টিস্ট- প্রকল্পের বিভিন্ন চরিত্রগুলির ছবি আঁকা এদের কাজ। ৪. লেআউট আর্টিস্ট- আলোকসজ্জা, ক্যামেরা অ্যাঙ্গেল বিষয়ে যিনি সিদ্ধান্ত নেন এবং ব্যাকগ্রাউন্ড ডিজাইনের ছবি আঁকেন, তিনিই লেআউট আর্টিস্ট বলে পরিচিত। ৫. স্টোরি বোর্ড আর্টিস্ট- যারা খুব ভালো আঁকতে পারেন, তাদের এই কাজে নেয়া হয়। এদের কল্পনা করার দক্ষতা খুবই প্রখর হতে হয়। তাকে পুরো ঘটনাক্রম এবং অ্যানিমেশনের এক ফ্রেম থেকে অন্য ফ্রেমে যাওয়ার পুরো প্রক্রিয়াটা পরিষ্কার ভাবে বুঝতে হয়। ৬. ক্লিন আপ আর্টিস্ট- ইনি অ্যানিমেটরের সহকারি। এই ব্যক্তি অ্যানিমেটরের খসড়া ছবিটিকে ট্রেসিং করেন এবং নকশা কতটা নিখুঁত এবং এর ধারাবাহিকতা যাচাই করেন। ৭. স্ক্যানার অপারেটর- ক্লিন আপ আর্টিস্টের ছবিটি ইনি স্ক্যান করেন। ৮. কম্পোজিটর- সমস্ত চরিত্র এবং ব্যাকগ্রাউন্ডকে একটি অ্যনিমেশন ফ্রেমের মধ্যে নিয়ে আসেন। ৯. ক্যারেক্টার অ্যানিমেটর- এরা চরিত্রগুলিকে জীবন্ত করে তোলেন । এদের চিরাচরিত অ্যানিমেশন এবং স্টপ মোশন অ্যানিমেশন সম্পর্কে জ্ঞান থাকে। ১০. স্পেশাল এফেক্ট আর্টিস্ট- জীবন্ত চলচ্ছবি এবং কম্পিউটার নির্মিত চলচ্ছবিকে এরা মিশিয়ে থাকেন। ১১. ডিজিটাল লিঙ্ক এবং পেইন্ট আর্টিস্ট- এরা প্রতি ফ্রেমে রঙ দিয়ে থাকেন। ১২. কি ফ্রেম অ্যানিমেটর- একটি গতির শুরু ও শেষ ফ্রেমের ছবি এরা আঁকেন। ১৩. লাইটিং আর্টিস্ট- এরা বিভিন্ন আলো, ছায়া, রঙের তীব্রতা তৈরি করে থাকেন। ১৪. ইমেজ এডিটর- একটি অ্যানিমেশন চলচ্চিত্রের যাবতীয় দৃশ্য-শ্রাব্য উপাদানকে এরা এক সূত্রে বাঁধেন। ১৫. রেন্ডারিং আর্টিস্ট- মডেল, অঙ্গবিন্যাস, অ্যানিমেশন, আলোকে এরা এক সূত্রে গেঁথে এগুলির যথাযথ মিশ্রণের মাধ্যমে একটি অ্যানিমেশন ফ্রেম তৈরি করেন। ১৬. টু-ডি অ্যানিমেটর- এরা খুব বেশি আয়তনের আলাদা আলাদা ছবি তৈরি করেন, যার মাধ্যমে অ্যানিমেটেড ধারাবাহিকতা নির্মিত হয়। ১৭. টেক্সচার আর্টিস্ট- এরা থ্রি-ডি চরিত্র, বস্ত, পরিবেশের উপযোগী ক্ষেত্র তৈরি করেন। ১৮. রিগিং আর্টিস্ট- অঙ্গ বিন্যাস হয়ে যাওয়া বা মডেল হয়ে যাওয়া থ্রি-ডি চরিত্রটিকে এরা কাঠামোর মধ্যে বসান। এর মাধ্যমে এরা থ্রি-ডি চরিত্রটিকে কথা বলতে বা চলাচল করতে সাহায্য করেন। ১৯. থ্রিডি অ্যানিমেটর- অঙ্গবিন্যস্ত মডেল বা রিগড থ্রি-ডি মডেলটিকে নিয়ে এরা তাকে গ্রাফিক্স সফটওয়ারের মাধ্যমে জীবন্ত করে তোলেন। ঠিক ফ্রেমগুলিকে যথাযথ ভাবে বসালে তবেই এগুলি গতিশীল হয়ে উঠে ।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App