×

পুরনো খবর

নির্বাচনী সহিংসতায় উদ্বেগ

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৭ ডিসেম্বর ২০১৮, ১২:৪৫ পিএম

নির্বাচনী সহিংসতায় উদ্বেগ

 একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রচারণা শুরুর সঙ্গে সঙ্গে শুরু হয়েছে সহিংসতা। দিন যত গড়াচ্ছে সহিংসতার মাত্রা ততই বেড়ে চলেছে। গত ১০ ডিসেম্বর প্রতীক বরাদ্দের দিন থেকে গতকাল ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবসের দিন পর্যন্ত সারা দেশে অন্তত শতাধিক সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে। এতে ২ জন মারা গেছেন, গুলিবিদ্ধ হয়েছেন একজন প্রার্থী, আহত হয়েছেন শতাধিক নেতাকর্মী। গ্রেপ্তার হয়েছেন প্রার্থীসহ বিভিন্ন দলের কয়েকশ নেতাকর্মী। নির্বাচনী অফিস ও প্রচারের মাইক ভাঙচুর, পোস্টার ছিঁড়ে ফেলার ঘটনাও ঘটেছে। এ নিয়ে রাজনৈতিক ও সচেতন মহলে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে শান্তিপূর্ণ নির্বাচন করা নির্বাচন কমিশনের (ইসি) জন্য চ্যালেঞ্জ হয়ে পড়েছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। এ বিষয়ে সাবেক নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) সাখাওয়াত হোসেন বলেন, সহিংসতা যেভাবে ছড়িয়ে পড়ছে তা এখন কিভাবে থামানো যায় নির্বাচন কমিশনকে সে ব্যবস্থা নিতে হবে। প্রথম দিন থেকেই যদি ব্যবস্থা নেয়া হতো তবে সহিংসতা এভাবে ছড়িয়ে পড়ত না। বিষয়টি শুধু নির্বাচন কমিশনেরই নয়, এটা নিয়ন্ত্রণে সরকারেরও ভ‚মিকা থাকা দরকার। এমন পরিস্থিতি চলতে থাকলে সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন কী করে হবে, সে প্রশ্নও রাখেন সাবেক এই সেনা কর্মকর্তা। নির্বাচনে কোনো সহিংসতা নেই বলে মনে করে সরকারি দল আওয়ামী লীগ। সহিংসতার বিষয়টি বিএনপির অভ্যন্তরীণ বিষয় ও মনোনয়ন বাণিজ্যের খেসারত বলে দাবি করেছেন দলটির সংগঠনিক সম্পাদক খালিদ মাহমুদ চৌধুরী এমপি। তিনি বলেন, নির্বাচনে কোনো সহিংসতা নেই। সহিংসতা রয়েছে বিএনপির মধ্যে। তারা নির্বাচনে যে মনোনয়ন বাণিজ্য করেছে এটা তারই ফল। গত ১০ বছরে তারা ধারাবাহিকভাবে যে মিথ্যাচার চালিয়েছে, এটা তারই ধারাবাহিকতা। তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু বলেন, ধানের শীষের প্রার্থী প্রতীক বরাদ্দের আগে থেকেই ঢাকায় বসে আছেন। এসব বিষয় দেখে মনে হচ্ছে তারা ভোট চাইছে না। টকশো করে ভিত্তিহীন অভিযোগের পাহাড় তৈরি করছেন, আর ষড়যন্ত্রের জাল বুনছেন। মূলত তারা নির্বাচন নয়, একটি ওছিলা তৈরি করে নির্বাচন বানচালের চেষ্টা করছেন। কোনো অদৃশ্য সংকেতের অপেক্ষা করছেন। ঠিক উল্টো মন্তব্য করেছেন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা ও গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেন। তিনি বলেন, আসন্ন নির্বাচন যাতে না হয় সে ব্যাপারে যথেষ্ট আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। কারণ ক্ষমতাসীনরা জনমত বুঝে গেছে। যে কারণে জোর করে ক্ষমতায় থাকার সব ধরনের চেষ্টাই তারা করছে। নির্বাচন যাতে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ না হয় ক্ষমতাসীনরা সে চেষ্টাই করছে বলে লক্ষ্য করা যাচ্ছে। এই নির্বাচন হবে কি হবে না- তা নিয়ে আশঙ্কা আছে। বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান সেলিমা রহমান বলেন, এই নির্বাচনটা আমাদের কাছে একটা চ্যালেঞ্জ। আমরা নির্বাচনের মাঠে থাকতে চাই। আমরা চাই না কোনো ধরনের সহিংসতা হোক। আমরা এখনো সহিংসতায় যাইনি। বিএনপি এখনো প্রতিরোধ গড়ে তোলেনি। সেনা নামানো না হলে আমরা প্রতিরোধ গড়ে তুলব। নির্বাচন পর্যবেক্ষক সংস্থা জানিপপের চেয়ারম্যান

প্রফেসর ডক্টর নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ বলেন, নির্বাচনে সহিংসতা কোনো মতেই কাম্য নয়। বিষয়টি নির্বাচনী সংস্কৃতিতে পরিণত হয়েছে। কিন্ত জানে মেরে ফেলা গ্রহণযোগ্য নয়। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কোনো রকমের শৈথিল্যও কাম্য নয়।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App