×

জাতীয়

নড়াইল-১ আসনে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড বলতে কিছুই নেই : বিশ্বাস জাহাঙ্গীর আলম

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৩ ডিসেম্বর ২০১৮, ০৪:৩৬ পিএম

নড়াইল-১ আসনে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড বলতে কিছুই নেই : বিশ্বাস জাহাঙ্গীর আলম
নড়াইল-১ আসনে জাতীয় ঐক্যফন্ট সমর্থিত ও বিএনপি মনোনীত প্রার্থী,জেলা বিএনপির সভাপতি বিশ্বাস জাহাঙ্গীর আলম অভিযোগ করেছেন, এ আসন এলাকায় নৌকা প্রতীকের এমপি প্রার্থী কবিরুল হক মুক্তি ও তার সমর্থকরা সন্ত্রাসী কার্যকলাপ চালিয়ে অরাজকতা ও ত্রাসের রাজত্ব সৃষ্টি করেছে।পুলিশও বিএনপির নেতা-কর্মীদের উপর দমন-পীড়ন নীতি চালিয়ে অহেতুক হয়রানি করছে।প্রতিনিয়ত বিএনপির প্রার্থীর সভা-সমাবেশ ঘিরে ভীতি সৃষ্টি, হামলা ও হয়রানি এবং বিনা কারণে গ্রেফতার করা হচ্ছে। লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড বলতে কিছুই নেই। রোববার (২৩ ডিসেম্বর) দুপুরে নড়াইল টাউন ক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি নেতারা এসব অভিযোগ করেন।বিএনপির নেতা-কর্মীরা আচরণবিধি মেনে প্রচারণা শুরু করলেও নৌকা প্রতীকের সমর্থকেরা প্রার্থীর নির্দেশক্রমে একের পর এক বাঁধা সৃষ্টি করে হামলা-মামলা দিয়ে পুরো নির্বাচনী এলাকায় জনমনে ভীতিকর আতংক পরিবেশ সৃষ্টি করছে।প্রশাসনও বিএনপির প্রার্থীর উপর পক্ষপাতিত্বমূলক আচরণ করছে। বিএনপি মনোনীত প্রার্থী বিশ্বাস জাহাঙ্গীর আলম আরো বলেন,দেশে গনতান্ত্রিক ধারা প্রতিষ্ঠায় ভোটের মাঠে প্রশাসনের নিরপেক্ষ ভূমিকা আশা করেছিলাম।সকল প্রার্থীর জন্য সমান সুযোগ থাকবে।কর্মী সমর্থক ও আমার নিজের জীবন আজ হুমকির সম্মুখীন।লিখিত অভিযোগে তিনি আরো বলেন,গত ১৪ ডিসেম্বর নড়াগাতি থানাধীন খাশিয়াল বাজারে আওয়ামী দুর্বৃত্তদের আক্রমনে বিএনপি কর্মী মান্নু বিশ্বাস গুরুতর আহত হয়ে এখন মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন।বাজারে অবস্থিত জাফর, ডা: আলতাফ, কবীর,রকিউল,হাবিব ও ইকলাসের দোকান ভাংচুর করে দুর্বৃত্তরা।এছাড়া ওইদিন বিএনপির নির্বাচনী কার্যালয় ভাংচুর ও লুটপাট করে আওয়ামী দুর্বৃত্তরা।একইদিন আমার (বিশ্বাস জাহাঙ্গীর) কালিয়াস্থ বাসভবনে নৌকা সমর্থকেরা হামলা চালিয়ে বাসার বিভিন্ন মালামাল ভাংচুর করে প্রায় ২৫লক্ষ টাকার ক্ষতি সাধন করে এবং বাড়ির ভিতর রাখা ২লাখ নির্বাচনী পোষ্টার পুড়িয়ে দেয়।উপরোক্ত পৃথক দুটি ঘটনায় নড়াগাতি ও কালিয়া থানায় মামলা করতে গেলে পুলিশ অজ্ঞাত কারণে মামলা নিতে অস্বীকার করে। উপরোন্ত ষড়যন্ত্রমূলক মামলায় কালিয়া উপজেলা বিএনপির সভাপতি সরদার আনোয়ার হোসেনসহ বিভিন্ন পর্যায়ের দু’শতাধিক নেতা-কর্মীকে আসামি করা হয়েছে।গ্রেফতার করা হয়েছে অনেককে।গত ১৫ ডিসেম্বর কালিয়া থানার পিরোলী বাজারে নৌকা সমর্থকেরা বিএনপি অফিসের চেয়ার টেবিল লুটপাট করে নিয়ে যায়।এছাড়া সিঙ্গাশোল, কলোড়া, কলাবাড়িয়া, পহরডাঙ্গা, ভদ্রবিলা, চাচুড়ী,পুরুলিয়াসহ বিভিন্ন ইউনিয়নে নৌকা সমর্থকেরা ধানের শীষের পোষ্টার ছেড়া,প্রচারণার কাজে বাঁধা দিচ্ছে।গত ২১ ডিসেম্বর কলোড়া ইউনিয়নের আগদিয়া গ্রামে খাদেম, তছরিকুল এবং বিছালী ইউনিয়নের আলিম,ইশবালসহ অন্যান্য নেতা-কর্মীদের বাড়িতে পুলিশ অহেতুক তল্লাশি করে এবং বাড়ির আসবাবপত্র তছনছ করে।একই দিন মধুরগাতি গ্রামে জেলা কৃষকদলের সভাপতি ফারুকের বাড়ি পুলিশ ঘিরে রেখে ভীতিকর পরিবেশ সৃষ্টি করে। এসব অভিযোগ তিনি ইসিসহ জেলা রিটার্নিং অফিসারের কাছে লিখিতভাবে দিয়েছেন। বিএনপি প্রার্থীর সমন্বয়ক জেলা বিএনপির যুগ্ন সাধারন সম্পাদক মাহবুব মোর্শেদ জাপল বলেন,জেলা নির্বাচনী তদন্ত সেল অভিযোগের তদন্ত সাপেক্ষে কোন কোন অভিযোগের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিয়েছেন। সংবাদ সম্মেলনে কালিয়া উপজেলা বিএনপির সাধারন সম্পাদক ওয়াহিদুজ্জামান মিলু, জেলা বিএনপির যুগ্ন সাধারন সম্পাদক আলী হাসান, মাহবুব মোর্শেদ জাপল উপস্থিত ছিলেন।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App