×

মুক্তচিন্তা

বাঙালি বুদ্ধিজীবী হত্যা মুক্তিযুদ্ধের বেদনাদায়ক শেষ অধ্যায়

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৩ ডিসেম্বর ২০১৮, ০৯:০৪ পিএম

ঢাকা বা অন্যান্য বড় বড় শহরই কেবল নয়, বাংলাদেশের প্রতিটি অঞ্চলেই অগণিত বধ্যভূমি আছে, যেখানে বাঙালির শ্রেষ্ঠ বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করে ফেলে রাখা হয়েছে। এঁরা তাঁদের প্রাণ দিয়েছেন, কিন্তু আদর্শচ্যুত হননি। বাংলাদেশের জন্মে এঁদের অবদান অনস্বীকার্য। প্রখ্যাত লেখক ও কীর্তিমান চলচ্চিত্র নির্মাতা জহির রায়হানকে হত্যা করা হয় বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর। ৩০ জানুয়ারি ১৯৭২ তিনি তার ভাই শহীদুল্লাহ কায়সারকে খুঁজতে মিরপুরের গিয়েছিলেন। আর ফিরে যাননি।

মুক্তিযুদ্ধের অনেক বেদনাদায়ক অধ্যায়ের একটি বাঙালি বুদ্ধিজীবী হত্যা। এই নির্মমতার রূপকার ছিল একদিকে যেমন পাকিস্তান সেনাবাহিনী অন্যদিকে তাদের এদেশীয় সহচর- আলবদর, রাজাকার ও আলশামস বাহিনীর নেতারা- যারা পরিকল্পিত পন্থায় এই নিধন পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করেছে।

কারণ তারা ভেবেছিল এসব কীর্তিমান মানুষকে হত্যা করা হলে বাঙালি সমাজের অসাম্প্রদায়িক চেতনাবোধ ধ্বংস হবে, বাংলাদেশ স্বাধীন রাষ্ট্র হলেও তার বুদ্ধিবৃত্তির প্রতিপালন বিপন্ন হবে।

ফরাসি বিপ্লবের আগে বুদ্ধিজীবী শ্রেণির হাতে গড়ে উঠেছিল সে দেশের গণমানুষের মৌলিক জাগরণ, যা তাদের ঐতিহাসিক বিপ্লবের পথে ধাবিত করেছে। সে দিনকার পূর্ববঙ্গ, পূর্ব পাকিস্তান বা বাংলাদেশের বেলাতেও এমনটিই ঘটেছিল। বাঙালির জাতীয়তাবাদী জাগরণ একদিকে বিকশিত হয়েছিল রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক আন্দোলনের বাতাবরণে, অন্যদিকে জাতির বুদ্ধিভিত্তিক চেতনা বা আত্মাকে ক্ষুরধার করেছিল অসাম্প্রদায়িক বুদ্ধিজীবীরা। ফলে এই বুদ্ধিজীবীরা পাকিস্তান রাষ্ট্রের ঘোরতর শত্রুতে পরিণত হয়েছিলেন।

ব্রিটিশ ভারতের অবসানের মধ্য দিয়ে পাকিস্তান সৃষ্টির পর থেকেই বাঙালি জাতীয়তাবাদী চেতনার উন্মেষ ঘটে ১৯৪৮ সালের প্রথম ভাষা আন্দোলনের মধ্য দিয়ে। এরপর ১৯৫২ সালে ঘটে পরিপূর্ণ বাংলা ভাষা আন্দোলন, যার ব্যাপকতা ভাষাভিত্তিক চেতনাকে সম্প্রসারিত করে। এই প্রক্রিয়ায় মুখ্য ভূমিকা রাখে বাঙালি ছাত্রসমাজ এবং সেই চেতনাকে শাণিত করে সে দিনকার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কেন্দ্রিক শীর্ষ বুদ্ধিজীবী শ্রেণি।

এঁরা একদিকে যেমন পাকিস্তানের পূর্ব অংশের ওপর পশ্চিম অংশের অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক অবিচারের ব্যাখ্যাদান করেন, অন্যদিকে বাঙালির অসাম্প্রদায়িক সাংস্কৃতিক যুদ্ধকে ত্বরান্বিত করেন। এসব কারণেই মুক্তিবাহিনীর সদস্য ও মুক্তিযুদ্ধের রাজনৈতিক নেতৃত্বের সঙ্গে পাকিস্তানিপন্থিদের প্রবল প্রতিপক্ষ হিসেবে আবির্ভূত হন বাঙালি বুদ্ধিজীবীরা। সে কারণেই এঁদের হত্যা করার পরিকল্পনা আঁটা হয়।

মুক্তিযুদ্ধ-পরবর্তীকালে বিভিন্ন দলিলপত্র ঘেঁটে জানা গেছে, বুদ্ধিজীবী হত্যার নীলনকশাটি প্রণয়ন করা হয় মেজর জেনারেল রাও ফরমান আলীর নেতৃত্বে, যার সঙ্গে ন্যূনপক্ষে ১০ জন সামরিক ও অসামরিক ব্যক্তির যোগসাজশ ছিল। বুদ্ধিজীবী হত্যার পরিকল্পনার সঙ্গে সরাসরি যুক্ত ছিল পাকিস্তান হানাদার বাহিনীর কর্নেল হেজাজি, মেজর জহুর, মেজর আসলাম, ক্যাপ্টেন নাসির ও ক্যাপ্টেন কাইয়ুম। এই হত্যাকাণ্ডে সম্মতিদান করেছিল পাকিস্তানের ইস্টার্ন কমান্ডের অধিনায়ক আমির আব্দুল্লাহ খান নিয়াজি।

বলাই বাহুল্য, বুদ্ধিজীবী হত্যার সুস্পষ্ট এবং প্রত্যক্ষ ভূমিকা রাখে আলবদর, আলশামস ও রাজাকার বাহিনীর নেতা ও সদস্যরা।

কেবল বুদ্ধিজীবী হত্যা নয়, ১৯৭১ সালে পাকিস্তান বাহিনী ও তাদের এদেশীয় দোসররা সারাদেশেই নির্মম হত্যাযজ্ঞ ও নারী নির্যাতন চালিয়েছে। হত্যা করেছে ৩০ লাখ বাঙালিকে। এই দস্যুরা বাঙালির নারীদের যৌনদাসী বানিয়েছে, রেখেছে ক্যাম্পে, সেনানিবাসে, যাদের বেশিরভাগকে দেশ স্বাধীনের পর উদ্ধার করা হয়েছে। আন্তর্জাতিক গবেষক সুজান ব্রাউনমিলার তার দীর্ঘ গবেষণায় এই ভয়ঙ্কর ধর্ষণের বিস্তারিত বিবরণ দিয়েছেন।

‘নিউইয়র্ক টাইমস’-এর - ‘‘Horrors of East Pakistan Turning Hope into Despair’’ শিরোনামের এক রিপোর্টে কয়েকটি ঘটনার একটি উল্লেখ করে বলা হয়েছে : One tale that is widely believed and seems to come from many different sources is that 563 women picked up by the army in March and April and held in military brothels are not being released because they are pregnant beyond the point at which abortions are possible.

পাকিস্তানি মেজর জেনারেল খাদেম হোসেন রাজা তার বইতে লিখেছেন, নিয়াজী সবসময় চেয়েছে পাকিস্তানি সৈন্যদের হাতে নির্বিচার ধর্ষণের মধ্য দিয়ে সে বাঙালি জাতির রক্তকে বদলে দেবে!!

মুক্তিযুদ্ধের পর জাতিসংঘের আমন্ত্রণে অস্ট্রেলিয়ার চিকিৎসক জিয়ফ্রি ডেভিস ঢাকায় এসে এসব নির্যাতিতা নারীর চিকিৎসার ব্যবস্থা করেন। অস্ট্রেলীয় এই ডাক্তারের ভাষ্য অনুযায়ী এই নারীদের সংখ্যা দুই থেকে চার লাখের মধ্যে।

তিনি লিখেছেন : “They’d keep the infantry back and put artillery ahead and they would shell the hospitals and schools. And that caused absolute chaos in the town. And then the infantry would go in and begin to segregate the women. Apart from little children, all those were sexually matured would be segregated..And then the women would be put in the compound under guard and made available to the troops…”

হাওয়াই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর আর জে রুমেলের মতে : In 1971, the self-appointed president of Pakistan and commander-in-chief of the army General Agha Mohammed Yahya Khan and his top generals prepared a careful and systematic military, economic, and political operation against East Pakistan (now Bangladesh). They planned to murder that country’s Bengali intellectual, cultural, and political elite. They planned to indiscriminately murder hundreds of thousands of its Hindus and drive the rest into India. And they planned to destroy its economic base to insure that it would be subordinate to West Pakistan for at least a generation to come. This despicable and cutthroat plan was outright genocide.”

এই গবেষক লিখেছেন : “Bengalis were often compared with monkeys and chickens. Said General Niazi, ‘It was a low lying land of low lying people.’ The Hindus among the Bengalis were as Jews to the Nazis: scum and vermin that [should] best be exterminated. As to the Moslem Bengalis, they were to live only on the sufferance of the soldiers: any infraction, any suspicion cast on them, any need for reprisal, could mean their death. And the soldiers were free to kill at will.

যুক্তরাষ্ট্রের খ্যাতমান সাংবাদিক ডেন কগিন একজন পাকিস্তানি ক্যাপ্টেনের বরাত দিয়ে লিখেছেন : “We can kill anyone for anything. We are accountable to no one.” This is the arrogance of Power. টাইম ম্যাগাজিনের মতে “It is the most incredible, calculated thing since the days of the Nazis in Poland.”

উল্লেখ্য, অক্টোবর-নভেম্বর মাস থেকেই দেশের প্রতিটি রণাঙ্গনে পাকিস্তান বাহিনী মুক্তি বাহিনীর হাতে পর্যুদস্ত হতে থাকে। মুক্তিবাহিনী সীমান্ত অঞ্চলের বহু জায়গা পাকিস্তান বাহিনীর হাত থেকে মুক্ত করতে সক্ষম হয়। পাকিস্তানি কর্তৃপক্ষ বিলক্ষণ বুঝতে পারে, এভাবে চলতে থাকলে অচিরেই ঢাকার পতন ঘটবে, তাদের পরাজয় ঘটবে।

ঠিক সে সময়েই, অর্থাৎ ডিসেম্বরের ৩ তারিখে, ভারতের পশ্চিম অংশে আকস্মিকভাবে পাকিস্তান বিমানবাহিনী আক্রমণ পরিচালনা করে। এতে গোটা যুদ্ধ পরিস্থিতির পরিবর্তন ঘটে।

ভারতের প্রধানমন্ত্রী শ্রীমতি ইন্দিরা গান্ধী সে দিনই পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সর্বাত্মক যুদ্ধ ঘোষণা করেন। গঠিত হয় ‘ভারত-বাংলাদেশ যৌথ সামরিক কমান্ড’, যার নেতৃত্ব দেন লে. জেনারেল জগজিৎ সিং অরোরা।

এমনিতেই সুসংগঠিত মুক্তিবাহিনীর লাগাতার আক্রমণে প্রতিটি ফ্রন্টে পাকিস্তান বাহিনী প্রমাদ গুনছিল, এরই মধ্যে মিত্রবাহিনী ও মুক্তিবাহিনীর যৌথ আক্রমণে তারা পরাজয়ের দ্বারপ্রান্তে এসে পৌঁছে। ঠিক এ সময়েই পরিকল্পনা আঁটা হয় শীর্ষ বাঙালি বুদ্ধিজীবী হত্যার। মুক্তিযুদ্ধের পর এসব শীর্ষ বুদ্ধিজীবীদের একটি তালিকা পাওয়া যায় সে দিনকার ‘গভর্নর হাউস’ আজকের বঙ্গভবন থেকে, যা থেকে স্পষ্ট ধারণা করা যায় যে, কতটা পরিকল্পিতভাবে এই হত্যাগুলো সংঘটিত করা হয়েছে।

পাকিস্তান বাহিনী ২৫ মার্চ ১৯৭১ নির্বিচারে গণহত্যা শুরু করে বাংলাদেশের মাটিতে। সেই প্রথমদিনেও তারা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বেশ কয়েকজন শীর্ষ অধ্যাপককে নির্মমভাবে হত্যা করে। মুক্তিযুদ্ধের পুরোটা সময় তারা দেশের প্রতিটি অঞ্চলে নির্বিচার গণহত্যা ও নারী ধর্ষণ চালায়। এসব হত্যাকাণ্ডের শিকার হন অধ্যাপক, সাংবাদিক, চিকিৎসক, দার্শনিক, লেখক-কবিসহ সব শ্রেণির মানুষ। তবে শেষ আঘাতটি আসে যখন বাংলাদেশের মাটিতে তারা চূড়ান্ত পরাজয়ের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে।

এই হত্যা অভিযানটি মূলত পরিচালিত হয় ১৬ ডিসেম্বর পাকিস্তান বাহিনীর ঐতিহাসিক আত্মসমর্পণের তিনদিন আগে। পরিকল্পিত এই হত্যাকাণ্ডে চূড়ান্ত পরিণতি আসে ১৪ ডিসেম্বর ১৯৭১, যে দিন তারা একমাত্র ঢাকা নগরীতেই দুই শতেরও বেশি বুদ্ধিজীবীকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে নিষ্ঠুর পন্থায় হত্যা করে। ঢাকাতে এসব হত্যার ব্যাপকতা বেশি হলেও দেশের বিভিন্ন জেলা সদরেও চলে একই নিষ্ঠুরতা।

হত্যা মিশনে নিযুক্ত অস্ত্রধারীরা গেষ্টাপো কায়দায় তালিকাভুক্ত বুদ্ধিজীবীদের নিজ নিজ বাড়ি থেকে তুলে আনে, তাদের চোখ বাঁধে, তারপর ঢাকার মোহাম্মদপুর, নাখালপাড়া, মিরপুর, রাজারবাগের বিভিন্ন টর্চার সেলে নিয়ে যায়। কারফিউ বহাল থাকায় লোকজন ঘরের বাইরে থাকে না বলে সুবিধে হয় হত্যাকারীদের। বেয়োনেট দিয়ে খুঁচিয়ে, গুলি করে এসব বুদ্ধিজীবীকে হত্যা করা হয় এবং রায়েরবাজার, মিরপুরের আলোকদি, কালাপানি, রাইনখোলা ইত্যাদি জায়গায় লাশ ফেলে রাখা হয়।

১৬ ডিসেম্বর পর মুক্তিবাহিনী যখন ঢাকা শহরে প্রবেশ করে তখন তারা এদের লাশ দেখতে পায় বিভিন্ন নালা-ডোবায়। এদের প্রায় প্রত্যেকের হাত ও চোখ বাঁধা, শরীরের বিভিন্ন অংশে বেয়োনেটের নির্বিচার আঘাতের চিহ্ন।

সর্বমোট কতজন বুদ্ধিজীবীকে হত্যা করা হয়েছে তার সঠিক হিসাব পাওয়া যায়নি। তবে বিভিন্ন পরিসংখ্যানে এই সংখ্যা এরকম : শিক্ষাবিদ ৯৯১, সাংবাদিক ১৩, চিকিৎসক ৪৯, আইনজীবী ৪২, সাহিত্যিক ও শিল্পী ৯।

২৫ মার্চের গণহত্যা শুরুর দিন থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের যারা পাকিস্তান বাহিনী ও তাদের দোসর আলবদর, আলশামস ও রাজাকার বাহিনীর হাতে নির্মমভাবে নিহত হন তাদের অন্যতম হচ্ছেন- দার্শনিক ড. গোবিন্দচন্দ্র দেব, অধ্যাপক মুনীর চৌধুরী, অধ্যাপক মোফাজ্জল হায়দার চৌধুরী, ড. আনোয়ার পাশা, ড. আবুল খায়ের, ড. জ্যোতির্ময় গুহ ঠাকুরতা, অধ্যাপক হুমায়ুন কবির, অধ্যাপক রাশেদুল হাসান, অধ্যাপক গিয়াসউদ্দিন আহমেদ, ড. সন্তোস চন্দ্র ভট্টাচার্য, সিরাজুল হক খান ও অধ্যাপক সায়েদুল হাসান। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. হাবিবুর রহমান, অধ্যাপক সুখরঞ্জন সমাদ্দার, অধ্যাপক মীর আব্দুল কাইয়ুম।

এ ছাড়াও আছেন ডা. মোহাম্মদ ফজলে রাব্বী, ডা. আব্দুল আলীম চৌধুরী, সাংবাদিক-সাহিত্যিক শহীদুল্লা কায়সার, সিরাজউদ্দিন হোসেন, নিজামুদ্দিন আহম্মদ, সেলিনা পারভীন, আলতাফ মাহমুদ, জহির রায়হান এবং রনদাপ্রসাদ সাহাসহ অন্যরা।

ঢাকা বা অন্যান্য বড় বড় শহরই কেবল নয়, বাংলাদেশের প্রতিটি অঞ্চলেই অগণিত বধ্যভূমি আছে, যেখানে বাঙালির শ্রেষ্ঠ বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করে ফেলে রাখা হয়েছে। এঁরা তাঁদের প্রাণ দিয়েছেন, কিন্তু আদর্শচ্যুত হননি। বাংলাদেশের জন্মে এঁদের অবদান অনস্বীকার্য। প্রখ্যাত লেখক ও কীর্তিমান চলচ্চিত্র নির্মাতা জহির রায়হানকে হত্যা করা হয় বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর। ৩০ জানুয়ারি ১৯৭২ তিনি তার ভাই শহীদুল্লা কায়সারকে খুঁজতে মিরপুরের গিয়েছিলেন। আর ফিরে যাননি।

বাংলাদেশ তার ৪৭তম বিজয় উৎসব পালন করছে। আমাদের প্রজন্মের কাছে সে দিনের বেদনাদায়ক অধ্যায়ের স্মৃতি আজো সুস্পষ্ট। আমার বিশ্বাস, এই আত্মত্যাগ আমাদের নতুন প্রজন্মের মানুষ মনে রাখবে।

হারুন হাবীব : মুক্তিযোদ্ধা, লেখক ও মুক্তিযুদ্ধ গবেষক।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App